সাধারণ মানুষের যখন দেওয়ালে পিঠ থেকে যায় সে বারবার গর্জে ওঠে, রুখে দাঁড়ায়। তার মধ্যে আর তখন কোনও ভয়ই কাজ করে না। বঙ্গবাসী তথা ভারতবাসীর এখন অবস্থাটা খানিক তাই। কেন্দ্রীয় সরকারের অত্যাচারে নাজেহাল মানুষ। একদিকে পেট্রোল, গ্যাস অগ্নিমূল্য, অন্যদিকে ধর্মের সুড়সুড়ি, নাগরিকত্ব আইনের ভয়। আর কত চোখ রাঙানি সহ্য করবে তারা সরকার বাহাদুরের? কোথাও না কোথাও, কখনও না কখনও তো তাদের গর্জে উঠতেই হত, প্রতিবাদ করতেই হত। হ্যাঁ, দেশ জুড়ে বিভিন্ন জায়গাতেই সাধারণ মানুষ তাদের মতো করে প্রতিবাদ করছে, আবারও সেই প্রতিবাদের সুর শোনা গেল বাংলায়।
সিটিজেনস ইউনাইটেড ফোরামের পক্ষ থেকে গতকাল একটি গান প্রকাশ করা হয়। বক্তব্য বিজেপির অপশাসন আর মানবে না কেউ। জনসাধারণ নিজেরা নিজেদের ভাল মন্দ বোঝে, তারা আর কারও কথা শুনে চলবে না। নিজেদের পথ নিজেরাই ঠিক করবে। গোটা গানটিতে শিল্পীরা বিজেপিকে এক হাত নিয়েছে। গানে উঠে এসেছে ইতিহাস থেকে উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডের কথা, পেট্রোলের দাম থেকে রাফালের কথা, কৃষক আন্দোলন থেকে নয়া নাগরিকত্ব আইনের কথা। শিল্পীদের স্পষ্ট বক্তব্য মানুষের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে, ধর্মের সুড়সুড়ি, শিক্ষা এবং মেয়েদের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে, ইতিহাসকে বিকৃত করে পার পাওয়া যাবে না আর। তাই তারা দৃপ্ত কণ্ঠে জানিয়ে দিচ্ছে শাসককে, এটা তাদের দেশ, ‘আমি এই দেশেতেই থাকব’। এটা সম্প্রীতি, শান্তি, সৌহার্দ্য, বহুত্ববাদের বাংলা, এখানে এসব ভন্ডামি চলবে না। আমাদের সকলের একটাই পরিচয় আমরা ভারতবাসী, সেই পরিচয় কেড়ে নিতে পারবে না কেউ।
গানটির শেষে শাসককে মনে করিয়ে দেওয়াহয়, ‘We the people of India’, সঙ্গে আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনার কথা এবং মৌলিক অধিকারের কথা। সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয় গানটা। সকলের মুখে একটাই কথা, ‘এটা তো আমাদের গান, আমাদের কথা’। সকলেই আবেগে ভাসছে এই গান শুনে। লক্ষ লক্ষ মানুষ এই গানটিকে শেয়ার করেছেন, শোনা হয়েছে তারও বেশি।
‘নিজেদের মতে, নিজেদের গান’ গানটিতে সাধারণ মানুষের পাশাপশি বাংলার অনেক শিল্পীদের দেখা গিয়েছে। গানটি লিখেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, এবং কম্পোজ করেছেন শুভদীপ গুহ। গানটি গেয়েছেন অর্ক মুখার্জি, অনুপম রায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, ঋদ্ধি সেন, ঋতব্রত মুখার্জি, রূপঙ্কর বাগচী, শম্পা বিশ্বাস সহ আরও অনেকেই। ভিডিওটি বানানো হয়েছে ঋদ্ধি সেন এবং ঋতব্রত মুখার্জির নির্দেশনায়। ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জি, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, সব্যসাচী চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, সুরঙ্গনা ব্যানার্জি, ঋদ্ধি সেন, শান্তিলাল মুখার্জি, ঋতব্রত মুখার্জি, উজান চ্যাটার্জি, দেবলীনা দত্ত মুখার্জি প্রভৃতি শিল্পীকে। এই কঠিন সময়ে দাঁড়িয়ে এই গান যেন এক অনন্য পরিবেশন। বহুত্ববাদী যুক্তিবাদী বাঙালির নিজস্ব স্পর্ধা।
ভোট উৎসবে বাঙালির নতুন সঙ্গী রাজনৈতিক মিষ্টি।
সোমবার বেহালার ঐতিহ্যবাহী চণ্ডীপুজোর শেষ দিন।
নিয়তি আজ সময়ের কাছে, অর্থের কাছে, ক্ষমতার কাছে অসহায়। সে শুধু ধ্বংস খেলা দেখে চলেছে।
বঙ্গের অবস্থা দেখে মা দুর্গা নেহাতই চিন্তিত যে!
বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্রীড়াঙ্গনে যেটুকু ভারতের সাফল্য, তার পুরোটাই এ যাবৎ মেয়েদের।
হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রামকে ছাপিয়ে সিগন্যাল এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে।