31 জানুয়ারি, 2020- নির্ভয়ার মা আশা দেবী বললেন, "অপরাধীদের উকিল এখন গর্ব করে বলছে, চারজনের ফাঁসি কখনই হবে না।'
20 মার্চ, 2020- উকিল বললেন, "পবনের (নির্ভয়ার নাবালক ধর্ষক) মা প্রতিবন্ধী, ন'মাস গর্ভে ধারণ করেছেন। ওনার দুঃখটা বুঝুন। আপনারা সারা দেশ, ওই একটা মেয়ের মা'র কথা ভাবছেন? কীরকম মা তিনি যে রাত সাড়ে 12টা অবধি মেয়ে বাড়ির বাইরে, তার খোঁজ নেন না?’
সাত বছর ধরে নির্ভয়ার ধর্ষকদের হয়ে লড়েছেন উকিল অজয় প্রকাশ সিং। রাজধানীতে গণধর্ষণের মত এইরকম একটা চরম অপরাধে যখন সমগ্র দেশ তোলপাড়, সেই সময় দাঁড়িয়ে দিনের পর দিন তিনি শুধুমাত্র নির্ভয়ার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে গেলেন। বিগত চার মাসে ছ-বার ফাঁসি পিছানোর পর আজ 20 মার্চ, 2020 অবশেষে ফাঁসি হল নির্ভয়ার চার ধর্ষকের। জয় হল নির্ভয়ার মায়ের। জয় হল সমাজের সমস্ত মেয়ের। জয় হল এক দীর্ঘ প্রতিবাদের। শুধু শাস্তি পেল না পুরুষতন্ত্রের সেই কণ্ঠস্বর যা শোনা যাচ্ছিল উকিল এ.পি. সিং-এর মুখে।
অজয়প্রকাশ সিং (45) লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। 1997 থেকে "অপরাধ বিজ্ঞান' নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী হিসেবে প্র্যাক্টিস করছেন তিনি। শিক্ষিত এই আইনজীবী নিজের মেয়ের সম্পর্কে বলেন যে সে যদি বিয়ের আগে কোনও সম্পর্কে জড়ায় তাহলেই পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে মারবে তাঁকে। যে বাবা নিজের মেয়ের সম্বন্ধে এইরকম তীব্র নিন্দনীয় কথা বলতে পারেন, তাঁর কাছে নির্ভয়া কীকরে সুবিচার পেতে পারে? তাঁর তাই পবনের মায়ের ছেলের সঙ্গে দেখা করা বা অক্ষয়ের স্ত্রীর তাঁর স্বামীর সঙ্গে দেখা করাটা জরুরি মনে হয়েছে। একজন পুরুষ যতই দোষ করুক, তার ফাঁসিতে তাঁর হৃদয় উদ্বেলিত। কিন্তু, নির্ভয়ার ধর্ষণ হওয়ার জন্য দায়ী তাঁর অত রাতে বাড়ির বাইরে থাকা। সমাজের এই দু-মুখো বিচারের চরম নিদর্শন হলেন ধর্ষকদের উকিল, এ.পি.সিং।
একজন মহিলা চাকুরিজীবী তাঁর যোগ্যতায় পাওয়া চাকরিতে স্ব-ইচ্ছায় রাত বারোটা অবধি কাজ করার পরেও অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে ভয় পান। তিনি ভয় পান শুধুমাত্র সমাজের এই মানসিকতাকে। কারণ, তিনিও জানেন তাঁর পরিচিত সমাজ এখনও মনে মনে উকিল এ.পি.সিং-এর কথাই বিশ্বাস করেন। তাই কেবল সোশাল মিডিয়াতেই এমন মানসিকতার বিরোধীতা না করে সক্রিয় হতে হবে মেয়েদেরই। মেয়েরাই পারবেন সমাজে নিজেদের জায়গাকে সুনিশ্চিত করতে। ধীরে ধীরে প্রতি পদে পদে নিজের কাছের সমাজকে একটু একটু করে বুঝিয়ে বলে জয় করতে হবে নারীকেই। তবেই আবারও কোনও নির্ভয়ার মত ঘটনা ঘটলে আদালতের ভিতরে যাই হোক না কেন বাইরের সমাজে, মিডিয়ায় এ.পি. সিং-এর মত কথা শোনা যাবে না।
শহরের অচেনা 'গানওলা' স্বপন সরকার
রামায়ণের যুগের পরও দু-দুটো যুগ চলে গেল, মানুষ এখনোও বলবেন অযোধ্যা কিনা 'রামলালা'র একার?
অনলাইন আদানপ্রদানের ফলে কীভাবে খরচ এবং পরিশ্রম কমানো যায়, তা বুঝেছেন অনেকেই।
সোশাল ডিস্ট্যানসিং বজায় রাখা তো দূরের কথা, বাজারের থলে হাতে রাস্তায় দাঁড়িয়েই চলছে অনর্গল গল্প।
জীবন গোছানোর তাগিদে তাঁর পড়াশোনাটা হয়ে ওঠেনি কখনোই
পশু চাষের ফার্মগুলিতে অরগ্যানিক চাষ বাড়ালেই কমবে ভারতের খাদ্য সংকট