কথোপকথনে কৌশিকী চক্রবর্তী আর শুভা মুদগল
সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বড় হয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই নাচের তালিম নিয়েছেন। প্রথমে কত্থক, পরে একে একে ভরতনাট্যম, ওড়িশি। তখনও বোঝেননি সারা পৃথিবীতে ভারতের একজন শ্রেষ্ঠ ধ্রুপদ সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে উচ্চারিত হবে তাঁর নাম। তিনি শুভা মুদগল। গতে বাঁধা নয়, জীবন হবে মুক্ত; তা-ই শুধু গান নয়, জীবনকে নানা দিক থেকেই উপভোগ করেন এই শিল্পী। ধ্রুপদ ঘরানার সঙ্গীতশিল্পী হয়েও সিনেমায় প্লে-ব্যাক করে তাঁর মতো জনপ্রিয়তা খুব কম শিল্পীই পেয়েছেন। আঁকড়ে থাকেন সাহিত্য, এছাড়া সমাজকর্মী, স্পষ্টবাদী হিসেবেও তাঁর সুনাম রয়েছে। 27 জুলাই প্রভা খৈতান ফাউন্ডেশন পরিচালিত একটি ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান ‘সুর অউর সাজ’-এ সেই মেজাজই অক্ষুন্ন রেখেছিলেন খ্যাতনামা সঙ্গীতশিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তী।
কোভিড 19-এর সঙ্গে যুঝছে তামাম দুনিয়া, বন্ধ যাবতীয় জমায়েত-অনুষ্ঠান। বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কনসার্ট করে থাকেন সঙ্গীতশিল্পীরা, দর্শকদের সঙ্গে সরাসরি সুরে সুরে বাঁধা পড়েন তাঁরা। তবে, এই পরিস্থিতি সকলের কাছেই নতুন। ভার্চুয়াল-ই এখন নিউ নর্মাল। সময়টাকে কীভাবে দেখছেন? কৌশিকীর প্রশ্নের উত্তরে শুভা বলেন, ইতিহাসের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে, প্রতিবন্ধকতা সব সময়েই আলাদা আলাদা রূপে এসেছে, আবার তা কেটেও গেছে। রেডিও, গ্রামোফোন, ক্যাসেট- সব যুগেই সমস্যা ছিল। এক্সপেরিমেন্ট করে যেতে হবে। শ্রোতারা যদি ভার্চুয়াল-অনুষ্ঠান চান, তা থেকে আনন্দের রসদ খুঁজে পান, তাহলে আমাদের তা করতেই হবে। ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, মন শক্ত করে সামনের দিকে তাকাতে হবে। আমরা বাইরে বেরতে পারছি না ঠিকই, কিন্তু অনেকটা সময় হাতে পাচ্ছি, যা এতদিন একটা দুরূহ ব্যাপার ছিল। এই সময়টাকে নানা ভাবে কাজে লাগাতে হবে। আমার এক ছাত্রের কথা বলতে পারি, ও অনেক দূর থেকে তালিম নিতে আসে আমার কাছে। যাতায়াতেই ওর সারাদিনের অনেকটা সময় চলে যায়। ফলত ওর ব্যক্তিগত অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটছিল। ও এখন এই সময়টাকেই ভরপুর কাজে লাগাচ্ছে। যে কোনও কাজেই পরিশ্রম আর সাধনা শেষ কথা বলে, তা সে বাইরে বেরিয়ে হোক অথবা ঘরে থেকে।
নিজের বন্দিশ রচনা করেছেন, শুধু গাওয়াই নয়, গান লিখে সুরও দেন নিজে, কোথা থেকে পান এই ‘ইন্সপিরেশন’? কৌশিকীর বিনম্র কৌতূহলের উত্তরে তিনি বলেন, গুরুকৃপা তো রয়েছেই, আর রয়েছে সাহিত্য। সাহিত্য থেকেই কথা-সুর আসে আমার ভিতর, সেভাবেই আমি ‘কম্পোজিশন’ করি।
‘নেপোটিজম’ বা স্বজনপোষণ নিয়ে অনেক আগে থেকেই বিভিন্ন মহলে চাপানউতোর ছিল, ইদানিং তা বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। গানের জগতে এর প্রভাব কতখানি? কৌশিকীর এই প্রশ্নের উত্তরে শুভা বলেন, অতিচালাকির দ্বারা মহৎ কার্যসিদ্ধি হতে পারে না, তা প্রমানিত। সুবিধা নেওয়া, নতুন বা তথাকথিত ‘আউটসাইডার’দের জায়গা না দেওয়া নিঃসন্দেহে খুব খারাপ ঘটনা। নেপোটিজম-এর প্রভাবে কেউ কাজ পেতেই পারেন, তবে তা সাময়িক। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে গেলে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে হয়। প্রতিভাই শেষ কথা বলে। দুধ আর জল আলাদা হতে বাধ্য। নিজেকে বিশ্বাস করতে হবে। অন্যান্য সুযোগ হাতছাড়া হলেও, নিজেকে জাগিয়ে রাখতে হবে, হতাশা ভুলে কাজ করে যেতে হবে। ‘নেপোটিজম’ পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলার রাস্তা এটাই।
‘বাঙালি-ভুলানো ছড়া’ই তাহলে এবার বাংলার মসনদের চাবিকাঠি?
NRC, NPR, CAB, CASTEISM, 'RELIGIOUS' PARTY-POLITICTS— সভ্য, শিক্ষিত, শান্তিপ্রেমী দেশে এ সবের দরকার
'ভার্চুয়াল' আর 'একচুয়াল' যেমন 'ইকুয়াল' নয়, তেমনই সংখ্যা কখনওই সাহিত্যের মাপকাঠি হতে পারে না
এ যেন এক অনিবার্য পরিহাস। চলছে তো চলছেই। এর নাম ‘গাফিলতি-ভাইরাস’, যা করোনার থেকে আরও আরও বেশি ভয়াবহ।
যা দেখা যাচ্ছে, খাবার ‘বেচা-কেনা-খাওয়া’ই এখন মানুষের সব থেকে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
লোকসভার পর ১১ ডিসেম্বর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(সিএবি)