ওরা বলছেন, কাগজ দেখাবেন না। একটা বিশেষ কাগজ দেখাবেন না। মানেটা হল আমার নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার তুমি কে হে বাপু?
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বললেন, ‘বামপন্থীরাই প্রচার করছেন, হম কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে। অনেকের কাছে সত্যি সত্যিই কাগজ নেই। সোনা চুরি করে ধরা পড়েছেন, কাগজ দেখাতে পারেননি।’ কয়েক বছর আগে বিদেশের এক শপিং মল থেকে সোনার কানের দুল চুরির অভিযোগ উঠেছিল স্বস্তিকার বিরুদ্ধে। সেদিকেই ইঙ্গিত দিলীপ।
কিন্তু ‘কাগজ আমরা দেখাব না’ বা ‘হম কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে’ এই চার শব্দের স্লোগানের আসল মানে কী?
‘হম কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে’ অর্থাৎ আমার নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে তথ্যমূলক কোনও কাগজ দেখাব না। অন্য প্রয়োজনে কোথাও কেউ কোনও কাগজ দেখাবেন না, এমন হাস্যকর কথা কি কেউ বলেছেন? যেন সেটাই বলা হয়েছে, এমন ধরে নিয়ে রাজনীতি কিন্তু চলছেই। যে দেশে আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা, চাকরি, সেই দেশেই আমায় নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন করার কি অধিকার আছে সরকারের? সরকার গঠন হয়েছে আমার মত দেশের সমস্ত নাগরিকের ভোটেই। তার মানে নাগরিক যদি ভুয়ো হন, সরকার তাহলে কী বৈধ?
নাগরিকদের নানা ধরনের পরিচ্য়পত্র রয়েছে:
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্রী দেবস্মিতা চৌধুরী কিছুদিন আগে এই আইনের প্রতিলিপি ছিড়ে ফেলে সমাবর্তনের মঞ্চ থেকেই জোর গলায় তিনি বলেন, ‘হাম কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।’ প্রতিবাদ শুরু হয় এখান থেকেই। নিজের নাগরিকত্ব নতুন করে আবার না প্রমাণ করার লড়াই।
সোশাল মিডিয়া জুড়ে এই স্লোগানের তীব্র সমালোচনা চলছে। যেমন - ডাক্তারের কাছে প্রেসক্রিপশন চাইব না, সাইকেল গ্যারাজে রেখে কাগজ দেখাব না, এয়ারপোর্টে ঢোকার আগে কাগজ আমরা দেখাব না ইত্যাদি। এই অসার প্রচারের ঘূর্ণি তৈরি করে আসল ইস্যুটাকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ‘হাম কাগজ নেহি দিখায়েঙ্গে’-র আসল মানে বোঝার সময় এসেছে।
রবীন্দ্রভারতীর কর্তৃপক্ষ পরবর্তী বছর থেকে অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করবেন বলে জানিয়েছেন
বর্তমান থেমে গিয়েছে, ভবিষ্যৎ কী?? আমরা জানি না।
দশ টাকার চাল-ডালের জন্য মরিয়া ভারতসন্তান তোমার।
অনলাইন আদানপ্রদানের ফলে কীভাবে খরচ এবং পরিশ্রম কমানো যায়, তা বুঝেছেন অনেকেই।
গোটা হলঘর সুশান্তের হাসিতে গমগম করছিল।
‘সবসময় মনে হচ্ছে আমরা বাঁচব তো শেষ অবধি?'