মহাবিশ্বের রহস্য অসীম। তার মধ্যে যদি এতটুকু নতুন কিছুর সন্ধান পাওয়া যায় তাহলে যেন এক নতুন দিগন্ত খুলে যায় নতুন জিনিস জানার, নতুন কিছু নিয়ে গবেষণা করার, আলোচনা করার। সম্প্রতি নাসার (NASA) তরফে জানানো হয়েছে যে তারা খোঁজ পেয়েছে আমাদের এই আকাশগঙ্গা ছায়াপথের (Milkyway Galaxy) বাইরে থাকা এক গ্রহের।
1992 সাল। প্রথমবারের জন্য নাসা খোঁজ পেয়েছিল এক এক্সোপ্ল্যানেটের (Exoplanet)। এরপর কেটে গিয়েছে ঊনত্রিশ বছর। নাসা একে একে খোঁজ পেয়েছে 4000এর বেশি এক্সোপ্ল্যানেটের। কিন্তু এই সব কটাই আকাশগঙ্গা ছায়াপথের। এবং পৃথিবী থেকে তাদের সবারই দূরত্ব কম বেশি 3000 আলোকবর্ষ।
25অক্টোবর নাসার তরফে নেচার অ্যাস্ট্রোনমি পত্রিকায় জানান হয়েছে এই আবিষ্কারের কথা। হার্ভার্ড স্মিথসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্স-এর বিজ্ঞানী ও গবেষক রজানে দি স্টেফানো এই গোটা বিষয়টাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু কী কী জানা গেল সেই সদ্য আবিষ্কৃত গ্রহের সম্পর্কে?
সদ্য আবিষ্কৃত গ্রহটি একটি স্পাইরাল ছায়াপথ, হোয়ারলপুল ছায়াপথ (Whirlpool Galaxy) বা M51 ছায়াপথে অবস্থিত। এটির নাম দেওয়া হয়েছে M51-ULS-1b। পৃথিবী থেকে এই গ্রহের দূরত্ব হচ্ছে প্রায় 2.8 কোটি আলোকবর্ষ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, M51-ULS-1b এর আকার প্রায় আমাদের সৌরমণ্ডলের শনির মতো, যে একই সঙ্গে দুটি নক্ষত্রকে ঘুরছে নিজের কক্ষপথে। যার একটি নক্ষত্র আমাদের সূর্যের মতোই হিলিয়াম হাইড্রোজেন দিয়ে গঠিত, আরেকটি নিউট্রন স্টার না ব্ল্যাক হোল এখনও তা স্পষ্ট বোঝা যায়নি। এবং এই গ্রহ ও তার দুই নক্ষত্রের মাঝের যে দূরত্ব তা আমাদের সৌরমণ্ডলের সূর্য এবং শনির যে দূরত্ব তার দ্বিগুণ। কিন্তু কী করে খোঁজ মিলল এই গ্রহের?
আরও পড়ুন:মস্তিষ্কের বামপন্থা ও স্লোভাকিয়ার ঘুরন্ত গ্রাম
নাসার তরফে 3টি ছায়াপথ, পিনহুইল, সোম্ব্রেরো এবং হোয়ারলপুল-এর উপর নজর রাখা হচ্ছিল। তখনই নাসার চন্দ্র এক্স রে অবজারভেটরি টেলিস্কোপে ধরা পড়ে এই গ্রহ। ট্রানজিটে দেখা মিলেছে তার। কিন্তু কী এই ট্রানজিট? যখন কোনও একটি গ্রহ কোনও নক্ষত্রের সামনে চলে আসে ঘুরতে ঘুরতে তখন সে সেই নক্ষত্রের যে আলো তাকে আটকে দেয়, এর ফলে একটা অন্ধকার বা ডিপ তৈরি হয়। এর মাধ্যমেই নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা এক্সোপ্ল্যানেটের সন্ধান পায়। এক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনা ঘটে। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে এই ট্রানজিট চলে।
এই প্রথম আকাশগঙ্গা ছায়াপথের বাইরে কী চলে বা কী আছে তার একটা সামান্যতম খোঁজ পাওয়া গেল। এবং এই খোঁজই যেন এক নতুন দিগন্ত খুলে দিল মহাকাশ গবেষণার জগতে। মহাবিশ্বের অজানা অংশের একটু খোঁজ পাওয়া গেল। রজানে দি স্টেফানো জানিয়েছেন এখনও এই বিষয়ে অনেক গবেষণা বাকি, কিন্তু তবুও এ এক দিগন্তকারী আবিষ্কার।
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ, সরকারি লালফিতের ফাঁসে আটকে হালপাতালের পাওনাও
ওষুধ, খাবার, মাদক, মারণ বোমা সবই ডেলিভারি দিচ্ছে ড্রোন– এবার তাকে সামলাতে হবে!
মহামারীজনিত আইনগত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করল সরকার, প্রায় দু’বছর পর মুক্ত জীবন ফিরে পেল দেশবাসী।
নিজেদেরই তৈরি করা সমস্যায় মানুষ এখন নিজেই আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়ছে
2021 -এ উত্তর পূর্ব ভারতে প্রায় 30-60 শতাংশ ঘাটতি দেখা গিয়েছে প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে।
এটাই হেডলাইন। সঙ্গে পাওয়া গেছে এই সুইসাইডের একজন প্রত্যক্ষদর্শী আর একটা চিরকূট।