পৃথিবীর সানস্ক্রিনে ফাটল। পৃথিবীর গায়ে এসে লাগছে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি, সৌরকণা। ট্যান পড়ে যাচ্ছে পৃথিবীর গোটা শরীরে। ভাবছেন, কী এসব? পৃথিবীর সানস্ক্রিন, ট্যান ইত্যাদি! এও সম্ভব? আজ্ঞে হ্যাঁ, সম্ভব। পৃথিবীর সানস্ক্রিন হচ্ছে বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর। আর সেই ওজোন স্তরেই দেখা গিয়েছে বড়সর একটি ফাটল।
কোপারনিকাস অ্যাটমোস্ফিয়ার মনিটরিং সার্ভিস, যারা ওজোন স্তর তথা বায়ুমণ্ডলের উপর নজরদারি চালায়, তারা জানিয়েছে, পৃথিবীর ওজোন স্তরে একটি বিশাল ফাটল দেখা গিয়েছে, যা আকারে অ্যান্টার্কটিকার থেকেও বড়। এবং সেই ফাটল ক্রমশ আকার এবং আয়তনে বেড়েই চলেছে। প্রতিবছরই শীতকালে সূর্যের সৌর বিকিরণের কারণে ওজোন স্তর ফুটো হয়ে যায়। কিন্তু এখন তো শীতকাল নয়, আর তাছাড়াও সেই ফুটো আকার এবং আয়তনে অনেক ছোট হয়। এমন বিশালাকার ফাটল ওজোন স্তরে শেষবার 1979 সালে দেখা গিয়েছিল। এবারের ফাটল 1979-র ফাটলের থেকেও প্রায় 25 শতাংশ বড় এবং গভীর। কিন্তু ওজোন স্তরের ফাটল কেন মানবসভ্যতার কাছে এত চিন্তার বিষয়?
আরও পড়ুন: বিকল্প তাপশক্তির খোঁজ, নেপথ্যে বাঙালি
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্তর হচ্ছে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। এই স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের একদম উপরের স্তরে রয়েছে ওজোন গ্যাসের স্তর, ভূপৃষ্ঠ থেকে 15-30কিলোমিটার উঁচুতে, যা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি, সৌর কণা প্রভৃতিকে পৃথিবীতে ঢোকা থেকে আটকায়। বলা যায় একপ্রকার সানস্ক্রিনের কাজ করে। এই স্তরে ফাটল তৈরি হওয়া মানে তার যা কাজ, সেটা সে আর ঠিক ভাবে করতে পারবে না। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি, সৌরকণা প্রভৃতি অতি সহজেই পৃথিবীতে ঢুকতে পারবে এবং মানবসভ্যতার ক্ষতি করবে। এর ফলে ক্যান্সার, ফটোড্যামেজ, ত্বকের ক্ষতি সহ নানান রোগ হতে পারে। রোগ ছাড়াও জেট বিমান এই স্তর দিয়ে যায়। তারাও বিপদে পড়বে। ফলে সবটা মিলিয়েই ওজোন স্তরে এই ফাটল অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠতে চলছে। এই ফাটলের বৃদ্ধি কবে থামবে এবং কীভাবেই তা ভরাট হবে বা আদৌ হবে কিনা জানা নেই।
ওজোন স্তরে একটি বিশালাকার ফাটল তৈরি হয়েছে, যা ক্রমশ আরও বেড়ে চলেছে।
করোনার সংক্রমণ রুখতে প্রচারে আপস করে রাজনীতিতে দায়িত্বশীলতার বিরল নজির দেখাল বামেরা।
মনুষ্যসৃষ্ট দূষণ এবং অন্যান্য কারণে পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে জীব বৈচিত্র্যের বড় অংশ।
জীবনের কিছু সার সত্য কথা গল্পের আকারে তুলে ধরা হয়েছে।
ভোট পুজোর আগে এই ছড়া, কার্টুন, ইত্যাদির মধ্যে দিয়েই বাংলার সুস্থ সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে।
বিজেপি সরকার চাইছে আগামী লোকসভার বছরেই আদমশুমারি প্রকাশ করতে। কিন্তু কেন?