দেড়শো বছরের প্রাচীন দমনমূলক সিডিশন আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলে আইনের প্রয়োগ বন্ধ রাখতে বলল। সরকারের দিক থেকে আইন বজায় রাখার পক্ষে ধারাবাহিক সওয়াল করার পর হঠাৎই যেন ভূতের মুখে রাম নাম! নরেন্দ্র মোদীর মানবাধিকার প্রেমের কথা বলে সরকার বলছে তারাই আইন নিয়ে যা করার করবে! ব্যাপারটা কী? সরকার চায় কী?
1. সিডিশন আইন আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। সরকারের হাতে আইনের বিষয়টি ছাড়তে রাজি নয় সুপ্রিম কোর্ট।
2. গণতন্ত্রে আদালত দেশ চালাতে পারে না। নাগরিক সমাজ সিডিশন আইন নিয়ে গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে পারেনি, এটা আমাদের ব্যর্থতা।
3. সবসময় আদালতের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকা উচিৎ নয়, কৃষক আন্দোলন প্রমাণ করে দেখিয়েছে আন্দোলনের ফলে আইন রদ করতে বাধ্য হয়েছে সরকার।
4. 124A , UAPA আইন বিষয়ক প্রতিটি কেস সুপ্রিমকোর্টের কাছে এসেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই অপব্যবহার হয়েছে। কোর্ট অপব্যবহার রুখতে পারে না। অপব্যবহার হলেই কোর্টে আসে। এটি একটি রাজনৈতিক অস্ত্র তাই একে মোকাবিলা করার উপায় রাজনীতি।
5. গণতান্ত্রিক দেশে আদালত শেষ কথা কখনও বলবে না। সংসদও বলবে না। শেষ কথা বলবে নাগরিক সমাজ, সংঘবদ্ধ আন্দোলন।
6. সুপ্রিম কোর্টও বিভিন্ন সময় ভুল করেছে, এটাই সীমাবদ্ধতা। সমস্যাটা হচ্ছে শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে বারে বারে। অন্যদিকে, রামমন্দিরের মত গুরুত্বপূর্ণ রায় নিয়ে আস্থা হারায় সাধারণ মানুষ।
7. সুপ্রিমকোর্টের আজকের ভূমিকা আলোকবর্তিকার মত৷ শুরু রাজনীতি, বিচারবিভাগের ওপর ভরসা করলে হবে না। প্রয়োজন গণআন্দোলন, অন্তহীন মিছিলের প্রয়োজন। একটা উত্থান দরকার সাবঅল্টার্ন সমাজের।
8. সচেতন সমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আইন, প্রশাসন ব্যবস্থা কিন্তু নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই করে থাকেন। যারা এই ইনস্টিটিউশন গুলোকে ধ্বংস করছে। এটাকে গণতান্ত্রিক লড়াই হিসেবে দেখতে হবে৷
মিথ্যা প্রচার, কুসংস্কারের সাঁড়াশি চাপে আজ বিপর্যস্ত বিজ্ঞানসম্মত ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতি।
বিজেমূল নিয়ে ভুল স্বাকারের পর প্রতিষ্ঠানবিরোধী বাম রাজনীতির পরিসরটা কি ফিরে পেতে পারে তারা?
কেন্দ্র-রাজ্য সর্বস্তরেই কি মানবাধিকার কমিশন এখন সরকারের একটি দফতর?
সেন্সর বোর্ডের উপরে সুপার সেন্সরশিপ? চলচ্চিত্রেও সরকারের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার কৌশল?
রাজ্যে স্কুল খোলার পরে কী, তা নিয়ে এখনও সরকারি স্তরে চিন্তাভাবনা কোথায়?
ভারতীয় গণতন্ত্র মোদী জমানায় ক্রমশ পিছাতে পিছাতে এখন ডাহা ফেল। রাজার কাপড় নেই - বলার মিডিয়াও নেই!