দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ায় পুলিশি অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী শিক্ষার্থীদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দেশের ছাত্রসমাজ। পাশে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরাও। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে আন্দোলন ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে গোটা ভারতে।
জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমা আখতার ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে যাবতীয় তাণ্ডবের জন্য দিল্লি পুলিশকে অপরাধী ঠাওরেছেন। তাঁর দাবি, অন্তত ২০০ জন আহত হয়েছেন। নষ্ট হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি। তিনি জানান, বিনা অনুমতিতে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকে অপরাধ করেছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং জামিয়া মিলিয়ার ঘটনার প্রতিবাদে মুখর অন্য রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিরোধী দলগুলিও।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গেও আন্দোলনের ধারা অব্যাহত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দলের নেতা-কর্মীরা নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে পথে নেমেছে। মমতার বক্তব্য, ‘ক্ষমতায় এসে বিজেপি নিজেদের আকাশের চেয়েও বড় ভাবছে। নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে আমি রুখে দাঁড়িয়েছি। এই দুটি বিষয় চালু করতে হলে তা করতে হবে আমার মৃতদেহের ওপর দাঁড়িয়ে।’
সারা দেশ যখন ছাত্র নিগ্রহে উত্তাল, তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নির্বাচন ক্যাম্পেনিং করতে ঝাড়খন্ড যাচ্ছেন। ঘোষণা করছেন, আগামী ৩ মাসের মধ্যে অযোধ্যায় আকাশচুম্বি রাম মন্দির বানানো হবে! রবিবারের ঘটনাকে গভীর উদ্বেগজনক বলে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেছেন, বিভেদ সৃষ্টি করিয়ে গোলমাল পাকিয়ে স্বার্থান্বেষীদের সুযোগ করে দেওয়া ঠিক নয়।
এখন, প্রশ্ন এই যে, যারা স্বীকার করছে এটাই আমাদের দেশ, কোথাও যাবো না কেউ। বাঁচলে এখানেই বাঁচব, মরবও এখানে। গানে-স্লোগানে-ম্যানিফেস্টো-পোস্টারে প্রতিবাদ করব। পাল্টা মার খাবো। রাষ্ট্রের উলঙ্গ রূপ বের করে আনবো। তারা যদি দেশপ্রেমী না হয়, তাহলে তারা কারা?
NRC, NPR, CAB, CASTEISM, 'RELIGIOUS' PARTY-POLITICTS— সভ্য, শিক্ষিত, শান্তিপ্রেমী দেশে এ সবের দরকার পড়ে কি? এগুলোই কি দেশদ্রোহীতার লক্ষণ হিসেবে যথেষ্ট নয়? পরবর্তী প্রজন্মের কাছে কি তুলে ধরা হচ্ছে? কু-শিক্ষা, যুদ্ধ, ভাগাভাগি, স্বৈরাচার -এ সবের পুনরাবৃত্তি?
ইতিহাস কেন পড়ি আমরা? দেশের পরিস্থিতি বোধহয় আজ এটাই প্রমাণ করছে যে, ইতিহাস সতেচনতা বলতে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। অন্ধকার কি এতটাই ঘন হয়ে এসেছে?
উত্তর এবং আলোর অপেক্ষায় আমরা।
লোকসভার পর ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(সিএবি)
যা দেখা যাচ্ছে, খাবার ‘বেচা-কেনা-খাওয়া’ই এখন মানুষের সব থেকে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
NRC, NPR, CAB, CASTEISM, 'RELIGIOUS' PARTY-POLITICTS— সভ্য, শিক্ষিত, শান্তিপ্রেমী দেশে এ সবের দরকার
তাঁর সাহিত্য সাধনায় তিনি খুঁজেছেন অখণ্ড মনুষ্যত্বকে এবং প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের নিবিড় সম্পর্ককে
এই পরিস্থিতি সকলের কাছেই নতুন। ভার্চুয়াল-ই এখন নিউ নর্মাল। সময়টাকে কীভাবে দেখছেন?
'ভার্চুয়াল' আর 'একচুয়াল' যেমন 'ইকুয়াল' নয়, তেমনই সংখ্যা কখনওই সাহিত্যের মাপকাঠি হতে পারে না