মহাকাশ থেকে পৃথিবীকে নীল দেখায়। উপরিতলের চার ভাগের তিন ভাগ জলে ঢাকা থাকার জন্য। সেই জলের গ্রহ আমাদের পৃথিবীতে এখন চলছে আগুনের তাণ্ডব।
তুরস্কের 81টা প্রদেশের মধ্যে মধ্যে 38টি প্রদেশকে দাবানল গ্রাস করেছিল জুলাইয়ের 28 থেকে অগস্টের 4তারিখের মধ্যে। 174টি দাবানল জ্বলেছে এই দেশে। বাদ যায়নি পড়শি দেশ গ্রিস। 27টি জনপদ ছাই হয়ে গিয়েছে। এজিয়ান সাগর ঘেঁষা তুরস্কের বদরাম পাহাড়ে ভয়ংকর আগুন লাগে। পর্যটকদের অনেক কষ্টে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। কী ভাবছেন শুধু তুরস্ক আর গ্রীসেই এমন ভয়াবহ ভাবে দাবানল ছড়িয়েছে? না। ছবিটা আরও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর।
আরও পড়ুন: শুকিয়ে যাচ্ছে নীল নদ
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের 18লক্ষ একর জমি আগুনের গ্রাসে জ্বলে গিয়েছে। কানাডায় এই বছর অগস্টের শুরু অবধি 4891টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার 13লাখ একর জমি পুড়ে গিয়েছে দাবানলে। বাদ যায়নি রোমানিয়া, চিন, ইন্দোনেশিয়া, আরব, আফ্রিকান মালভূমি অঞ্চল, ইতালি, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকার কিছু দেশ সহ আরও অনেক দেশ।
তুরস্ক, গ্রীসের মতো বেশ কিছু দেশে গ্রীষ্মকালে দাবানলের ঘটনা ঘটে শুষ্ক আবহাওয়ার জন্য। এপ্রিলের শেষ ভাগ থেকে অগস্টের শুরুর মধ্যে উত্তর গোলার্ধে দাবানলের ঘটনা ঘটে বাড়তে থাকা তাপমাত্রা এবং শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে। কিন্তু দিন দিন যেন তার তীব্রতা বেড়ে চলেছে। পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে দাবানলের সংখ্যা। অবাক করছে রাশিয়ার উত্তর ভাগে দাবানলের ঘটনা। যেখানে প্রায় সারা বছরই বরফের চাদরে ঢাকা থাকে, এবার সেখানেও যথেষ্ট গরম পড়েছিল এবং এর সঙ্গী হয় দাবানল। শুধু তাই নয় এই বছর উত্তর আমেরিকার সিয়াটেল, ভ্যাঙ্কুভার, পোর্টল্যান্ড প্রভৃতি অঞ্চলে প্রায় মাসখানেক ধরে তাপপ্রবাহ চলে।
এইরকম খুচরো ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে পৃথিবীর আবহাওয়া বদলাচ্ছে। বদলে যাচ্ছে চেনা পরিবেশ। তুষারাবৃত জায়গাতেও তাপপ্রবাহ চলছে। বাড়ছে দাবানলের ঘটনা। নেপথ্যে সেই বিশ্ব উষ্ণায়ন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি। সামনে আরও কঠিন দিন অপেক্ষারত। টিএইচকে জৈন কলেজের ভূগোলের অধ্যাপিকা ঋত্বিকা দত্ত জানান, ‘2030 -এর মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা প্রাক শিল্পায়ন যুগের তুলনায় দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। ফলে বাড়বে দাবানলের ঘটনা এবং তার তীব্রতা। আগে যেসব জায়গায় তেমন গরম পড়ত না, এখন সেখানে তাপপ্রবাহ একটি নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে যাবে। পাল্লা দিয়ে বাড়বে জলস্তর। ফলে সব দিক থেকেই বিপদ আসন্ন, অথচ আমরা বিন্দুমাত্র সচেতন নই।'
শ্রমশক্তিতে মহিলাদের অবদান কমছে ভারতে
নতুন ভাবে নতুন ভাবনা দিয়ে মানুষদের সাজাচ্ছেন পুনম।
2021 -এ উত্তর পূর্ব ভারতে প্রায় 30-60 শতাংশ ঘাটতি দেখা গিয়েছে প্রাক বর্ষার বৃষ্টিতে।
23°C-এর বেশি তাপমাত্রায় করোনা ভাইরাস ছড়ায় না এমন কোনও দাবি বিজ্ঞানী মহল থেকে আজ অবধি করাও হয়নি।
শহরের আনাচ কানাচে খোঁজ পাওয়া যায় রমা সর্দারদের যাঁরা নিজের শর্তে বাঁচেন।
অতিরিক্ত কাজের চাপ এবং অত্যাচারী বসের কারণে অবসাদ হতাশায় ভুগছে অনেকেই