×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • টেস্ট হইতে সাবধান! 

    শুভস্মিতা কাঞ্জী | 01-02-2022

    সংগৃহীত ছবি

    26 ডিসেম্বর জামাইবাবুর কোভিড (Covid) রিপোর্ট পজিটিভ এল। ভয়ের চোটে বাড়ির বাকি সবাই কোনও উপসর্গ না থাকা সত্ত্বেও টেস্ট করালাম দল বেঁধে। সবারই রিপোর্ট নেগেটিভ এল। শান্তি পেলাম, যাক বাবা হয়নি তাহলে! কিন্তু কদিন যেতে না যেতেই অফিসের দুজন পজিটিভ হলেন। ব্যাস আবার ভয়। আবারও টেস্ট করলাম। এবারও নেগেটিভ এল রিপোর্ট, সঙ্গে মনে শান্তি। এরম ভাবেই মনের শান্তি পেতে অথবা নিজেকে “নেগেটিভ” প্রমাণ করতে গিয়ে আখেরে ক্ষতি করছি না তো নিজেদের? কীসের কথা বলছি? কী ভাবে ক্ষতি করছি? আরটিপিসিআর টেস্টের (rt pcr test) কথা বলছি। 

     

    আশপাশের কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছে, খবর পাওয়া মাত্র কেবল আতঙ্ক থেকে কোনও উপসর্গ না থাকা সত্ত্বেও আমরা অনেকেই শুধু মাত্র মনের শান্তি পেতেই আরটিপিসিআর টেস্ট করিয়ে নিচ্ছি। অনেকেই আবার কোভিড পজিটিভ হওয়ার পর আবারও টেস্ট করছেন, কারণ "অফিসে নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে!’ এছাড়া বিদেশ যাত্রার জন্য তো নেগেটিভ রিপোর্ট মাস্ট। ফলে ভিনদেশে পাড়ি দেওয়ার আগেই যদি করোনা থাবা বসায় আপনার শরীরে তাহলে আবার আপনাকে টেস্ট করতেই হবে নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার জন্য, নইলে যে "উড়তেই’ পারবেন না। ফলে নানান কারণে বহু মানুষ অল্প সময়ের মধ্যে একাধিক বার আরটিপিসিআর টেস্ট করাচ্ছেন। আর এখানেই লুকিয়ে আছে বিপদ। 

     

    আরও পড়ুন:করোনার ফলে পরিবেশের অসুখ প্লাস্টিকদূষণ

     

    ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR) তাদের নতুন রিপোর্টে জানিয়েছে বারবার আরটিপিসিআর টেস্ট করালে নাকে এবং গলায় ক্ষত কিংবা ইনফেকশন হতেই পারে। কারণ যিনি টেস্ট করছেন তাঁর হাত কতটা ভাল কেউ জানে না। ফলে বারবার টেস্ট করালে শরীরের ভিতরে আঘাত লাগার সম্ভাবনা প্রবল। তাই যাঁদের করোনার কোনও উপসর্গ নেই তাঁদের টেস্ট করার প্রয়োজনীয়তাও নেই। এবং অল্প দিনে বারবার টেস্ট না করানোই শ্রেয়। 

     

    এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী ভাবছেন? জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডক্টর অরিন্দম বিশ্বাস বলেন, "বারবার আরটিপিসিআর টেস্ট করা উচিত নয়। এক জায়গা থেকে বারংবার লালা, রস নিলে, খোঁচাখুঁচি করলে যেমন ক্ষত তৈরি হতে পারে তেমনই ইনফেকশন হওয়ার চান্স থাকে প্রবল। করোনা না হলেও এর ফলে অন্য রোগ হতেই পারে।’ কিন্তু বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে কী করণীয়? বা যে সব অফিস নেগেটিভ রিপোর্ট চাইছে সে ক্ষেত্রেই বা কী করবে জনসাধারণ? এই বিষয়ে ডক্টর বিশ্বাস বলেন, "এখানেই তো সমস্যা। আইসিএমআর-এর রিপোর্ট আর ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত অনেক সময়ই মিলছে না। ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। তাই এখন আইসিএমআর-এর তৈরি করে দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সরকারের উচিত গোটা দেশের জন্য একটা নির্দিষ্ট রূপরেখা বানানো এই টেস্ট নিয়ে। যতদিন না সেটা হচ্ছে ততদিন সচেতন এবং সতর্ক থাকতে হবে টেস্ট করানোর ক্ষেত্রে।’

     

    ফলে আইসিএমআর এবং ডক্টর অরিন্দম বিশ্বাসের মত এক। তাঁদের কথা অনুযায়ী বারবার টেস্ট করানো সচেতন ভাবেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত। 

     


    শুভস্মিতা কাঞ্জী - এর অন্যান্য লেখা


    কলকাতা মেডিক্যালের ইন্টার্নরা জানিয়েছেন, প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মী N95 মাস্ক পাননি। হচ্ছে না স্বাস্থ্

    আরে বাবা এ গ্রাম পঞ্চায়েত না। এটা খাপ পঞ্চায়েত। এখানে কেউ দুষ্টুমি করলেই বিচার হয়।

    23°C-এর বেশি তাপমাত্রায় করোনা ভাইরাস ছড়ায় না এমন কোনও দাবি বিজ্ঞানী মহল থেকে আজ অবধি করাও হয়নি।

    ও সব বাবুদের রোগ, তাদের হয়। বুঝলেন?

    পদক পেলে তবেই উন্নয়ন দোরগোড়ায় আসবে, নতুবা নয়।

    ডায়মন্ড হারবারে মিলেছে প্রাণিবিদদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জীবন্ত জীবাশ্ম এক ধরনের মাছ

    টেস্ট হইতে সাবধান! -4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested