প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে, কে কোথা ধরা পড়া কে জানে! রবি ঠাকুরের এই লাইনটায় ফাঁদ কিন্তু এখন সত্যিই ছলনার ফাঁদ। যে ফাঁদ পেতে প্রতারণা করার চক্র গজিয়ে উঠেছে করোনাকালে মানুষের বাড়তি একাকিত্ব ও নিঃসঙ্গতার সুযোগ নিয়ে।
সোশাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে ফাঁদ পেতে ব্ল্যাকমেল করে টাকা আদায়ের ছকটা এই রকম: কোনও একটি অবাঙালি মহিলার নামে অ্যাকাউন্ট খুলে সেখান থেকে বেছে বেছে কিছু পুরুষকে ‘ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট’ পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা সেই বন্ধুত্বের হাতছানিতে সাড়া দিলেই সঙ্গে সঙ্গে মেসেজ আসছে। প্রথমে সাধারণ আলাপচারিতা। কখনও কখনও ফোন নম্বরও চাওয়া হচ্ছে। তারপরই শুরু হচ্ছে ভিডিও কল করা, এবং অশ্লীল ভিডিও পাঠানো। সেই এডিটেড ভিডিওতে পুরুষটির মুখ বসিয়ে তাঁকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে 10 হাজার থেকে 50 হাজার টাকা। না দিলেই ভয় দেখানো হচ্ছে বেইজ্জত করার। কেউ কেউ মান সম্মান রক্ষার্থে ভয় পেয়ে টাকাটা দিয়ে দিয়েছেন। কেউ স্রেফ সেই মেসেজের উত্তরে পাত্তা দিচ্ছেন না। তবে গোটা বিষয়টা থেকে এটা স্পষ্ট, যে বা যাঁরা বিষয়টার সঙ্গে জড়িত, সে বা তাঁরা রীতিমত হোমওয়ার্ক করে মাঠে নামছেন। তাঁদের ‘শিকারের’ সম্পর্ক যথেষ্ট খোঁজ খবর করে, যেমন কারা তাঁর প্রিয় মানুষ, কোনটি তাঁর দুর্বলতা, সবটা জেনে নিয়েই তাঁকে ব্ল্যাকমেল করছে।
আরও পড়ুন: অনেক Bois Locker room-এর চারা ছড়িয়ে সোশাল মিডিয়ায়
কবি রেজমান খান ক’দিন আগে এই চক্রের শিকার হন। তাঁর কাছে 10হাজার টাকা দাবি করা হয়। তিনি দেবেন না জানিয়ে দিলে তাঁকে বারংবার হেনস্থা করা হয় এবং সেই এডিটেড ভিডিও পাবলিক করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, ‘একটা সময় ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম খুব। মনে হয়েছিল দিয়ে দিই টাকাটা। কিন্তু তখন হঠাৎ মনে পড়ে এক দাদার কথা যে ক’দিন আগে এমনই কিছুর শিকার হয়েছেন। তাঁর সঙ্গে কথা বললে তিনি টাকা দিতে না করেন। আমিও মেয়েটিকে স্পষ্ট জানিয়ে দিই টাকা আমি দেব না। এরপর শুরু হয় দর কষাকষি, টাকার সংখ্যাটা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। কিন্তু আমি টাকা দিইনি।‘ তিনি বিষয়টা কলকাতা পুলিশকে জানাচ্ছেন।
রেজমান ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আনার পরও আরও অনেকেই স্বীকার করেন যে তাঁরাও এমন পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন। কিন্তু লোক লজ্জার ভয়ে তা প্রকাশ্যে আনতে পারেননি।
রাজ্যে একদিকে চলছে ভোট প্রচার, আর একদিকে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কয়েকদিনেই 400 ছাড়িয়ে গেছে।
ঘরবন্দি মানুষ সাইবার প্রতারণার সহজ শিকার হচ্ছেন।
কলকাতার শরৎকাল, শারদোৎসব সবই বদলেছে, বদলেছে রেডিওতে মহালয়া শোনার অভ্যেস, তবে সবটা কি বদলে গেছে?
করোনার স্বাস্থ্যবিধি কি এক একজনের জন্য এক এক রকম? প্রশ্ন উঠছে।
সংসার, ভালবাসা, সঙ্গে থাকা বা থাকার ইচ্ছে, সবটা নিয়ে একটা অত্যন্ত বাস্তববাদী সিনেমা।
ভোট মিটতেই ভোল বদল! রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে মিলছে না পরিষেবা।