সাভারকরের ‘হিন্দুত্ব’ অবধারণা এবং আজকের সংঘ পরিবারের এজেন্ডা
কলকাতা থেকে ডাক্তারি পাশ করা কেশব বলীরাম হেডগেওয়ার গান্ধীজির ডাকে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়ে জেল খেটে বেরিয়ে এসে ১৯২৫ সালে তাঁর হোম টাউন নাগপুরে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস প্রতিষ্ঠা করেন। কারণ তাঁর গান্ধীজির পথ ও পদ্ধতি নিয়ে মোহমুক্তি ঘটেছে। মার্চ, ১৯২৫-এ তিনি দেখা করেন রত্নগিরি জেলায় অন্তরীণ সাভারকরের সঙ্গে এবং তাঁর ‘হিন্দুত্ব’ বইটি তাঁকে প্রভাবিত করেছিল।
কিন্তু তার সাংগঠনিক রূপরেখা এবং তাত্ত্বিক ভিত্তি তৈরি করেন ওঁর পরবর্তী সরসংঘচালক গুরুজি গোলওয়ালকর। হেডগেওয়ার এবং গোলওয়ালকর দুজনেই মহারাষ্ট্রীয় চিতপাবন ব্রাহ্মণ, সাভারকরও তাই।
সংঘ পরিবারের রাজনৈতিক এজেন্ডা যে ‘হিন্দুত্ব’ বা ভারতে হিন্দুরাষ্ট্র স্থাপন, তা অবশ্যই সাভারকরের অবদান। তাঁদের মূল থিওরেটিক্যাল বই গুরুজী গোলওয়ালকরের ‘উই অর আওয়ার নেশনহুড ডিফাইন্ড’ স্পষ্টত সাভারকরের বড়দা বাবারাও সাভারকরের “রাষ্ট্র মীমাংসা” বইটির সংক্ষিপ্ত রূপ। প্রথমটির ছত্রে ছত্রে দ্বিতীয়টির ছাপ। কিন্তু সেইসময় এই ঋণ স্বীকার না করায় সাভারকর মনে হয় অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। এছাড়া, গোলওয়ালকরের চুলদাড়ি এবং পোশাকে সন্ন্যাসীর ভাবভঙ্গি রাজনৈতিক হিন্দুত্বের এবং ধর্ম সংস্কারের প্রবক্তা সাভারকরের না-পসন্দ ছিল। বিদ্রূপ করে বলতেন, “আরএসএস ভলান্টিয়ারের স্মৃতিফলকে লেখা থাকবে, জন্মেছিল, আরএসএস-এর সদস্য হল, তারপর কিছু না করেই মারা গেল।“ তাই হিন্দু মহাসভার কর্মীদের একসময় আরএসএস-এর সদস্য পদ ছেড়ে দিতে বলেছিলেন।(1)
আমরা দেখব যে সাভারকরের হিন্দুত্ব এবং আরএসএস-এর হিন্দুত্বের মধ্যে কী কী মিল এবং কোথায় অমিল।
সঙ্ঘ পরিবারের সাংস্কৃতিক ভারত নিয়ে ধারণার দুটো স্তম্ভ , ‘পুণ্যভূ’ (হোলিল্যান্ড) এবং ‘পিতৃভূ’ (ফাদারল্যান্ড) হুবহু তাঁর থেকে নেওয়া।
সঙ্ঘ পরিবারও সাভারকরের মতোই মনে করে কোনও ক্রিশ্চান বা মুসলমান হিন্দুস্থানের নাগরিক বা সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক হিন্দু হতে পারে না। কারণ তার জন্মভূমি যদি ভারত হয়, এবং সে যদি দেশপ্রেমিক হয়ও, তার পুণ্যভূমি আলাদা (আরব ও প্যালেস্তাইন)। ফলে সেই সব দেশের সঙ্গে যুদ্ধ হলে বা স্বার্থের সংঘাত হলে ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট' কাজ করবে।(2)
অতএব, সাভারকরের ভারতবর্ষে মুসলিম এবং ক্রিশ্চানদের স্থান নেই।
আরএসএস-এর গুরুজি গোলওয়ালকরের ‘এ বাঞ্চ অফ থট’ বইয়েও ‘ইন্টার্নাল থ্রেটস’ বলে একটি অধ্যায় আছে, যাতে শত্রু তিনজন- মুসলিম, ক্রিশ্চান এবং কমিউনিস্ট। এদের পিতৃভূমি এবং পুণ্যভূমি আলাদা যে!(3)
কারণ যদি 'পিতৃভূমি' এবং 'পূণ্যভুমি' এক না হয়, তাহলে মানুষের মনে টানাপোড়েন থাকবে এবং তার আনুগত্য বিভক্ত হবে।(4)
তাই সিন্ধুর এপারে সবাই হিন্দু। তাই ভারতে জন্মানো হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন সবাই রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক হিন্দু। কারণ তাদের জন্মভূমি (পিতৃভূমি) এবং 'পুণ্যভূমি' হিন্দুস্তান।
এবার দেখুন, কেন আজকাল কথায় কথায় সেকুলার বা লিবেরালদের পাকিস্তান চলে যেতে বলা হয় এবং কেন ক্ষমতাসীন দল নাগরিক রেজিস্টার এবং ছলে বলে কৌশলে মুসলিম বিতাড়নের ধুয়ো তুলেছে।
আরও পড়ুন |
বীর সাভারকর ১: স্বাধীনতা সংগ্রামী, নাকি আপসকামী? |
বীর সাভারকর ২: কাপুরুষ? নাকি ইংরেজ যাকে ভয় পেত? |
বীর সাভারকর ৩: সাভারকরের ‘হিন্দুত্ব’ তত্ত্ব
এখানে আমার দুটি প্রশ্ন:
১) সমস্ত ইউরোপীয় নেশন স্টেট বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের (যাঁরা জন্মসূত্রে নাগরিক) পিতৃভূমি এবং পুণ্যভূমি আলাদা। তা হলে এতদিন ধরে তাঁদের আনুগত্য কি দ্বিধাবিভক্ত রয়েছে? ইতিহাসের সাক্ষ্য কী বলে?
২) সিন্ধু এখন পাকিস্তানের প্রদেশ। তাহলে কি আমাদের বর্তমান নাগরিকদের সাভারকরের অখণ্ড হিন্দুরাষ্ট্র গড়তে সেটা কেড়ে নিতে হবে? আমরা 'জনগণমন' গানে সিন্ধু শব্দটা বাদ দিইনি। কেন?
কিন্তু ইউটিউবে বন্দেমাতরম শুনে দেখুন 'সপ্তকোটি কন্ঠ কলকল নিনাদ করালে' বদলে ' কোটি কোটি কন্ঠ কলকল নিনাদ করালে, কোটি কোটি ভুজৈধৃতখরকরবালে' করা হয়েছে।
আসলে আনন্দমঠে বঙ্কিম এখানে দেশ বলতে অবিভক্ত বঙ্গকেই বুঝিয়েছেন, গোটা ভারতকে নয়।
সাভারকর এবং সঙ্ঘ পরিবার মুসলমানদের নিয়ে একই রকম প্যারানইয়ায় ভোগে যে, মুসলমানরা ক্রমাগত সংখ্যাবৃদ্ধি করে দেশটাকে আরেকটি পাকিস্তান বানিয়ে তুলবে।
উনি তাই রিকনভার্সনের বা ধর্মান্তরিত ক্রিশ্চান এবং মুসলিমদের ‘শুদ্ধিকরণ’-এর মাধ্যমে হিন্দুসমাজে ফিরিয়ে আনার ডাক দিলেন। বর্তমান সংঘ পরিবার শুরু করেছে ঘর-ওয়াপসি আন্দোলন।
সাভারকর পাকিস্তান এবং চিনের মত শত্রুভাবাপন্ন প্রতিবেশি রাজ্যের সঙ্গে ‘ইঁটের বদলে পাটকেল’ নীতির পক্ষধর। বর্তমান বিজেপি সরকারের পেশি ফোলানো জাতীয়তাবাদ এবং ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ ‘ঘর মেঁ ঘুস কর মারনা’, ‘বদলা’ ইত্যাদি রেটোরিকে তারই প্রতিধ্বনি।
আরএসএস বৃহত্তর ভারত বলতে যে ম্যাপ আঁকে এবং তাকে যুগযুগান্তরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ভারত বলে কথিত ঐতিহাসিক দীননাথ বত্রার লেখা পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে প্রচার করে, তাতে আফগানিস্তান থেকে মায়নমার সবই ভারতবর্ষ।(5)
এটা অবশ্যই হিন্দুরাষ্ট্রের সাভারকরের আসমুদ্র হিমাচল এবং সপ্তসিন্ধু বেষ্টিত দেশ(6) ধারণাটি থেকে ধার করা।
শিবসেনা এবং বিজেপি ‘হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্থান’ শ্লোগান এবং উর্দু শব্দ নিয়ে ছুঁৎমার্গের ব্যাপারে সাভারকরের কাছে ঋণী।
ভারত-পাক যুদ্ধের (১৯৬৫) সময়ে তাঁর শ্লোগান ছিল ‘এক ধাক্কা অউর দো, পাকিস্তান তোড় দো’।(7) মুসলিমদের বিষয়ে তাঁর ‘দাঁতের বদলে দাঁত চোখের বদলে চোখ’ নীতির প্রয়োগ হিসেবে সংঘ পরিবারের বাবরি মসজিদ ভেঙে রামমন্দির প্রতিষ্ঠার প্রোজেক্ট ফুল মার্কস পাবে। তেমনই আরেকটি হাতে গরম প্রয়োগ হল ‘সিএএ’ বা নাগরিকত্ব সংশোধন আইন, ২০১৯, যাতে ধর্মীয় কারণে তিনটি মুসলিমবহুল দেশ থেকে ভারতে আসা মুসলিম ছাড়া অন্য শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
তাই সাভারকরের ঋণ সংঘ পরিবার আজ সুদে আসলে ফিরিয়ে দিচ্ছে তাঁকে সামনের সারির স্বাধীনতা যোদ্ধা হিসেবে প্রজেক্ট করে। সংঘ পরিবারের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় সাভারকরের ছবি সংসদের দেওয়ালে অন্যান্য স্বাধীনতা সংগ্রামীদের পাশে স্থান পেয়েছে। আন্দামানের সেলুলার জেলের নাম বদলে তাঁর নামে রাখা হয়েছে। অথচ ওখানে তাঁর চেয়ে বেশি সময় জেল খেটেছেন বা ওখানেই মারা গেছেন, এমন বন্দির নামও পাওয়া যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের মাধ্যমে প্রচার চলছে যে, সাভারকর নাকি আদৌ মুক্তি পাওয়ার আশায় ক্ষমা-টমা চাননি। প্রস্তাব উঠেছে তাঁকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ার।
এর পেছনে দুটি কারণ আছে বলে মনে হয়।
এক, বিজেপির নেতাদের মধ্যে (আরএসএস-এর) স্বাধীনতা সংগ্রামে জেল খেটেছেন, এমন নাম খুঁজে পাওয়া কঠিন। প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলীরাম হেড়গেওয়ার জেলে গেছেন কংগ্রেসি কার্যকর্তা হিসেবে। আরএসএস প্রতিষ্ঠার পরে নিজে যাননি , অন্যদেরও নিরুৎসাহিত করেছেন। অথচ কংগ্রেস এবং কমিউনিস্ট পার্টিতে অনেক নাম, এমনকি সেলুলার জেল খেটেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই।
দুই, গান্ধীজির নরম হিন্দুত্বের জায়গায় এক এক্সক্লুসিভ আক্রমণাত্বক হিন্দুত্বের তাত্ত্বিক প্রবক্তা তিনি এবং মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধিজনিত প্যারানইয়ার রূপকার।
কিন্তু আজ এই তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত। গত ১৫ আগস্টে প্রধানমন্ত্রী জনসংখ্যা বিস্ফোরণের আশঙ্কার কথা বলেছেন বটে, কিন্তু এটা ভিত্তিহীন। জনসংখ্যা বিস্ফোরণ কোথাও হচ্ছে না, ভারতেও না, অন্য কোথাও না। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ভারতের গড় প্রজনন রেশিও সূচক বা টোটাল ফার্টিলিটি রেট (টিএফআর), অর্থাৎ, প্রজননক্ষম বয়সে একজন নারী গড়ে কজনের জন্ম দিচ্ছে? সেটা হল ২.৩। এটা ২.২ হলেই বর্তমান জনসংখ্যা স্থির হয়ে যাবে। গড়ে এক বছরে যত জনের জন্ম হবে বা যত জনের মৃত্যু হবে, তা প্রায় সমান সমান হয়ে কাটাকুটি হয়ে যাবে। মজার ব্যাপার এই রেশিও মুসলিম প্রধান কাশ্মীরে মাত্র ১.৬ এবং বঙ্গেও তাই। অথচ হিন্দুপ্রধান গুজরাত এবং উত্তরপ্রদেশে ক্রমশ ২.৬ এবং ৩। মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেয়ে দ্রুতহারে কমছে।(8) এতক্ষণ আমরা দেখলাম যে, সাভারকরের হিন্দুত্ব এবং আরএসএস-এর হিন্দুত্বের মধ্যে কী কী মিল। কিন্তু দুটোর মধ্যে অমিলও বিস্তর। এবার অমিলের কথা বলা যাক।
সংঘ পরিবারের আজ দেশ জুড়ে ‘গোমাতা’ নিয়ে আক্রমণাত্বক প্রচার, ‘গোমাতা’ এবং গো-পূজা ওঁর মতে ‘বুদ্ধি-হত্যা’ ছাড়া আর কিছু নয়। গরু শুধু বাছুরের মাতা। গোমূত্র, গোবর খাওয়া নিয়ে তাঁর প্রবল বিতৃষ্ণা। সাভারকরের মতে বৌদ্ধধর্মের অহিংসা নীতি ভারতকে দুর্বল করে মুসলিম আগ্রাসনকে সহজ করে দিয়েছে। সিন্ধু আক্রমণের প্রসঙ্গে উনি বৌদ্ধদের বিশ্বাসঘাতক বলতে দ্বিধা করেননি।(9) কিন্তু গরু উপকারী পশু, তাই ওর সংরক্ষণ দরকার।(10)
"গো-পূজা' বলে প্রবন্ধে উনি মন্তব্য করলেন যে, নিজের অস্তিত্ব সংকটে পড়লে হিন্দুরা যেন গো-হত্যা করতে সংকোচ না করে।(11)
খাদ্যাখাদ্য নিয়ে আজ উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের ফরমান জারি করা মানে সাভারকরের চিন্তার বিপরীতে হাঁটা। উনি বলতেন, মানুষের নিজের পছন্দ মতো এবং সাধ্য মতো খাবার খাওয়ার অধিকার আছে। খাদ্যাভ্যাস দিয়ে যেন মানুষকে বিচার না করা হয়।(12)
আরও অমিল হিন্দুধর্মের বহিরঙ্গের আচার-অনুষ্ঠানকে তুচ্ছ করা। নিজের ছেলের উপনয়ন না করা, অথচ দলিতদের পৈতে দেওয়া এবং মন্দিরে দলিতের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা, স্ত্রীর দাহ না করা এবং শ্রাদ্ধাদি অনুষ্ঠান কিছুই না করা ইত্যাদি। এ ছাড়াও রয়েছে- আমিষ আহারের প্রশংসা, সাধুবাবাদের তাচ্ছিল্য করা, তাদের অলৌকিক ক্ষমতায় অবিশ্বাস করা, যা বর্তমান সরকার এবং সংঘ পরিবারের নেতাদের আচরণের বিপরীত। এখন রেপ ও হত্যার অপরাধে নিন্দিত আশারাম বাপু, রাম রহিম ও আরও অনেকের কাছে নির্বাচন জেতার জন্য আশীর্বাদ নিতে যাওয়া নেতাদের ভিডিও জনসমক্ষে বহুবার এসেছে। ঈশ্বর এবং প্রার্থনার শক্তি নিয়ে সাভারকরের বিখ্যাত উক্তিটি হল, ঈশ্বর যদি আদৌ থাকেন, দেখা যাচ্ছে তাঁর প্রার্থনায় সাড়া দেবার অভ্যেস নেই। (13)
আরও পড়ুন |
বীর সাভারকর ৫: দ্বিজাতিতত্ত্বের প্রশ্নে জিন্নার হাতে খেলেছিলেন সাভারকর |
বীর সাভারকর ৬: গান্ধীহত্যার সঙ্গে সাভারকরের আদৌ কোনও সম্পর্ক আছে? |
ব্রহ্মচর্যর বিপরীতে মানুষের যৌন চাহিদার তৃপ্তির গুরুত্ব নিয়ে সাভারকরের খোলাখুলি মতপ্রকাশ এবং লন্ডনে থাকার সময় মার্গারেট লরেন্স নামের ইংরেজ মহিলার সঙ্গে প্রেমের হাওয়ায় ভেসে বেড়ানোর খবর গোঁড়া হিন্দুদের সহ্যের বাইরে চলে গিয়েছিল। (14)
এসব নিয়ে জেরবার রত্নাগিরির উচ্চবর্ণের প্রতিনিধিরা বোম্বাইয়ের গভর্নরের কাছে আবেদন করলেন, যাতে উনি সাভারকরের ‘হিন্দু-বিরোধী’ কাজকর্মকে নিষিদ্ধ করে ওঁকে জেলা থেকে চলে যেতে বলেন। (15)
সাভারকরের ‘হিন্দুত্ব’ তত্ত্ব সংঘ পরিবার মাথায় করে রাখলেও ব্যক্তি সাভারকর নামক প্রহেলিকা আজ জীবিত থাকলে যে পদে পদে ওদের ‘সসেমিরা’ অবস্থায় ফেলতেন, এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
তথ্যসূত্র:
---------------------------
1 “সাভারকর, দ্য ট্রু স্টোরি অফ দ্য ফাদার অফ হিন্দুত্ব, পৃঃ 293-294 এবং “দ্য
ব্রাদারহুড ইন স্যাফ্রন, পৃঃ 36 এবং 40
2 ঐ; পৃঃ 119
3 গোলওয়ালকর; “বাঞ্চ অফ থটস”, পৃঃ 177-195
4 বৈভব পুরন্দরে, “সাভারকর, দ্য ট্রু স্টোরি অফ দ্য ফাদার অফ হিন্দুত্ব” পৃঃ 178-179। এর বিস্তৃত চর্চা সাভারকরেরন লেখা “হিন্দুত্ব” বইয়ে রয়েছে
5 দীননাথ বত্রার নির্দেশে মহারাষ্ট্রে স্কুলস্তরের পাঠ্য ইতিহাস বই এবং গত বছরের শেষে এনডিটিভিতে রবীশ কুমারকে দেওয়া ইন্টারভিউ (ইউটিউবে পাওয়া যায়)
6 সাভারকর, ‘হিন্দুত্ব’; প্রথম অধ্যায় থেকে গোটা বই জুড়ে অনেক বার বলা
7 বৈভব পুরন্দরে, “সাভারকর, দ্য ট্রু স্টোরি অফ দ্য ফাদার অফ হিন্দুত্ব” পৃঃ 328
8 নীতি আয়োগের দেওয়া তথ্য, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে অগাস্ট মাসে প্রকাশিত জনসংখ্যা বিষয়ক প্রবন্ধে উল্লিখিত।
9 পুরন্দরে, “সাভারকর, দ্য ট্রু স্টোরি অফ দ্য ফাদার অফ হিন্দুত্ব; পৃঃ 200-201
10 ঐ; পৃঃ 200-201
11 ঐ; পৃঃ 211
12 ঐ, পৃঃ 330
13 ঐ; পৃঃ 200
14 ঐ; পৃঃ 330
15 ফাড়কে, “শোধ সাভারকরঞ্চা, পৃঃ 141, এবং টাইমস অফ ইন্ডিয়া, 15 ডিসেম্বর, 1931
হাসবেন না; এটা সত্যি ভাববার কথা। এই সব গান-টানের পেছনে ঘাপটি মেরে থাকা গভীর চক্রান্তের হদিশ পাওয়া যা
চার-চারটে লকডাউনের পর এখন ‘লক ওপেন’-এর সময় ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দু’লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।
নোট ছাপিয়ে গরিবের হাতে টাকা, নাকি সহজ ঋণে শিল্প চালানোর সুবিধা?
তিলকের সুপারিশে সাভারকর ঠাঁই পেলেন লন্ডনের ইন্ডিয়া হাউস হোস্টেলে
সরকারের ভাঁড়ে মা-ভবানী। পিপিপি বা পাবলিক-পেরাইভেট করলে এঁদের ট্রাস্ট থেকে নিশ্চয়ই পয়সা আসবে।
রাষ্ট্রীয় বিচার নীতি: শত নির্দোষ জেলে পচে পচুক, একজন অপরাধীও যেন বাইরে না থাকে!