ভোটের ফল বেরোনোর দুমাসের পর সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক স্বীকার করলেন যে বিজেমূল রাজনৈতিক প্রচারের কৌশল ভুল ছিল। তৃণমূল সরকারের নানা জনকল্যাণমূলক কর্মসূচিকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ তাচ্ছিল্য করাও ঠিক হয়নি। প্রতিষ্ঠানবিরোধী বাম রাজনীতির পরিসরটা কি ফিরে পেতে পারে তারা? এই বিষয়ে গত 8 জুলাই (বৃহস্পতিবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী, রজত রায় এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী উদয়ন বন্দোপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
1) বামফ্রন্ট রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বিজেমূল স্লোগান নিয়ে ভুল স্বীকার করেছেন। একে স্বাগত জানানো উচিত। কিন্তু এরকম অজস্র ভুল এখনও রয়ে গেছে। দলের অন্দরে সেগুলো কবে আলোচিত হবে কেউ জানে না। দলে যারা এউ ভুলগুলো চিহ্নিত করতে চাইছেন, তাদের এই নিয়ে বলতে দেওয়া হবে কিনা, তাই নিয়েও সংশয় রয়েছে।
2) ভোটের ফলাফল থেকেই এটা প্রমাণিত হয়েছে, মানুষ বিশ্বাস করেনি বিজেপি আর তৃণমূল সমান বিপদ। যাদবপুরের মতো বহু জায়গায় সিপিএমের বহু সমর্থক বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, কিন্তু তৃণমূল নিজের ভোট ধরে রাখতে পেরেছে। তাই তারা জয় পেয়েছে।
3) সিপিএমের ভুল নিয়েই সংবাদমাধ্যমে বারবার আলোচনা হয়৷ কেননা নির্বাচনের পর সিপিএম সংগঠনের প্রতিটি স্তরে এই ভুলগুলো নিয়ে ক্রমপর্যায়ে আলোচনা করে। তারপর ভোটের আগে আবার সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করে, কিংবা অন্য কোনও ভুল করে।
4) পরাজিত দলের ভুল বেশি খোঁজা হয়, এটা ঠিক। কিন্তু সামাজিক আন্দোলন ছাড়া বঙ্গের সিপিএম ও অন্যান্য বাম দলগুলি শুধু ভোটকেন্দ্রিক কৌশল তৈরি করেছে, যেগুলো মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি।
5) কেরালা, তামিলনাড়ুতে কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক আন্দোলন, তামিলনাড়ুর ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী আন্দোলন বাম মতাদর্শকে পুষ্ট করেছে। সেক্ষেত্রে ব্রাহ্মণ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনের মুখ রামস্বামী পেরিয়ারকে কি আমরা বামপন্থী বলতে পারি না?
6) সিপিএমের নেতৃবৃন্দ যে চোখে সমাজকে দেখেন, তার তুলনায় সমাজটা অনেক বদলে গেছে। পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতি ক্রমে গুরুত্ব বাড়িয়েছে। এবারে বামেদের নতুন যুব মুখদের নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের বক্তব্যেও সেই পুরনোপন্থীদের কথারই প্রতিধ্বনি, কোনও নতুনত্ব নেই।
7) সিপিএমের ফলাফল যাই হোক, বাম মতাদর্শ টিকে থাকবে। এই মতাদর্শের টিকে থাকা প্রয়োজনও। তবে বামপন্থারও উগ্র গোঁড়ামি থেকে বেরিয়ে এসে আরও উদারধর্মী হওয়া প্রয়োজন। বিশ্বজুড়ে উগ্র দক্ষিণপন্থী শক্তিকে বহুবার বামঘেঁষা মধ্যপন্থীরা রুখেছেন। এই রাজ্যে তৃণমূল হয়তো সেই ভূমিকা পালন করতে পারে, এমনটা বিশ্বাস করেই মানুষ তাদের ভোট দিয়েছে।
রাজনীতিতে বিরামহীন দলবদল যেন বহুজাতিক সংস্থায় সুযোগ বুঝে চাকরি বদলোনোর মতোই একটা ব্যাপার হয়ে উঠছে।
সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় রঞ্জন রায়, অনিকেত চট্টোপাধ্যায় ও শুভনীল চৌধুরী।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া নিয়ে এখনও বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তা। কীভাবে হবে মূল্যায়ন?
হাইকোর্টের নির্দেশ, প্রশাসনিক বিধি ভেঙে পুজোর আড়ম্বরে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতা নেতা মন্ত্রীদের।
বিয়ে প্রেমের গালগল্প ছাড়া বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নুসরত জাহানের অবদান কী?
বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোভিড মোকাবিলায় ব্যর্থতার কথা তুলে ধরলেই প্রয়োগ করা হচ্ছে এফআইআর থেরাপি!