যেখানে ধূধূ বালি ছাড়া আর কিছুই দেখা যেত না হঠাৎ যদি সেখানে সবুজের সমারোহ বসে? বা বরফের মাঝে সবুজের রেখা? কী ভাবছেন? ভালই হবে ব্যাপারটা বেশ, এই বিশ্ব উষ্ণায়ন নামক খারাপ জিনিসটা ধীরে ধীরে দূর হবে? আজ্ঞে না। তা হবে না। উল্টে ক্ষতি হবে। এবং এই পরিবর্তনের নেপথ্যে সেই বিশ্ব উষ্ণায়নই দায়ী।
কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূবিজ্ঞানী মার্টিন ব্র্যান্ডট এবং তাঁর দল আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের ডিপ লার্নিং অ্যালগরিদমের সাহায্যে গুনে দেখেছেন যে সাহারা মরুভূমির পশ্চিম দিকে প্রায় 180 কোটি নতুন গাছের জন্ম হয়েছে। এবং এই ছবি ধরা পড়েছে নাসার উপগ্রহ চিত্রে। শুধু সাহারা নয়, একই অবস্থা আমাদের দেশের থর মরুভূমির। এখানেও শুকনো তৃণভূমির জায়গা ধীরে ধীরে সবুজ গাছ নিয়ে নিচ্ছে। একই ভাবে দক্ষিণ মেরুর বরফের মাঝে দেখা যাচ্ছে সবুজ উদ্ভিদ। যেখানে যাদের থাকার কথা নয়, সেখানে সেটা হওয়া ভাল কথা নয়। কিন্তু গাছই তো, গাছ ক্ষতি করে নাকি? হ্যাঁ করে। জঙ্গল ছাড়া যে গাছগুলো জন্মায় মরুপ্রান্তর বা মেরু অঞ্চলে সেগুলো জীববৈচিত্র্যে, কার্বন স্টোরেজে সরাসরি প্রভাব ফেলে। মরু অঞ্চলে অতিরিক্ত গাছ জন্মানো মানে মাটিতে অতিরিক্ত পরিমাণে নাইট্রোজেন এবং কার্বন জমা হওয়া, যা সেখানকার স্থানীয় উদ্ভিদের পক্ষে ভাল নয়। এর ফলে মরু অঞ্চলের যে স্বাভাবিক গাছগুলো জন্মায় সেগুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে, যেমনটা থরে হচ্ছে। সেখানে যাঁরা পশুপালক তাঁদের এখন অনেক সময়ই শুকনো ঘাস কিনতে হচ্ছে, কারণ আগে যা সহজলভ্য ছিল এখন আর তা পাওয়া যাচ্ছে না।
কিন্তু এমন পরিবর্তন কেন দেখা যাচ্ছে? মনে করা হয় 4000 বছর আগে সাহারা মরুভূমি আসলে সবুজে ঢাকা অঞ্চল ছিল। কিন্তু পৃথিবীর কক্ষপথে পরিবর্তন হওয়ায় হাওয়া, বর্ষা প্রভৃতির গতিপথ বদলাতে থাকে এবং এই অঞ্চল শুষ্ক মরুভূমিতে পরিণত হয়। এখন যে ভাবে আবার এই অঞ্চলে গাছ জন্মাচ্ছে, তাতে কি আবার অতীতের সুদিন ফিরে আসবে সাহারার? গবেষক নীলাঞ্জনা সাহা এই প্রসঙ্গে জানাচ্ছেন, ‘এভাবে মরুভূমিতে গাছ জন্মানো মোটেই ভাল কথা নয়। এর নেপথ্যে কিন্তু সেই বিশ্ব উষ্ণায়ন আছে। এখানে গাছ জন্মানো মানে এখানকার যে পরিবেশগত ভারসাম্য আছে সেটা নষ্ট হবে। প্রভাব পড়বে জীববৈচিত্রের উপর। ফলে সাহারার সুদিন ফিরবে কিনা জানা নেই, কিন্তু গোটা বিশ্বের যে ভারসাম্য আছে তাতে বিস্তর বদল আসবে।'
আরও পড়ুন: বনসৃজন: সমাধান নাকি সমস্যার সূত্রপাত?
মরুভূমি অঞ্চলে এভাবে নতুন গাছ জন্মানোর নেপথ্যে যেমন জলবায়ু পরিবর্তন আছে, তেমনই আছে বনসৃজনের ভাবনা। ফলে দুইয়ে মিলেই এটা ঘটাচ্ছে।
বর্তমানে সাহারায় আগের তুলনায় বৃষ্টিপাত বেড়েছে প্রায় 17-50 শতাংশ। যদিও এর নেপথ্যে এই 180 কোটি নতুন গাছেদের জন্ম আছে কিনা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ভারতে কিন্তু এমন নজির নেই। বরং নতুন গাছ জন্মানোর পরে বৃষ্টিপাতের মাত্রা থর মরুভূমিতে আগের তুলনায় বেশ কমেছে। ফলে গোটা ব্যাপারটার মধ্যে কোথাও নির্দিষ্ট সহজবোধ্য প্যাটার্ন নেই। বিশ্ব উষ্ণায়ন এবং গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনের জন্য গোটা বিশ্বের যে পরিবেশগত ভারসাম্য ছিল তা যে ক্রমশ নষ্ট হচ্ছে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
করোনার স্বাস্থ্যবিধি কি এক একজনের জন্য এক এক রকম? প্রশ্ন উঠছে।
গানটিতে বারংবার মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপির কুশাসন, অত্যাচারের কথা।
বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রীড়াঙ্গনে যেটুকু ভারতের সাফল্য, তার পুরোটাই এ যাবৎ মেয়েদের।
এনগেজড হওয়ার পরেও মনে নানান সমস্যা, চিন্তা উঁকি দেয়, তাদের কী সামলানো যায়?
বিজেপি সরকার চাইছে আগামী লোকসভার বছরেই আদমশুমারি প্রকাশ করতে। কিন্তু কেন?
দীর্ঘ লড়াইয়ের পর আজ শ্বেতাকাত্তির জয়ের স্বীকৃতি এক দিনের জন্য কানাডার কনসাল জেনারেল পদ।