স্কুলজীবনে যে মেয়ে বন্ধুটির পাশে বসে ক্লাস করে এসেছেন, পরবর্তী সময়ে যদি হঠাৎই জানতে পারেন আদতে সে মেয়েই নয়, তখন? কী ভাবছেন, এমন হয় নাকি? তা হলে বলি, হ্যাঁ, হয়। এটি একটি বিশেষ ধরনের রোগ, যার প্রকোপ সব থেকে বেশি ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গ্রামে।
ক্যালিফোর্নিয়ার (California) স্যালিনাস (Salinas) গ্রামে প্রতি নব্বই জনের মধ্যে এক জন শিশু এই বিশেষ রোগে (Disease) আক্রান্ত। রোগটির নাম ‘ফাইভ আলফা রিডাকটেজ ডেফিসিয়েন্সি’ (Five Alpha Reductage Deficiency)। স্যালিনাস গ্রামের এই রোগে আক্রান্ত বাচ্চাগুলিকে মেয়েদের মতোই দেখতে হয়, তাদের মেয়েদের পোশাক পরানোও হয়ে থাকে ছোটবেলায়। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, বয়ঃসন্ধির সময়ে সেই বাচ্চাগুলির শরীরে ছেলেদের নানান বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেতে শুরু করে। এই গ্রামের লোকজন মনে করেন গ্রামের উপর কোনও অভিশাপ আছে যার ফলে এমনটা হয়ে থাকে। কিন্তু সত্যি কি তাই? না, আদতে গোটা বিষয়টার নেপথ্যে রয়েছে বিজ্ঞান।
আরও পড়ুন:লা নিনার আঁচল ধরে এবার জব্বর শীত
1970 সালে এই রোগটি প্রথম আবিষ্কার করেন এন্ড্রোক্রোনলজিস্ট জুলিয়ান ইম্পেরাটো। গর্ভে যখন একটি শিশু থাকে তাদের Gonads থাকে আর দু'পায়ের মাঝে একটা ফোলা অংশ থাকে। 8 সপ্তাহের পর থেকে পুরুষ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে, অর্থাৎ যাদের Y ক্রোমোজোম আছে তাদের শরীরে প্রচুর পরিমাণে ডিহাইড্রোটেস্টারোন তৈরি হতে শুরু করে যার ফলে দু'পায়ের মাঝে ফুলে থাকা অংশটি ক্রমশ লিঙ্গে পরিণত হয়। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে যে এনজাইমটি এই হরমোনাল অ্যাকটিভিটিকে সাহায্য করে সেটি থাকে না বা কম থাকে। এর ফলে তখন তাদের সেই অংশটি পূর্ণ ভাবে বিকশিত তো হয়ই না, উল্টে মেয়েদের মতো দেখতে লাগে। বোঝাও যায় না যে তারা আদতে ছেলে। এটি একটি জিনগত রোগ, যা এনজাইমের ঘাটতির ফলেই হয়ে থাকে। যা বয়ঃসন্ধির সময় ধীরে ধীরে ঠিক হয় এবং তখন পুরুষ শরীরের যে বৈশিষ্ট্য সেগুলো প্রকাশ পেতে শুরু করে। তখন একটি মেয়ে হঠাৎই ছেলেতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। নতুন সত্ত্বা পায়। যেন নতুন জীবন!
একটি বিশেষ জিনগত রোগের কারণে ব্যাপারটি ঘটে আজ স্পষ্ট। সকলেই জানেন। শুধু আজও যেটা অজানা তা হল স্যালিনাস গ্রামেই কেন এই রোগের প্রকোপ বেশি? এর নেপথ্যেও কি কোনও বৈজ্ঞানিক কারণ আছে? উত্তর নেই। হয়তো আগামী দিনে উত্তর মিলবে যে ভাবে এক দিন অভিশাপের মিথ্যে ধারণা ছিঁড়ে ফেলে বিজ্ঞান নিজেকে প্রমাণ করেছিল এই রোগের আসল কারণ সে।
বছরের পর বছর বরফে জমে থাকা পর্বতারোহীদের মৃতদেহ বিশ্ব উষ্ণায়ন ফলে প্রকাশ্যে আসছে।
মার্কের এই সফল প্রত্যাবর্তন ভবিষ্যতের নানান গবেষণার দিক খুলে দিল।
বাংলা সিনেমার দর্শক সংখ্যা কী কমছে? নেপথ্যে কী কারণ?
শহরের আনাচ কানাচে খোঁজ পাওয়া যায় রমা সর্দারদের যাঁরা নিজের শর্তে বাঁচেন।
হাত ধোওয়া বা স্যানিটাইজ করা উচিত, এই অভ্যেস থাকা অবশ্যই ভাল। কিন্তু অমূলক ভয় থাকা নয়।
সবাই গঙ্গার এই ভাঙন খেলা থামার আশায় পথ চেয়ে আছে।