"এ তোমার কী লীলা প্রভু? পথ দেখাও প্রভু, পথ দেখাও।'
কংস-কিরীটি বা তেমনই কোনও পৌরাণিক নাটকে এ ধরনের সংলাপে এ সময় গাঁ-গঞ্জের মানুষ পায়রা উড়িয়ে দিতেন। হাততালির দমকে অভিনেতাদের সংলাপ পর্যন্ত ভোলার অবস্থা হত। কিন্তু মাননীয়-র তুলনায় তাঁরা তো নেহাতই সামান্য অভিনেতা বিশেষ। তাঁদের আর কত কেত থাকবে বলুন!
বোর্ডের পরীক্ষা আসন্ন। তাই মাননীয় ঠিক করলেন, এ বারের বক্তিমে “ছাত্রোঁ কে লিয়ে”। ওই “মিত্রোঁ” বলতে গিয়ে ছাত্রোঁ বলে ফেলেছেন। তা বলে ফেলেছেন যখন, তখন তো আর ফেরানো যায় না। মাননীয় বলে কথা! বেজায় ব্যস্ত সময়ের মধ্যে থেকে মণি-মুক্তোর মতো মূল্যবান সময় বার করে ঘণ্টা দু’য়েক এট্টুখানি নিজের প্রশংসা শুনে এলেন।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: যদি কারও মধুমেহ রোগ থাকে, তাঁরা এই অনুষ্ঠান কোনও মতেই দেখা বা নিদেনপক্ষে শোনার দুঃসাহস করবেন না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রক্তে শর্করার পরিমাণ এক ধাক্কায় তিন গুণ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। সে কী প্রশংসা রে বাবা! রীতিমতো প্রতিযোগিতা চলছিল। কে বেশি, আরও বেশি প্রশংসা করতে পারেন। তালিকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে ছাত্রছাত্রী সকলেই রয়েছে। কচিকাঁচাদের অত দোষ দেওয়া যায় না। শিশু মন তো অত প্যাঁচ বোঝে না। ইস্কুলের দিদিমণিরা... ওহ সরি, স্কুল কে টিচার্স জেটা বোলকে দিয়া হ্যায়, তেমনই তো SAY করবে! তাই না।
আর অনুষ্ঠান তো সারা দেশের অগুনতি স্কুলে লাইভ বা ডেফার্ড লাইভ দেখানো হয়েছে। এক সঙ্গে এত সরস কচি মাথা খাওয়ার সুযোগ.... অ্যাহেম অ্যাহেম.... না মানে এক সঙ্গে এত ছাত্র-যুবাদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ কি হাতছাড়া করা যায় বলুন? তাই পরীক্ষার আগে ছোট্ট করে মগজ ধোলাইয়ের ক্র্যাশ কোর্স হয়ে গেল।
তার সঙ্গে সারা বিশ্ব দেখল এমন এক মাননীয়কে, যিনি বারবার তাঁর ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন। আর ছাড়া পেতে সেই মুখ দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন বেশ মোটা এক ব্যক্তিকে। যিনি অমিত-বিক্রমে প্রেসের লোকজনদের ডেকে ঝাঁ চকচকে ডিগ্রি দু’খানি সকলের মুখের ওপর মেরেছিলেন। হুঃ... অত সোজা নয়, মাননীয়-র ডিগ্রি বলে কথা। সব আসল মাল।
তা মাননীয় এত পড়াশোনা ও জ্ঞান ভাণ্ডার যে গোটা অনুষ্ঠানে মাত্র বার সাতাত্তর ভুল শব্দ উচ্চারণ করেছেন। সে আর এমন কী! বড়ে বড়ে দেশোঁ মে অ্যাইসি ছোটি ছোটি বাঁতে হোতি হ্যায় স্যানোরিতা। চুপি চুপি এই ফাঁকে আরও একটা কথা বলে রাখি, কাউকে বলবেন না। কবে যে গোটা দেশের হিন্দিকরণ হয় তার ঠিক নেই। তাই লেখার মাঝে মাঝে হিন্দিটা একটু ঝালিয়েও নিচ্ছি। নিজগুণে ক্ষমা করবেন।
নমস্কার।
পোধানমন্তীর ডাকে সাড়া দিয়ে ঘটি-বাটি-খোল-করতাল-কাশি-বাঁশি সব নিয়ে দলবল-সহ বেরিয়ে পড়েছিলেন রাস্তায়।
যারা গণধর্ষণে অভিযুক্ত, যারা দু’ জন মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলার উপক্রম করেছিল, তারা জামিন পায় কী ভাবে?
এমনিতেই মোদীবাবুর গুণের শেষ নেই। এত গুণের সঙ্গে তিনি কি ভবিষ্যৎদ্রষ্টাও?
যে কোনও চলে যাওয়া শূন্যতা তৈরি করে যায়। এস পি-র শূন্যতা ভরাট হওয়ার নয়।
ওহঃ, একজন পুরুষ বটে! না, তিনি পুরুষ নন, মহাপুরুষ। না হলে এমন কথামৃত মুখ থেকে বার হয়?
2018 সালে সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনায় চতুর্থ গ্রাম হিসাবে দোমারি-কে দত্তক নেন নরেন্দ্র মোদী।