লকডাউনে স্তব্ধ গোটা দেশ। দোকানপাটও মোটামুটি খালি হয়ে গেছে সোমবারই। সোশাল মিডিয়ায় সময় কাটানোটা বেড়ে গেছে অনেকের ক্ষেত্রেই। তবে সকলের জন্য সোশাল মিডিয়া মানে শুধুই সময় কাটানো নয়। সোশাল মিডিয়াকে অন্য কাজে ব্যবহার করছে ক্যানিং-এর এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, ‘ক্যানিং সন্ধি’।
দূরত্ব বজায় রেখে সাহায্য – উদ্দেশ্য এটাই। রাজ্যে লকডাউনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিভিন্ন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক, কর্মচারী এবং দিন-আনি-দিন-খাই গরিব মানুষ। কাজ হারিয়েছেন অনেকেই। নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরোয় তাদের পক্ষে একসঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ চাল ডাল সংগ্রহ করা বিলাসিতা। তাই সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে এই সংস্থা, তবে দূর থেকে। পরিবার প্রতি ২ কেজি চাল, ৫০০ গ্রাম ডাল আর একটা সাবান। প্যাকেট করে করে এক মিটার দূরত্ব বজায় রেখে দেওয়া হচ্ছে। একজন করে আসছেন এবং তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। এই কর্মসূচির প্রথম দফা চলল বোলপুরের বাগানপাড়া,ক্যানাল মোড় এবং ক্যানিং-এর দুটো ইট ভাটার মোট ১২৫টি পরিবারকে নিয়ে।
সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সম্ভাব্য সকলের কাছে। ফর্দ সমেত হিসেব দেওয়া হচ্ছে কোথায় কত টাকা খরচ হবে, মোট কত টাকা লাগবে ইত্যাদি। আন্দাজ করা হয় প্রথম দফায় ১৩ হাজার মতো টাকা লাগবে। তবে সকলের সহযোগিতায় প্রায় ১৮ হাজার টাকা ইতিমধ্যেই জোগাড় করা গেছে।
সংস্থার তরফে পুষ্পেন্দু সর্দার বলেন, "সাধারণ মানুষ যেভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন সেটা সত্যিই আশাতীত। এখনও অনেকে সাহায্য পাঠাচ্ছেন। আমরা এরপর চেষ্টা করছি ঝাড়গ্রামে, বিশেষত আদিবাসী এলাকায় এই কর্মসূচী চালাতে। সেখানেও একইভাবে দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ করা হবে। রাজ্যসরকার চাল-ডাল বিতরণ করে সদর্থক ভূমিকা পালন করছে। আমাদের কাজে এই কঠিন পরিস্থিতির আরও খানিকটা সুরাহা হবে বলে আশা করছি।'
সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি কঠোর স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে এই ধরনের সামাজিক উদ্যোগ করোনার অন্ধকারে হতদরিদ্র মানুষের কাছে আশার আলো।
এই বিশ্ব মহামারীর সুযোগ নিয়ে অনেক হ্যাকার ডানা মেলেছে
সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, তবে দূর থেকে।
বাড়ি থেকে কাজে অন্তত চাকরি আছে, মাসের শেষে স্যালারি মিলছে। আপাতত অভিযোগ না করে এতেই সকলে খুশি।
পরিবেশ দূষণ, ভূমিক্ষয় ইত্যাদির ফলে প্রাকৃতিক দূর্যোগ এখন জলভাত। কিন্তু প্রাণ বাঁচানোর উপায় কী?
এঁদের জীবনেও যদি একজন অ্যালবাস ডাম্বেলডোর বা একজন হ্যারি পটার বা একজন হ্যাগ্রিড থাকত!
সবকিছুর মাঝে লাভ হয় বিল্লুর। দোকানে হুড়মুড়িয়ে বিক্রি শুরু হয় তার।