×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • সিনেমায় সুপার সেন্সরশিপ

    4thPillar WeThePeople | 12-07-2021

    সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় চিত্রপরিচালক গৌতম ঘোষ, অনীক দত্ত, নাট্য ব্যক্তিত্ব সুমন মুখোপাধ্যায় ও  সাংবাদিক সুব্রত সেন।

    সিনেমা সংক্রান্ত আইনে বড় পরিবর্তন করতে চলেছে সরকার। মতামত চাওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের। সেন্সর বোর্ডের উপরে সুপার সেন্সরশিপ? সরকারের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার কৌশল? এই বিষয়ে গত 11 জুলাই (রবিবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় চিত্রপরিচালক গৌতম ঘোষ, অনীক দত্ত, নাট্য ব্যক্তিত্ব সুমন মুখোপাধ্যায় ও  সাংবাদিক সুব্রত সেন উপস্থিত ছিলেন।

     

     

    1) সিনেমাটোগ্রাফ অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট, 2021 একটি অত্যন্ত অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক একটি আইন।


    2) শিল্প এবং শিল্পীর স্বাধীন কণ্ঠকে রোধ করার জন্য এই আইন আনা হচ্ছে। সরকার ভয় পাচ্ছে। অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে, তাই কণ্ঠ রোধ করতে চাইছে।


    3) সরকার সেন্সর বোর্ডের বাইরেও সিনেমায় নিজেরাই সেন্সরশিপ বসাতে চায়, শুধুমাত্র মুক্তচিন্তা ও বিরুদ্ধমতকে আটকাবে বলে।


    4) এমনিতেই চলচ্চিত্রে প্রতিষ্ঠান বিরোধী স্বাধীন মতামত থাকলে পরিচালক এবং প্রযোজককে অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। তাঁরা এটা জেনেই এগোন যে, যে কোনও মুহূর্তে সেন্সরের কাঁচি চলতে পারে, ছবির মুক্তি আটকে যেতে পারে। তবু তাঁরা এগোন। এবার নতুন আইন করে এঁদের পুরো থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হলে, এই দেশে আর ভাল সিনেমা হবে না।


    5) সরকার আইনের ফাঁসে যত স্বাধীন মতকে রুখতে চাইবে, তত আইন না মানার প্রবণতা বাড়বে। বহু ছবি সেন্সরকে এড়িয়েই মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করবে। তাছাড়া নাটক, সাহিত্য, টেলিভিশন কোথাও যখন সেন্সরের খাঁড়া নেই, সিনেমার ক্ষেত্রেই এটা থাকবে কেন?


    6) চলচ্চিত্রকে যদি আমরা মুক্তচিন্তা প্রকাশের একটা মাধ্যম হিসাবে ধরে নিই, সেখানে সেন্সর বোর্ড নামক প্রতিষ্ঠানের থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। ছবির বিষয়বস্তু অনুসারে বড়জোর গ্রেডেশন করা যেতে পারে। 2016 সালে বর্তমান সরকারের আমলে পরিচালক শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত কমিটি সর্বসম্মত ভাবে সরকারকে এই প্রস্তাবই দিয়েছিল। বিভাগীয় মন্ত্রী তা শুনেওছিলেন। তারপর অন্য অনেক কমিটি রিপোর্টের মতোই এই রিপোর্টও সংসদে পেশ করা হয়নি।


    7) স্বৈরাচারী শাসকের মতামত নিয়ন্ত্রণ করার এই প্রয়াস আগেও দেখা গিয়েছে। অনেক সময় তাৎক্ষণিক ভাবে বোঝা যায় না, নতুন আইনে কী বৃহত্তর লক্ষ্য রয়েছে। এরপর এই আইনবলে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সহ অন্য মাধ্যমকেও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হতে পারে।


    8) মুক্তচিন্তা রক্ষার তাগিদে চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলকে এই আইনের বিরুদ্ধে সরব হতে হবে, নিজেদের আপত্তির কথা জানাতে হবে। মুম্বইয়ে কিছু প্রযোজক সংস্থার তরফে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলায় কোভিড ও আরও অনেক কারণে এমন সম্মিলিত উদ্যোগ এখনও নেওয়া যায়নি। কিন্তু এই উদ্যোগ সকলকে নিতেই হবে।


    9) অতীতে সেন্সর বোর্ডে আটকানো অধিকাংশ চলচ্চিত্রের পরিচালক আদালতে গিয়ে সুবিচার পেয়েছেন। কিন্তু বর্তমান সরকার এই নয়া বিধানকে আইনগত ভিত্তি দিয়ে দিলে এবং সেই আইন আদালতে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন না হলে পরিচালক ও সিনেমার সঙ্গে যুক্ত মানুষরা কতটা বিচার পাবেন, তাই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তাই আইনে পরিণত হওয়ার আগেই এই প্রস্তাবেই বিরোধিতা করা জরুরি।


    10) বাংলার অনেক মানুষই এখনও এই আইনটার ভয়াবহতা বুঝতে পারছেন না যে, এর জন্য ভবিষ্যতে কী দিন আসতে চলেছে। আলোচনা শুরু হয়েছে কিন্তু সংগঠিত প্রতিবাদ এখনও দেখা যায়নি।


    4thPillar WeThePeople - এর অন্যান্য লেখা


    টিকাকরণের উপর মানুষের আস্থার প্রশ্ন জড়িত দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য তদন্তের ওপর।

    বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ, ত্রিপুরার থেকে বাংলা কোথায় আলাদা বর্তমানে?

    মোদী জমানায় মিডিয়াকে করে কম্মে খেতে হলে সরকারের গোদি অর্থাৎ কোলে বসা হতেই হবে!

    সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় রঞ্জন রায়, অনিকেত চট্টোপাধ্যায় ও শুভনীল চৌধুরী।

    পদ্ম-পুরস্কার নিয়ে কুটিল রাজনীতির আবর্তে শিল্প ও শিল্পী।

    কাগজপত্রে সর্বত্র অশোক স্তম্ভ, তবু নাকি পিএম কেয়ার্স ফান্ড সরকারি নয়!

    সিনেমায় সুপার সেন্সরশিপ-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested