চিকিৎসার দুর্নাম করে ডাক্তারদের তোপের মুখে। বড় বড় নেতা মন্ত্রীদের মুখে গোবর গোমূত্রের বন্দনা। মিথ্যা প্রচার ও কুসংস্কারের সাঁড়াশি চাপে আজ বিপর্যস্ত বিজ্ঞানসম্মত ও স্বীকৃত ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতি। এই বিষয়ে গত 2 জুন (বুধবার) www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় ক্লিনিক্যাল ফার্মাকোলজিস্ট শান্তনু ত্রিপাঠী, আয়ুর্বেদ চিকিৎসক শবরী সেনগুপ্ত এবং জীবপ্রযুক্তিবিদ সুস্মিতা ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
1) আয়ুর্বেদ শুরু হয়েছে সেই বৈদিক যুগ থেকে। মানব সভ্যতা যতদিন থাকবে আয়ুর্বেদ থাকবে, এটা শেখায় কী করে আমরা সুস্থ, ভাল ভাবে বাঁচতে পারি। আমাদের লাইফ স্টাইল কেমন হওয়া উচিত সবই আয়ুর্বেদে লেখা আছে। এর মূল মন্ত্রই হচ্ছে যে সুস্থ তাকে সুস্থ রাখা এবং অসুস্থ যে তার রোগ নিরাময় করা। শুধু ওষুধ পত্রের মধ্যেই আয়ুর্বেদ সীমাবদ্ধ নয়, এর পরিধি বিশাল।
2) অনেক সময় এমনটাও দেখা গেছে আয়ুর্বেদ ওষুধে হেভি মেটাল পাওয়া গিয়েছে। যে পরিমাণে যে গাছের বা প্রাকৃতিক জিনিস মেশানোর কথা তা অনেক সময়ই থাকে না।
3) আজকাল আয়ুর্বেদে নামে যেটা চলছে সেটা প্রকৃত আয়ুর্বেদ নয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যাঁরা আজও পুরনো আয়ুর্বেদ পদ্ধতিতে চিকিৎসা করেন তাঁর গ্রহণযোগ্যতা কতটা? কতজন যাবেন তাঁর কাছে! মর্ডানাইজেশন, বা ইত্যাদির জন্য সেই পুরনো আয়ুর্বেদ চিকিৎসা অনেকেই নিতে চাইবেন না। সেটা গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।
4) আয়ুর্বেদশাস্ত্র রোগ নয়, রোগীর চিকিৎসা করে। রোগীর মনের অতলে পৌঁছতে চায় আয়ুর্বেদ।
5) আয়ুর্বেদের সঙ্গে আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্রের বেশ কিছু মিল এবং অমিল দুই-ই আছে। আয়ুর্বেদ ঔষধি গাছের ভেষজ গুণকে কাজে লাগিয়ে ওষুধ তৈরি করে আর আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্র এগুলোর সাহায্যেই অন্য প্রকারে ওষুধ তৈরি করে। তবে আয়ুর্বেদ পরীক্ষা করে দেখে সেই ওষুধে রোগী আদৌ সুস্থ হচ্ছে কিনা।
6) এই দেশে এখনও বহু মানুষের আয়ুর্বেদের ওপর অগাধ আস্থা আছে। তাই সরকারও আয়ুর্বেদকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু তা করতে গিয়ে একজন স্বঘোষিত যোগগুরু আর তাঁর সংস্থাকে এতটাই প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে যে, তিনি আয়ুর্বেদ চিকিৎসার নামে মস্ত ব্যবসা ফেঁদে বসেছেন।
বাংলার যুদ্ধ শেষ, খেলা এবার দিল্লিতে। বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার কাজে সপ্তাহভর রাজধানীতে মমতা।
সমবায় গুলির নিয়ন্ত্রণ রাজ্যের হাত থেকে কেড়ে, মন্ত্রী হিসেবে এবার কেরামতি দেখাবেন অমিত শাহ?
অকারণে অযৌক্তিকভাবে স্কুলে গরমের ছুটি দিয়ে লেখাপড়ার কতটা সর্বনাশ হচ্ছে?
প্রায় দু'বছর পর কাশ্মীরের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলেন প্রধানমন্ত্রী, কী হতে যাচ্ছে কাশ্মীরে?
রাজ্যের স্কুলগুলিতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নেই, উপরন্তু সেই নিয়োগ নিয়ে মারাত্মক দুর্নীতির অভিযোগ।
শুধু দানিশ সিদ্দিকি নন, তালিবানি আফগানিস্থানে কোন পরিস্থিতিতে কাজ করেন সাংবাদিকরা?