×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • CAA ঠিক, NRC-ও ঠিক; বাকি সব দেশদ্রোহ

    রজত কর্মকার | 31-01-2020

    মায়ের সঙ্গে ময়দানে খুদে। নিজস্ব ছবি।

    ‘শুন শুন বঙ্গবাসী, শুন দিয়া মন... মহাপুরুষ দিলু গোপের অমৃত বচন...’

     

    ওহঃ, একজন পুরুষ বটে! না, তিনি পুরুষ নন, মহাপুরুষ। না হলে এমন কথামৃত মুখ থেকে বার হয়? হতাশাগ্রস্ত রবীন্দ্রনাথ তাঁকে দেখেই তো লিখেছিলেন ‘অরূপ তোমার বাণী’। রামকৃষ্ণ পরমহংসের বাণীকে কথামৃত বলা হয়। কিন্তু এর পেছনে দিলুর কত বড় আত্মত্যাগ আছে সে সম্পর্কে হয়তো কারও ধারণাই নেই। অনেকে মস্করা করে বলেন, দিলু গোপ নাকি মল-মূত্র-কফ-থুতু ছাড়া জীবনে আর কোনও দিন কিছু ত্যাগ করেননি। তা নিন্দুকরা যা খুশি বলুন, তাতে কী যায় আসে। তবে কথামৃত-র কপিরাইট দিলু না ছাড়লে রামকৃষ্ণ দেবের কথা আর অমৃত হতে পারত না।

     

    সম্প্রতি দিলু নিজের বাণী প্রচার করতে গিয়ে অপূর্ব সমস্ত মধু মিশ্রিত বাক্য ব্যবহার করেছেন। শুনে মনে হয়েছে, আহা কী শুনিলাম, জন্ম জন্মান্তরেও ভুলিব না। যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁরা সাবধান। বিশুদ্ধ গোমূত্র পান করে এ বাক্যরাশি শুনবেন না, নইলে নির্ঘাত মৃত্যু। দিলু এমন বাক্য ঝেড়েছেন যে রবি ঠাকুর থেকে মধু কবি, হেমন্ত থেকে রামকিঙ্কর, সকলকে পেড়ে ফেলেছেন। বলি কী করেছেন এঁরা দেশ-সমাজের জন্য, যে কারণে তাঁদের নিয়ে মাতামাতি করতে হবে? সব  হতভাগ্য হতাশের দল। না হলে কেউ কবিতা লেখে, গান করে, ছবি আঁকে? সোনা মিশ্রিত দুধ আর বিশুদ্ধ গোময়-গোমূত্র সেবন না করলে এমন ভাবনা আসা সম্ভব নয়। শোনা যায়, দিলু গোপ প্রত্যহ তা সেবন করে থাকেন। তাই তিনি অত্যন্ত উর্বর মস্তিষ্কের অধিকারী। তাঁর মাথা ছাড়া এই মহান সত্য আর কারও মাথায় আসবে কী ভাবে?

     

    এখানেই শেষ নয়। অনেকে যে শিশুদের শুধুমাত্র শিশু বলে ভ্রম করেন, সে সম্পর্কেও সাবধান করেন দিলু। তিনি বলেন, এমন বহু অসুর রূপী শিশু আছে, যারা লুকিয়ে অমৃত খেয়ে বা পান করে থাকে। (অমৃত কেমন, চিবিয়ে খেতে হয় না গিলে সে সম্পর্কে দিলু কোনও জ্ঞান বাণী বিতরণ করেননি। তাই সে সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা সম্ভব হল না।) এর জন্যেই তারা কনকনে ঠান্ডাতেও সম্পূর্ণ নিরোগ থাকতে পারে। কারও কিচ্ছু হয় না। এ অনাচার অসহ্য। কেন কারও কিছু হয় না, কেন এ সমস্ত ছদ্ম অসুরদের শেষ নিঃশ্বাস বার হতে এত সময় লাগে তা নিয়ে খানিক ধন্দে ছিলেন দিলু। তাঁর গুরুভাইয়েরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সমাধানের নানা পথ বাতলাতে শুরু করেছেন। এটা নিশ্চিত যে, তাঁর উর্বর মস্তিষ্ক দিয়ে তিনি কোনও না কোনও সমাধানের পথ নিশ্চয়ই খুঁজে বার করবেন।


     


    রজত কর্মকার - এর অন্যান্য লেখা


    অসহায় চোখে ওরা দেখছিল আর ভাবছিল, যদি ফুলের পাপড়ির বদলে ওগুলো রুটি, বাতাসা, মুড়ি, মিষ্টি হত, তবে...

    পোধানমন্তীর ডাকে সাড়া দিয়ে ঘটি-বাটি-খোল-করতাল-কাশি-বাঁশি সব নিয়ে দলবল-সহ বেরিয়ে পড়েছিলেন রাস্তায়।

    পোশাক এবং গড়ন দেখে যে কেউ একবাক্যে বলবেন, মধ্য বয়সি এই ভদ্রলোক আফগানিস্তানের বাসিন্দা।

    এ বারের বক্তিমে “ছাত্রোঁ কে লিয়ে”। ওই “মিত্রোঁ”বলতে গিয়ে ছাত্রোঁ বলে ফেলেছেন। তা বলে ফেলেছেন যখন, তখ

    গরুর পেছনে গ্লাস নিয়ে ঘোরা মহাপুরুষদের মুখে বাণী নেই। কষ্টে প্রাণটা ফেটে যাচ্ছে।

    প্রয়োজন না থাকলেও একটু বেশিই মাছ কিনে ফেললাম। বাবা হিসাবে আর এক সন্তানের জন্য এটুকু তো করা যেতেই পার

    CAA ঠিক, NRC-ও ঠিক; বাকি সব দেশদ্রোহ-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested