আবারও বাজিমাত জীতেন্দ্র কুমারের
রেটিং: 3/5
ছোট্ট একটা শহরের প্রান্তে ফাঁকা রাস্তায় বিল্লুর পানের দোকান, ‘চমন বাহার’। ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের কাজ ছেড়ে সে নিজের ব্যবসা শুরু করেছে। তাকে লোকে চিনুক, সেই ইচ্ছায়।
দোকানের ঠিক উল্টোদিকের একমাত্র বাড়িতে মা-বাবা-ভাইয়ের সঙ্গে থাকতে আসে রিঙ্কু। ছোট শহরে ইংরাজি বলতে পারা, শর্ট-প্যান্ট পরা (অবশ্যই তা চোখ টানে সকলের), স্কুটি চালিয়ে স্কুলে যাওয়া রিঙ্কুর দিকে নজর পড়ে শহরের স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে নেতার ছেলে থেকে স্কুলের শিক্ষক,সকলেরই। প্রতিদিন তার স্কুটির পেছন নিয়ে স্কুল অবধি যাওয়া বা সেখান থেকে তাকে অনুসরণ করে তার বাড়ি অবধি ফেরা পাড়ার ছেলেদের রুটিন হয়ে দাঁড়ায়। এইসবের মাঝে লাভ হয় কার? বিল্লুর। সকলে রিঙ্কুর বাড়িতে নজর রাখবে বলে এসে দাঁড়ায় বিল্লুর পানের দোকানে। দোকানে হুড়মুড়িয়ে বিক্রি হয় বিল্লুর।
কিন্তু রিঙ্কুর প্রতি সকলের এমন নজর পছন্দ হয় না বিল্লুর। সেও তাকে মনে মনে ভালবাসে। তাই সে ফন্দি আঁটে। দুই প্রতিপক্ষ দলের মধ্যে ঝামেলা লাগায়, কিন্তু অবশ্যই আড়াল থেকে। তার নিপুণভাবে আঁটা ফন্দি কেউ ধরতে পারে না। সেই সুযোগে, ' I love you' লেখা কার্ড নিজে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে রিঙ্কুকে! এর ফল কী হয়? সম্মতি কি পায় উল্টোদিক থেকে? শেষপর্যন্ত বিল্লু কি তার নাম বিখ্যাত করতে পারবে? সেসব জানার জন্য সিনেমাটা দেখতে হবে।
আপাত দৃষ্টিতে ছোট্ট শহরের মিষ্টি প্রেমের গল্প মনে হলেও আদৌ তা নয় এই সিনেমা। বরং এইসব অঞ্চলে মেয়েদের ঠিক কীরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তা সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে। বিল্লু এমনিতে সাদামাটা ভদ্র একটি ছেলে, কিন্তু ‘ফ্রাস্ট্রেশন’ তাকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে সেটা সে নিজেও বোঝে না হয়তো। আবারও একই অঙ্গে বহুরূপে বাজিমাত করেছেন জীতেন্দ্র কুমার। যাকে ঘিরে এত উত্তেজনা, সেই রিঙ্কুর একটিও সংলাপ নেই গোটা ছবিতে। কেবল এক্সপ্রেশনই সম্বল ছিল ঋতিকা বদিয়ানির। পার্শ্ব চরিত্রে, ভুবন অরোরা, আলম খান থেকে শুরু করে ধীরেন্দ্র তিওয়ারি, অশ্বনী কুমার প্রমুখ, প্রত্যেকে অসামান্য অভিনয় করেছেন।
সিনেমার উল্লেখযোগ্য বিষয় অংশুমান মুখার্জির সাউন্ড ট্র্যাক। প্রত্যেকটা গান আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে সিনেমায়। অপূর্ব ধরের পরিচালনায় তৈরি 'চমন বাহার ' এমনিতে খুব ধীর গতিতে চলা একটি ছবি হলেও ছোট শহরের ফ্লেভার পাবেন ভরপুর। যদিও এই ছবি সেইভাবে মনে দাগ নাও কাটতে পারে! কিন্তু জীতেন্দ্র কুমারের অভিনয়ের জন্য একবার অন্তত এ ছবি দেখা যেতেই পারে।
তুরস্কের প্রাচীন সৌধ আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে পরিণত করার ডিক্রি পাস করলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট।
'দঙ্গল'-এর মত হিট ছবির পর পরিচালক নীতেশ তিওয়ারির 'ছিঁছোড়ে' দ্বিতীয় পরিচালনা। কেমন হল সিনেমা?
অবশেষে দোষী সাব্যস্ত কুলদীপ সেঙ্গার। প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক।
বিজেপি সরকার প্রথম থেকেই ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করতে উদ্যত। সেখানে জম্মু ও কাশ্মীর মুসলিম রাজ্য
পরিবেশ দূষণ, ভূমিক্ষয় ইত্যাদির ফলে প্রাকৃতিক দূর্যোগ এখন জলভাত। কিন্তু প্রাণ বাঁচানোর উপায় কী?
১৯৮৬ সালে গিরিডিতে দেশের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসেন কলকাতায়। এরপরেই অটোর মাথায় বাগান বানানোর সিদ্ধান্ত।