সকাল দশটা বাজতে না বাজতেই অফিসের হোয়াটস্যাপ গ্রুপে গুচ্ছের মেসেজ। বস বলে দিয়েছেন সাড়ে দশটায় মিটিং। ভিডিও কলে। কোয়ারান্টাইনের বাজারে ভিডিও কলই তো সম্বল। অনেকগুলো ভিডিও কলের অ্যাপ ঘেঁটে দেখা গেল, ‘Zoom’ অ্যাপটাই সবচেয়ে সহজ। প্রথমবার সকলকে নিয়ে গ্রুপ খুলে একটা ইনভিটেশন মেল পাঠিয়ে দিলেই হল। সকলের কাছে একটা লিঙ্ক চলে যাবে। এবার প্রত্যেকদিন, প্রত্যেকবার সেই একই লিঙ্ক দিয়ে ঢুকে পড়া যাবে ভিডিও মিটিংয়ে।
আবার লকডাউনের ফলে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গেও দেখা সাক্ষাৎ হচ্ছে না। হোয়াটস্যাপ ভিডিও কল করতে গিয়ে দেখা গেল, চারজনের বেশি একসঙ্গে কল করা যাবে না। কী জ্বালা! কারও ডুয়ো নেই, কারও মেসেঞ্জার নেই। তবে অফিস মিটিংয়ের জন্য ‘Zoom’ অ্যাপ আছে। অতএব সেটাই ভরসা।
সম্প্রতি এই লকডাউনের ফলে ভিডিও কলিংয়ের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। তার মধ্যে ব্যবহারের নিরিখে শীর্ষস্থানে ‘Zoom’। সমীক্ষা বলছে, গত ডিসেম্বরে এই অ্যাপের দৈনিক ব্যবহারকারির সংখ্যা ছিল প্রায় 1 কোটি। এই বছর মার্চ মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় 20 কোটি। যেহেতু একইসঙ্গে 100 জন (প্রয়োজনে তা নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে বাড়িয়ে 500 জনও করা যায়) একটা কলে যোগ দিতে পারে, তাই এই অ্যাপকেই অফিশিয়াল বা পার্সোনাল বা অনলাইন ক্লাসের জন্য বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। তবে অ্যাপটির জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পিছু নিয়েছে সাইবার ক্রাইমও।
প্রথম থেকেই এই অ্যাপ নিয়ে বিতর্ক চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই অ্যাপের সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব একটা শক্তপোক্ত নয়। ফলে জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চালু হয়েছে হ্যাকারদের নিত্য আনাগোনা। রাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সর্বোচ্চ সংস্থা অনেক আগেই বিষয়টি নিয়ে সাবধান করেছিলেন। কারণ একটাই, এই অ্যাপের দুর্বল অথেন্টিকেশন ব্যবস্থা। ফলে এই অ্যাপের যে কোনও মিটিংয়ের হোস্টের পাঠানো আইডি এবং লিঙ্ক সহজেই হাতিয়ে নিতে পারে হ্যাকাররা। এরপর সেই লিঙ্ক দিয়ে ঢুকে হওয়া মিটিংয়ের সব আলোচনা অনায়াসে চলে আসে তাদের দখলে। ইতিমধ্যেই কিছু মিটিং এবং স্কুলের অনলাইন ক্লাস চলাকালীন তার মধ্যে হঠাৎ পর্নোগ্রাফি চলতে শুরু করার খবর পাওয়া গেছে। যেহেতু মূল লিঙ্ক হ্যাক করা হয়ে যায়, ফলে তার মাধ্যমে যেকোনও টিম মেম্বারের আইডি-পাসওয়ার্ডও ক্র্যাক করে ফেলা কঠিন নয়।
করোনা মহামারীর দৌলতে গোটা পৃথিবীর রাগ এখন চিনের উপর গিয়ে পড়েছে। যদিও আমাদের দৈনিক ব্যবহারের সিংহভাগ জিনিসই চিন থেকে আসে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা আমরা খেয়ালও করি না। যেমন এই ‘Zoom’ অ্যাপের মালিক চিনা, তা অনেকেই অ্যাপ ব্যবহারের আগে বা ব্যবহার করার সময়ও জানতেন না। কিন্তু সাইবার ক্রাইমের ঘটনা শুনে সকলেরই প্রথম এই ব্যাপারটাতেই নজর পড়েছে ও খটকা লেগেছে।
সংস্থার তরফ থেকে কিছু গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে, যে গুলো অ্যাপ ব্যবহারের সময় মাথায় রাখতে হবে:
এত কিছু মেনেও আপনি ফাঁদে পা দিতে পারেন। কী ভাবে? এই বিশ্ব মহামারীর সুযোগ নিয়ে অনেক হ্যাকার ডানা মেলেছে। এমন কোনও মেসেজ বা ইমেল আপনার কাছে আসতেই পারে যেখানে কোনও একটা লিঙ্কে ক্লিক করতে বলা আছে এবং লেখা আছে সেখানে ক্লিক করে আপনি জানতে পারবেন যে কীভাবে এই ভাইরাসের থেকে আপনি রক্ষা পাবেন। এমন মেসেজ বা ইমেলের ফাঁদে পড়বেন না। প্রয়োজনে সেই নম্বরটি রিপোর্ট করুন এবং জরুরী আইনি ব্যবস্থা নিন। কিন্তু ভুঁয়ো মেসেজের প্রলোভনে জড়িয়ে নিজের সর্বস্ব খুইয়ে বসবেন না।
শপিং মলে প্রতিদিন আসা হাজার হাজার মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মানা কতটা সম্ভব?
সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, তবে দূর থেকে।
তুরস্কের প্রাচীন সৌধ আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে পরিণত করার ডিক্রি পাস করলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট।
বিজেপি সরকার প্রথম থেকেই ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করতে উদ্যত। সেখানে জম্মু ও কাশ্মীর মুসলিম রাজ্য
NCB-এর সমন পাঠানোর তালিকায় প্রথম পাঁচ-ছয়জনের মধ্যে কোনও অভিনেতা নেই!
অনেকের কাছেই সোশাল মিডিয়া বেদ বাইবেল কোরানের তুল্য