আর মাত্র কয়েকদিন পরই রেজাল্ট বেরোবে। তাতেই ভাগ্য নির্ধারণ। ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন সার্থক হবে কিনা। ভাল rank করতে পারলে সেরা কলেজগুলোতে চান্স পাওয়া যাবে। লাইফ সেট। বাবা-মাও আহ্লাদে আটখানা। পড়াশোনা শেষ করে একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি। ব্যাস, সুখের জীবন!
কিন্তু যদি চান্স না পাওয়া যায়? ভাল rank যদি না হয়! তখন? কেউ সেটা ভাবে না। বলা ভাল, ভাবতে চায় না। হারতে লজ্জা, এমনকি হারের কথা ভাবতেও লজ্জা। ঠিক এমনটাই অবস্থা রাঘবের। ডিভোর্সি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। প্রচণ্ড খেটে পড়াশোনা করেছে। বাবা-মা দুজনেই টপার। দেশের বেস্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র তাঁরা। অতএব তাঁদের ছেলে 'লুজার' তো হতেই পারে না। রেজাল্টের দিন যত ঘনায়, তার নাওয়া-খাওয়া ততই ওড়ে।
রেজাল্ট আসে, ‘Better luck next time’! হেরে যাওয়া রাঘব উঁচু বারান্দা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এরপরই শুরু হয় আসল গল্প। ছেলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। বাবা অনিরুদ্ধ (সুশান্ত সিং রাজপুত) তখন নিজের কায়দায় ছেলেকে সুস্থ করার উদ্যোগ নেন। তাঁর নিজের কলেজ জীবনের গল্প, বন্ধুদের সঙ্গে মিলে ছ্যাঁচড়ামো, প্র্যাঙ্ক, কলেজ রাইভ্যালরি, কলেজ প্রেম, কলেজ স্পোর্টস ইত্যাদির কাহিনী শোনাতে থাকে হসপিটাল বেডে শুয়ে থাকা ছেলেকে। আশ্চর্যের বিষয় কোমায় চলে যাওয়া ছেলে সেই গল্পের ভূমিকা শুনেই জ্ঞান ফিরে পায়। কথাও বলতে শুরু করে। এরপরই পুনর্মিলন হয় রাঘবের বাবা এবং তাঁর কলেজ বন্ধুদের, যাদের এককথায় নিজের পরিবার বলে ডাকতে পারে সে। পেশার জাঁতাকলে পিষতে থাকা যেকোনও ব্যক্তিকে এক ঝটকায় নস্ট্যালজিক করে দেবে, কলেজ বন্ধুদের অদ্ভুত ডাকনামগুলো। সেক্সা (বরুণ শর্মা), অ্যাসিড (নবীন পল্লিশেট্টি), ডেরেক (তাহির ভাসিন), মাম্মি (তুষার পান্ডে), বেওড়া (সহর্ষ কুমার শুক্লা) আর অনি (সুশান্ত) এই ছয়জন, LOSERS-এর ছটা বর্ণের মত।
'দঙ্গল'-এর মত হিট ছবির পর পরিচালক নীতেশ তিওয়ারির 'ছিঁছোড়ে' দ্বিতীয় পরিচালনা। বেশ কিছু জায়গায় ভাল ডায়লগ স্ক্রিপটিং-য়ের জন্য কিছু এক্সট্রা মার্কস দেওয়া যায়। তবে বহু জায়গায় অযৌক্তিক কিছু ঘটনাও নজর এড়ায়না। অরিজিৎ সিং-এর কন্ঠে 'খৈরিয়ৎ' গানটা ছাড়া অন্য কোনও গান তেমন মনে গাঁথবে না।
মধ্যবয়সী বাবার মেক-আপে সুশান্ত সিং বড়ই বেমানান। তেমনই সেই বয়সের অভিনয়েও বেশ ঘাটতি আছে। মায়ার চরিত্রে শ্রদ্ধা কাপুরের খানিক কান্নাকাটি এবং কলেজ জীবনে বার্বিডল হয়ে ঘুরে বেড়ানো ছাড়া তেমন কোনও উপস্থিতি নেই। অর্থাৎ অবলীলায় তাঁর এক্সপ্রেশনলেস চরিত্রটি বাদ দেওয়াই যেত। তবে অভিনয় দেখার মত সমস্ত পার্শ্বচরিত্রদের। যাকে বলে এক সে বড়্ কর্ এক। গোটা সিনেমাটাই মোটামুটি তাদের জন্য দেখা যায়। নিজেদের চরিত্রের বিশেষত্ব প্রত্যেকে যথাযথভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ছোট চরিত্রে প্রতীক বব্বরও নজর কাড়বে।
কলেজ বন্ধুত্বের সাম্প্রতিককালের সেরা সিনেমা বলা যেতে পারে 3 Idiots-কে। সেই ছবির সঙ্গে ভুলেও তুলনা করতে যাবেন না, থই খুঁজে পাবেন না। একবার হলে গিয়ে অবশ্য দেখতেই পারেন ছবিটা, না দেখলেও আহামরি কিছু মিস করবেন না। গল্প এমন কিছু নতুন নয়। যা ছিল সেটাও ঠিক মত সাজাতে পারেননি পরিচালক। অতীত-বর্তমানের মিলমিশে খানিক ঘেঁটেই ফেলেছেন।
'দঙ্গল'-এর মত হিট ছবির পর পরিচালক নীতেশ তিওয়ারির 'ছিঁছোড়ে' দ্বিতীয় পরিচালনা। কেমন হল সিনেমা?
Isaac Asimov-এর লেখা একটা গল্প পড়েছিলাম, ‘The Fun They Had’
অবশেষে দোষী সাব্যস্ত কুলদীপ সেঙ্গার। প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক।
এই মানুষগুলোর খাদ্যের ব্যবস্থাও কিন্তু রাষ্ট্রকেই করতে হবে
বিজেপি সরকার প্রথম থেকেই ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করতে উদ্যত। সেখানে জম্মু ও কাশ্মীর মুসলিম রাজ্য
অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অকপট মতামত জানাচ্ছে আজকের নারী। সেই মতামতে রয়েছে রামধনুর রঙের মতোই অপার বৈচিত্র।