পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনের পর হিংসার ঘটনা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজিরবিহীন রিপোর্টে আক্রান্ত একটি পক্ষের চিত্রই শুধু।আবার রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে কোনও অভিযোগই জমা পড়ে না। সর্বস্তরেই কি মানবাধিকার কমিশন এখন সরকারের একটি দফতর? এই বিষয়ে গত 17 জুলাই (শনিবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ এবং সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী উপস্থিত ছিলেন।
1) মানবাধিকার কমিশনের কাজ হচ্ছে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে সেটা দেখা। অভিযোগ না থাকলে দেখার দরকার নেই।
2) পশ্চিমবঙ্গে ভোটের সময় বা পরে হিংসার ঘটনা ঘটলে তা ন্যাশনাল মিডিয়ার আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। অথচ ক’দিন আগেই উত্তর প্রদেশে হিংসার ঘটনা ঘটল। তা নিয়ে না লোকাল নিউজ বা ন্যাশনাল নিউজ চ্যানেলগুলোতে কিছু আলোচনা হচ্ছে? পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আর অন্য কোনও রাজ্যেরই হিংসার খবর প্রকাশ্যে আসে না। কেন? এটা কি রাজ্যকে কালিমালিপ্ত করার সুপরিকল্পিত একটি ছক?
3) দেশে এবং রাজ্যে মানবাধিকার কমিশনকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে৷ সরকার অনুগত কিছু অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে কমিশনের মাথায় বসানো হচ্ছে।
4) জাতীয় নির্বাচন কমিশন ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছে তা বিতর্কিত। কিন্তু কমিশন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই যা করার করেছে। রাজ্য পুলিশ উপযুক্ত পদক্ষেপ নিলে এবং ভোট-পরবর্তী হিংসার এত অভিযোগ জমা না পড়লে হাইকোর্ট এমন নির্দেশ দিত না।
5) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকায় একটা রাজনৈতিক পক্ষপাত আছে। রাজ্যে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ হয়েছে, এটা সত্যি। কিন্তু শাসক তৃণমূল আক্রান্ত হলে কমিশন সেই ঘটনার কথা রিপোর্টে উল্লেখ করেনি। এতে মানবাধিকার কমিশনের নিরপেক্ষতা নষ্ট হয়েছে।
6) ভোট-পরবর্তী হিংসা এই রাজ্যের একটা লজ্জাজনক রাজনৈতিক সংস্কৃতি। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এই নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি। যুযুধান দুই শিবিরই হুমকি, পালটা হুমকি দিয়ে এই হিংসার পরিবেশ তৈরি করেছিল। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যদি এই ব্যাপারে উভয়পক্ষকেই দায়ী করত, তাহলে হয়তো একটা হিংসার নিরপেক্ষ চিত্র উঠে আসত।
7) শাসকদলের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সম্পর্কে কিছু আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেছে কমিশন। হাইকোর্টে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলিকে প্রমাণ করতে হবে কমিশনকে। এটা কমিশনের রিপোর্ট মাত্র। বিচারের সিদ্ধান্ত মহামান্য হাইকোর্টের।
8) অনেক রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নথিভুক্ত হয় না৷ যে রাজ্যে প্রচুর অভিযোগ নথিভুক্ত হয়, সেই রাজ্য মানবাধিকার রক্ষায় প্রশাসন সচেষ্ট বলে ধরে নেওয়া হয়। তবু, বিজেপি শাসিত অনেক রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর ঘটনা ঘটে গেলেও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে নীরব থাকতে দেখা গেছে।
9) সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শাসক শিবির দুর্বল করার চেষ্টা করলেও, এখনও এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি মানুষের আস্থা রয়েছে৷ বেশ কিছু জায়গায় সরকারি চাপের কাছে মাথা নত না করেও এই প্রতিষ্ঠানগুলি নির্ভীকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তাই মানবাধিকার রক্ষায় অনেক বিচ্যুতি থাকলেও, এখনই হাল ছেড়ে দেওয়ার কারণ নেই।
5 মিনিটে জমির দাম দু' কোটি থেকে 18 কোটি, রামের নামে সবই চলে?
কৃষি আইন প্রণয়ন কিংবা প্রত্যাহার, সংসদে বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন বোধই করল না শাসক দল বিজেপি।
মা নিজেই নিয়েছে সন্তানের সব দায়িত্ব। তবুও তার পিতৃত্ব নিয়ে চর্চার শেষ নেই।
দুর্নীতিমুক্ত আদর্শবাদী রাজনীতি করি বলে বুক ঠুকে বলার দম কতজন বিরোধী নেতার আছে?
মাধ্যমিক এবং একাদশে মিনিমাম নম্বর পেয়ে পাশ করলে সংসদের ফর্মুলায় উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল!
রাজ্যে স্কুল খোলার পরে কী, তা নিয়ে এখনও সরকারি স্তরে চিন্তাভাবনা কোথায়?