পাঁচ মাস ধরে এক কথায় ঘরবন্দি। স্বাভাবিক জীবন তো কবেই টাটা বাই বাই বলে দিয়েছে। ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেও একগাদা সময় বেঁচে যাচ্ছে। এই কঠিন সময়ে মন ভাল রাখার অব্যর্থ ওষুধ পুরনো কিছু অভ্যাস, কিছু পুরনো খেলা। যেমন, লুডো বা তাস। আর এই তাস নিয়েই জব্বর কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন আলিপুরদুয়ার জংশনের শুভ্রনীল মিত্র। 1.8x1 সেন্টিমিটার সাইজের পুঁচকে তাস বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসের বিচারকদের। মিলেছে ‘গ্র্যাণ্ড মাস্টার’-এর তকমা। শুধু কি তাই? নাম লিখিয়েছেন ইণ্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসেও। পেয়েছেন ‘স্মলেস্ট ডেক অফ 52 কার্ডস মেড বাই অ্যান ইন্ডিভিজুয়াল’-এর তকমা।
ছোট থেকেই আর্ট অ্যাণ্ড ক্রাফ্টের প্রতি একটা ঝোঁক ছিল। পেশায় সঙ্গীতশিল্পী শুভ্রনীল পরবর্তীকালে কাজের চাপে সেই শখ ধামাচাপা দিয়েছিলেন। করোনা সকলকে কঠিন সময়ের মধ্যে এনে ফেললেও, কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে সত্যিই শাপে বর হয়েছে। এতদিনের ভুলে থাকা শখ আবার নতুন করে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। আর্টের শিক্ষক বিজয় গুপ্তের থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই খুদে তাস বানানোর চেষ্টা করেন শুভ্রনীল। “স্যারকে দেখে ইন্সপায়ার্ড হই। রেকর্ডের জন্য প্রথমে তো কিছু করিনি। এমনিই ইচ্ছা হয়, এরকম একটা চেষ্টা করে দেখি। তারপর মনে হল, এত খেটে যখন বানিয়েইছি, দেখা যাক কোনও স্বীকৃতি পাওয়া যায় কিনা।”একদিনে বসে টানা 4 ঘণ্টার পরিশ্রমে এই 52টা কার্ডের মিনিয়েচার বানান তিনি।
রেকর্ড বুকের জন্য অ্যাপ্লাই করলেই তো আর হল না। কার্ডগুলি সত্যিই এতটাই ছোট কিনা, সেই থেকে শুরু করে এই কাজটা যে তাঁর নিজেরই করা, সমস্তকিছু ভিডিও রেকর্ডিং-এ প্রমাণ দিতে হয়। প্রতিটা কার্ড সমান মাপে কাটা হচ্ছে কিনা বা সেই কার্ডের কিং, ক্যুইন, হার্ট ইত্যাদি শুভ্রনীল নিজেই এঁকেছে কিনা, এই সকল পরীক্ষায় সফল হলে তবেই মেলে ‘গ্র্যাণ্ড মাস্টার’ এবং ‘স্মলেস্ট ডেক অফ 52 কার্ডস মেড বাই অ্যান ইন্ডিভিজুয়াল’-এর খেতাব।
আঁকতে ভাল লাগে তাঁর, কিন্তু রং-তুলির থেকে বেশি বল পেন ব্যবহার করতেই পছন্দ করেন। এই তাসের গোছাও বানিয়েছেন স্রেফ কাগজে বল পেন দিয়ে এঁকে। কিন্তু এই পুঁচকে তাস দিয়ে খেলা যাবে? “একদম যাবে”, হেসে উত্তর দেন শুভ্রনীল। “আমি যে তাসগুলো বানিয়েছি সেগুলো প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা করে ব্যবহার করা যায়। ফলে বাক্স থেকে বের করে সেটা দিয়ে খেলাও যাবে সহজেই।”
এই স্বীকৃতিতে অবশ্যই উচ্ছ্বসিত শুভ্রনীল মিত্র। তবে আপাতত, এই ফাঁকা সময়ে নিজের হারিয়ে যাওয়া অভ্যাসটাকে আরও ভাল করে ঘষে মেজে চকচকে করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।
অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অকপট মতামত জানাচ্ছে আজকের নারী। সেই মতামতে রয়েছে রামধনুর রঙের মতোই অপার বৈচিত্র।
অবশেষে দোষী সাব্যস্ত কুলদীপ সেঙ্গার। প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক।
পরিবেশ দূষণ, ভূমিক্ষয় ইত্যাদির ফলে প্রাকৃতিক দূর্যোগ এখন জলভাত। কিন্তু প্রাণ বাঁচানোর উপায় কী?
'দঙ্গল'-এর মত হিট ছবির পর পরিচালক নীতেশ তিওয়ারির 'ছিঁছোড়ে' দ্বিতীয় পরিচালনা। কেমন হল সিনেমা?
সোশাল মিডিয়া ব্রেকিং নিউজ দেওয়ার উপযুক্ত স্থান নয়।
সরকারের কথায় অনেকেই ভরসা পেয়ে ভেবেছিলেন না খেয়ে মরতে হবে না। তবে সরকার আদৌ কথা রাখছে কি?