রাম আর শ্যাম একই পাড়ায় থাকে। একজন তৃণমূল সমর্থক আরেকজন বাম। শ্যাম স্ত্রী মেয়েকে গাড়িতে তুলতে এসেছে। তখনই রামের সঙ্গে চায়ের দোকানে দেখা। ক্যাব এসে পৌঁছায়নি বলে গল্প জুড়েছে দুজনে এমন সময়, "ঝ্যায় শ্রী রাম" বলে চিৎকার পাশেই!
চমকে তাকাল শ্যাম। দেখে একটা মিছিল আসছে। সব দামী বাইক, হুডখোলা গাড়ি, জিপ। তাতে একদল যুবক অস্ত্র নিয়ে নাচতে নাচতে আসছে।
"দেখেছিস! পাড়াটা একেবারে উচ্ছনে গেল!'
"কেন? উচ্ছনে যাবে কেন?'
"দেখছিস না কেমন মিছিল বেরিয়েছে। এসব আগে দেখেছিস কখনও?'
"আগে দেখিসনি বলে এখনও দেখবি না? আজব তো? এটা আমাদের সংস্কৃতি!'
"এটা সংস্কৃতি? আমাদের? কবে থেকে?'
ওদের পাড়াটা এমনই শান্তই বেশ। মূলত সিপিআইএম আর তৃণমূল সমর্থক দেখা যেত । দুই দলই ভোট পুজোর সময় দাপিয়ে প্রচার সাড়ে এলাকা জুড়ে। মিটিং মিছিল লেগেই থাকে। আবার এক দলের কারও ভীষণ বিপদ হলে অন্য দলও কিন্তু পাশে এসে দাঁড়ায়।
রাজনৈতিক মতাদর্শ আলাদা হলেও বন্ধুত্ব আছে। চায়ের দোকানে আড্ডা চলে আবার তর্কও।এলাকাবাসীরা সুখেই থাকত। কিন্তু কখন যে ভিতর ভিতর ঘুণ পোকা ধরে গেছিল বোঝেনি শ্যাম। বুঝল রাম নবমীর দিন।
মিছিল এগিয়ে এসেছে। ওদের সামনে এসে মিছিলটা যেন একটু স্লো হয়ে গেল। আর সে কী অস্ত্রের নাচ! ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সামনে নিয়ে এসে। কী নেই? বিভিন্ন সাইজের তরোয়াল, ছুরি। সব। কিন্তু এভাবে ওরা কী ইঙ্গিত দিল? ক্ষমতার? ভুল করলে সরিয়ে দেওয়ার? নাকি ধর্মের?
মিছিল তো চলে গেল, কিন্তু এক সময় যাঁরা একে অন্যের পাশে থাকত, হেসে কথা বলত তাঁদের দুজনের মধ্যে তর্ক বেঁধে গেল। শেষ পর্যন্ত তা ঝগড়ায় পরিণত হল। কারণ? রামের দলও যে এভাবেই রাম নবমী পালন করেছে এবার। আস্ফালনের পরিমাণটা শুধু তুলনায় কম। এই যা!
কিন্তু "ভগবান" রাম বুঝি এভাবেই অস্ত্রের আস্ফালন, ক্ষমতার আস্ফালন দেখাতে বলেছিলেন? কী জানি! জানি না। কিন্তু শ্যামের মেয়ের মুখটা সবটা বলে দিচ্ছ। বাবা আর বাবার বন্ধুর তর্ক, মিছিল সবটা ছাপিয়ে চোখে পড়েছিল বাচ্চাটির মুখ। মায়ের ওড়নার আড়ালে মুখ লুকিয়ে কাঁপছিল। আতঙ্কের ছাপ চোখে মুখে স্পষ্ট।
এটাই বোধহয় রাম নবমী, রামের জন্মতিথি পালন হল অন্যকে ভয় দেখিয়ে। ছোট বয়স থেকেই ভয় জন্মিয়ে দেওয়া। নিজের "ধর্মকে সঠিক ভাবে" চিনিয়ে দেওয়া। আর রাম রাজ্য তৈরি হওয়ার বদলে বাংলায় আতঙ্কে ভরা মিনি উত্তরপ্রদেশ তৈরি করে দেওয়া।
আরে বাবা এ গ্রাম পঞ্চায়েত না। এটা খাপ পঞ্চায়েত। এখানে কেউ দুষ্টুমি করলেই বিচার হয়।
29 জুন ভারতীয় সরকার 59টি চিনা অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল, কিন্তু এতে কার কতটা লাভ আর ক্ষতি
সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদের পাশেই সংহতি আর মানবতার উজ্জ্বল ছবি বাংলায়।
মানুষ যাতে নিজেকে বাঁচাতে পারে, তার জন্য বাতাসে কতটা বিষ মিশছে, প্রতিনিয়ত তার হিসেব দেবে জলবায়ু ঘড
পৃথিবীর বাইরেও এই প্রথম কোথাও, কোনও গ্রহে হেলিকপ্টার উড়বে এবং তার নেপথ্যে থাকবে একজন ভারতীয়।
করোনা আক্রান্তদের শবদেহ এভাবে গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলায় বিভিন্ন রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।