লকডাউন শেষে প্রায় আড়াই মাস পর, গত 8 জুন রাজ্য সরকারের অনুমতিতে খুলে গেছে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত শপিং মল। এতদিন পরে বাড়ির বাইরে বের হওয়ার সুযোগ পেয়ে মানুষও খুশি। সংখ্যায় কম হলেও, মলে লোকজন ভালই আসছেন। শপিং মলে যেখানে দিনে হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা, সেখানে সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে কতটা স্বাভাবিক কেনাকাটা সম্ভব? করোনার ক্রান্তি কালে মল কর্তৃপক্ষের কাছে এটাই চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় অনেক কিছুই পাল্টাতে হয়েছে।
উত্তর কলকাতা এবং সল্টলেকের বাসিন্দাদের কাছে খুবই চেনা এবং কাছের নাম ‘সল্টলেক সিটি সেন্টার’। বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে গড়ে ওঠা সিটি সেন্টারের একাধিক প্রবেশপথে দূরত্ব বজায় রেখে ফুটমার্ক করা রয়েছে। যাঁরা মলে আসছেন তাঁদের সেই ফুটমার্ক ধরেই লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। এক এক করে এগোচ্ছেন, সিকিউরিটি গার্ড তাঁদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন। তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে মিলছে ভেতরে প্রবেশের অধিকার। ঢুকেই হাতে স্যানিটাইজার দেওয়ার জন্য রয়েছেন আরও একজন গার্ড। সকলের মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক। কেউ যদি মলে এসে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন, তার জন্য তৈরি হয়েছে ‘সিক্ রুম’। অম্বুজা নেওটিয়া গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার রমেশ পাণ্ডের কথায়, ‘মল আপাতত সকাল 11টা থেকে রাত 8টা অবধি খোলা থাকছে। ফলে সব রেস্তোরাঁ খুলে গেলেও ডিনার টাইমে সেল ঠিক মতো হওয়ার সুযোগ নেই। লাঞ্চ টাইম চলছে ঠিকমতোই। তবে, দিনে প্রায় সাত থেকে আট হাজার মানুষ আসছেন আমাদের এখানে।’
চলছে স্যানিটাইজেশন
দূরত্ব বজায় রেখে লাইন করে ঢুকতে হচ্ছে মলে
মলে হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের জন্য তৈরি "সিক্ রুম'
একই চিত্র নাগেরবাজারের "ডায়মণ্ড প্লাজা'-এরও। প্রবেশদ্বারে তিনজন সিকিউরিটি গার্ড কড়া পাহারায় রয়েছেন। সেখানেও লাইন করে ফুটমার্ক করা। প্রথমে দেহের তাপমাত্রা পরীক্ষা, তারপর হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা। সামনের জন এক ধাপ এগোলে তবেই সিকিউরিটি গার্ডের অনুমতিতে পরের জন সুযোগ পাচ্ছে এগোবার। সকলের মধ্যে যথেষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে। ডায়মণ্ড প্লাজার মার্কেটিং ম্যানেজার রীতেশ মুন্দ্রা বলছেন, ‘মলের সব দোকান খুলে গেছে। ফুড কোর্টেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসার জায়গা করা হয়েছে। মেন গেটের সামনে এবং মলের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় সেফটি রুলস্ লেখা রয়েছে। আমাদের তরফ থেকে আমরা সমস্ত সুরক্ষাবিধি মেনে চলছি।’ মাস্কের বদলে রুমালে মুখ ঢেকে এলে ফিরে যেতে হচ্ছে গেটের সামনে থেকেই।
লাইনে দাঁড়ানোর জন্য মার্ক করা রয়েছে
হাত স্যানিটাইজ করে প্রবেশ করতে হচ্ছে মলে
এভাবেই সুরক্ষাবিধি লিখে রাখা হচ্ছে মলের বিভিন্ন স্থানে
দক্ষিণ কলকাতার "সাউথ সিটি' মলেও রয়েছে কড়া নজরদারি। সেখানে ম্যানুয়ালি তাপমাত্রা মাপা না হলেও ব্যবহার করা হচ্ছে থার্মাল স্ক্যানার ক্যামেরা। প্রবেশদ্বারে বসানো ক্যামেরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মেপে নিচ্ছে যিনি ঢুকছেন তাঁর শরীরের তাপমাত্রা। সঙ্গে সঙ্গে তা ছবি সমেত ফুটে উঠছে ক্যামেরার সঙ্গে কানেক্ট করা ল্যাপটপে। এরপরের পদ্ধতি একই, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করে মলে প্রবেশ। প্রতিটি লিফটে লিফটম্যান ছাড়া আর ঠিক পাঁচজন উঠতে পারবেন, প্রত্যেকের জন্য ফুটমার্ক করা রয়েছে। মলের ফ্লোরে লিফট বাটনের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে কোথাও হাত দিতে না হয়। ফুড কোর্টে প্রত্যেক অল্টারনেট টেবিল আটকে দেওয়া হয়েছে, যাতে সকলের মধ্যে দূরত্ব বজায় থাকে। দিনে গড়ে প্রায় দশ থেকে বারো হাজার মানুষ আসছেন মলে।
থার্মাল স্ক্যানার ক্যামেরায় মাপা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা
ক্যামেরায় ওঠা তাপমাত্রা ফুটে উঠছে ল্যাপটপে
পা দিয়ে টিপতে হচ্ছে লিফটের বোতাম
সব মলই মোটামুটি এখন রাত ন’টা থেকে ভোর পাঁচটার কার্ফিউয়ের জন্য সকাল 11টায় খুলে রাত 8টায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় সমস্ত সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মুখে মাস্ক থাকতেই হবে এবং অবশ্যই শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হতে হবে, তবেই মিলবে মলে প্রবেশের অধিকার।
এই মানুষগুলোর খাদ্যের ব্যবস্থাও কিন্তু রাষ্ট্রকেই করতে হবে
তাস নিয়েই জব্বর কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন আলিপুরদুয়ার জংশনের শুভ্রনীল মিত্র।
এঁদের জীবনেও যদি একজন অ্যালবাস ডাম্বেলডোর বা একজন হ্যারি পটার বা একজন হ্যাগ্রিড থাকত!
সবকিছুর মাঝে লাভ হয় বিল্লুর। দোকানে হুড়মুড়িয়ে বিক্রি শুরু হয় তার।
এই ‘জাতীয়তাবাদ’-এর সংজ্ঞা নিজেদের মতো করে তৈরি করে নেওয়া নেহাতই একনায়কতন্ত্রের লক্ষণ।
সোশাল মিডিয়া ব্রেকিং নিউজ দেওয়ার উপযুক্ত স্থান নয়।