‘নামাস্কার, ইস সামায় পুরা দেশ কোভিড 19 ইয়ানি করোনা ভাইরাসসে লড় রাহা হ্যায়’, কাউকে ফোন করলেই বিগত দু’বছর ধরে জসলিন ভাল্লার গমগমে কণ্ঠস্বরে এই কথাগুলোই শোনা যেত। তাঁকে তো ভয়েস অফ প্যান্ডেমিক বলে ডাকা হয়। কিন্তু সেটি এবার অতীত হয়ে গেল।
করোনা সংক্রমণের গ্রাফ এবং মৃত্যু হার দুই-ই আমাদের দেশে নিম্নমুখী। তাই স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোভিডবিধি তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। নৈশ কারফিউ থাকবে না আর। থাকবে না আর জমায়েত, বিয়েবাড়ি কিংবা অনুষ্ঠান বাড়ির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সংখ্যা মেনে চলার দায়। সমস্ত বিধি নিষেধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হল 1 এপ্রিল থেকে। একটা সময় ফোন করলেই যে কথাগুলো মানুষের মনে বিরক্তি ধরিয়ে দিত, সেটাই এখন অতীত হয়ে গেল।
টানা দুবছর ধরে করোনার প্রকোপ কখনও বেড়েছে কখনও কমেছে। সেই মতো সময় সময় পাল্টেছে এই বিধিনিষেধ। প্রথমবার 2020এর 24 এপ্রিল কোভিড বিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। দুবছরের কিছু সময় পর অবশেষে তা পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেওয়া হল।
যদিও সব বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হলেও মাস্ক পরা এবং স্যানিটাইজারের ব্যবহার এখন বহাল আছে। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের এখনও মাস্ক পরেই বেরোতে হবে। তবে দিল্লি, মহারাষ্ট্র এবং তেলেঙ্গানার বাসিন্দাদের মাস্ক পরা বা না পরা সম্পূর্ন ঐচ্ছিক করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ যার ইচ্ছে সে মাস্ক পরবে, যার নয় সে পরবে না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এখনই রিস্ক নিতে চাইছে না। তাই মাস্ক পরা এখনও রাস্তাঘাটে বাধ্যতামূলক থাকছে। যদিও এখন অনেকের মুখেই মাস্ক আর দেখা যায় না। মহামারীজনিত বিশেষ আইন National Disastaer management Act প্রত্যাহার করে নেওয়ার ফলে অবশ্য মাস্ক না পরলে তার জন্য কঠোর শাস্তির বিধান আর থাকছে না।
আরও পড়ুন:ওমিক্রন, ভয়, বন্দিদশা…
তবে গোটা বিষয় নিয়ে দু’টো ভাগ তৈরি হয়ে গেছে যে মাস্ক পরা উচিত কী না। প্রথমত, মাস্ক না পরলে মানুষ আর সচেতন থাকবে না, এখন যাও বা একটু আধটু সচেতনতা আছে, মাস্ক পরা তুলে দিলে সেটাও আর থাকবে না। ফলে এক্ষেত্রে একটা রিস্ক থেকেই যায়। দ্বিতীয়ত, চিনে আবার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। সেক্ষেত্রে এখনই এদেশে সম্পূর্ন মাস্ক ব্যবহার নিষেধ করার কি যৌক্তিকতা আছে? বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডক্টর রূপলেখা মিত্র মুস্তাফি জানান, ‘মাস্ক পরা একদিকে নিষিদ্ধ করে দেওয়াই উচিত। এখন যা পরিস্থিতি তাতে আর মাস্ক না পরলেও চলে। কিন্তু এখনই সম্পূর্নভাবে সবাই যদি মাস্ক পরা বন্ধ করে দেয়, সেক্ষেত্রে একটা রিস্ক তো থেকেই যায়। সংক্রমন কমেছে এ কথা সত্য। কিন্তু আর ক’টা দিন তো মাস্ক পরা উচিত। নিজের স্বার্থে, নিজের প্রিয়জনদের স্বার্থে মাস্ক পরেই রাস্তায় বেরোনো উচিত আরও বেশ কিছুদিন, কারণ কে বলতে পারে ওই যে গুটিকয় মানুষ এখনও এই রোগের শিকার হচ্ছেন তার মধ্যে আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ থাকবে না? তাই ক’টা দিন আরও একটু সচেতন থাকা ভাল বলেই মনে করি।’
বরাবর যে বর্ণবৈষম্য চলে আসছে তার ছাপ করোনা সংক্রমণের হারেও পড়েছে এবং ফল হিসেবে প্রাণ হারিয়েছেন বহু
কলকাতা মেডিক্যালের ইন্টার্নরা জানিয়েছেন, প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মী N95 মাস্ক পাননি। হচ্ছে না স্বাস্থ্
নাছোড় বৃষ্টিতে নাজেহাল ভারতবাসী।
সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের পাশেই সংহতি আর মানবতার উজ্জ্বল ছবি বাংলায়।
পদক পেলে তবেই উন্নয়ন দোরগোড়ায় আসবে, নতুবা নয়।
পরবর্তীকালে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়। কিন্তু যাওয়ার সময় পুলিশের সামনেই হুমকি দিয়ে যায়