রাজ্যে স্কুল খোলার বিষয়ে অবশেষে সর্বোচ্চ স্তরে গুরুত্ব দিয়ে ভাবা হচ্ছে। কিন্তু খোলার পরে কী, তা নিয়ে এখনও সরকারি স্তরে চিন্তাভাবনা কোথায়? শিশুদের হারিয়ে যাওয়া সময় আর তার ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে দেওয়া যাবে? এই বিষয়ে গত 24 অগস্ট (মঙ্গলবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় শিক্ষাবিদ সুকান্ত চৌধুরী, পবিত্র সরকার এবং প্রতীচী ট্রাস্টের সাবির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
1) মহামারীর কারণে অনেক বাচ্চা স্কুলছুট হয়ে যাচ্ছে, মূলত ছেলেরা। মেয়েদের কারও বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, ছেলেরা কেউ কেউ বাবা মায়ের সঙ্গে সবজি বিক্রি করছে, আবার কেউ ক্ষেতে চাষ করছে। ফলে স্কুলছুটের সংখ্যা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে, যদিও সঠিক সংখ্যা বলা মুশকিল। একই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে বাল্য বিবাহের ঘটনা।
2) কলকাতার এমন অনেক স্কুল আছে যেখানে অনেক ছাত্র, আবার অনেক স্কুল আছে যেখানে কোনও ছাত্রই নেই। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিকে এডুকেশন এমার্জেন্সি হিসেবে গণ্য করে যদি রিডিস্ট্রিবিউশন করা যায়, তাহলে ভাল হবে।
3) বর্তমান পরিস্থিতিতে স্কুল খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে জট কাটাতে যাঁরা এই বিষয়ে জড়িত অর্থাৎ শিক্ষক, শিক্ষাবিদ এঁদের পরামর্শ নিতে হবে। আলাপ আলোচনায় বারবার বসতে হবে। তবেই পথ বেরোবে। ভাবতে হবে কী করে স্কুলছুট বাচ্চাদের আবার শিক্ষার অঙ্গনে ফিরিয়ে আনা যায়।
4) অনেক স্কুলছুট পড়ুয়াই হয়তো আর পড়াশোনার মূলস্রোতে ফিরতে পারবে না। বহু মেয়ে যেমন পড়াশোনার অঙ্গন থেকে হারিয়ে যাবে, তেমনই বহু ছেলেও পড়াশোনা ছেড়ে অন্য কাজের সন্ধ্যানে চলে যাবে, ইতিমধ্যেই চলে গেছে।
5) নারীশিক্ষা নিয়ে এত কথা হয় এ রাজ্যে, অথচ ছেলেদের শিক্ষা নিয়েও চর্চা হওয়া জরুরি। লিঙ্গ অনুপাতে এ রাজ্যে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের সংখ্যা বেশি হলেও, উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের সংখ্যা বেশি। তার মানে বিদ্যালয় স্তরেই বহু ছেলে স্কুলছুট হয়েছে।
6) ডিজিটাল ডিভাইড শিশুমনে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলছে। একটা বাচ্চার মনে ঢুকে যাচ্ছে যে, তার বাবার আর্থিক সঙ্গতি নেই বলে সে ক্লাস করতে পারছে না। অথচ তার অবস্থাপন্ন ঘরের বন্ধুটি দিব্যি ক্লাস করতে পারছে। মুখে যাই দাবি করা হোক, মাত্র 20-22 শতাংশ পড়ুয়া নিয়মিত অনলাইন ক্লাস করতে পারছে।
7) অনলাইন ক্লাসের জন্য স্মার্টফোন বা ল্যাপটপের মতো একটা ডিভাইস চাই। সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ এবং তার জন্য মাসে গড়ে অন্তত 500-600 টাকা। সবার পক্ষে এতটা ব্যয় বহন করা যেমন সম্ভব না, তেমনই রাজ্যের সর্বত্র নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নেই।
8) কী উপায়ে পঠনপাঠন চালু করা হবে জনপরিসরে তাই নিয়ে চর্চা হওয়া জরুরি। ভাবতে হবে শুধু সিলেবাস শেষের দিকেই নজর দেওয়া হবে নাকি বুনিয়াদি শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হবে।
9) গ্রাম, এমনকি শহরের অনেক স্কুলে এক একটা শ্রেণীতে অনেক পড়ুয়া একত্রে বসতে বাধ্য হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে কিন্তু কোভিড বিধি মেনে পড়ুয়াদের বসার বন্দোবস্ত করতে হবে। স্যানিটাইজার, সাবানের জন্য ব্যয় বরাদ্দ করতে হবে। শৌচাগারগুলির দেখভাল করতে হবে।
প্রকৃত বিরোধী দল বিজেপি যখন কিছুটা হতোদ্যম, তখন রাজ্যপালকেই কি রাজনৈতিক বিরোধিতার দায়িত্ব নিতে হল?
মমতা-মোদীর জেদাজেদিতে কতটা ক্ষতি বাংলার মানুষের?
দুর্নীতিমুক্ত আদর্শবাদী রাজনীতি করি বলে বুক ঠুকে বলার দম কতজন বিরোধী নেতার আছে?
জাতীয় সম্পদ ব্যবহার করে অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা করছে মোদী সরকার। কাদের হাতে যাবে বিপুল সম্পদ?
কোভিড পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে জনগণের মতামত জানতে চেয়ে নজির গড়ল বাংলা।
তৃণমূলের দিল্লি দখলের স্বপ্ন সফল হওয়ার সম্ভাবনা কতটা?