"ছোট্ট ঘটনা', "সাজানো ঘটনা'-র মতো আজকাল কিছু "বিচ্ছিন্ন' ঘটনা, ঘটে রাজ্যে। "লাভ অ্যাফেয়ার্স', "প্রেগন্যান্ট' বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও চলে। নির্যাতিতার মা যখন জোর গলায় জানিয়ে দেয় তাঁর নিপীড়িত কন্যাটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল না, তখন ভিজে বেড়ালটি সেজে এক হাতে চাকরি আরেক হাতে নগদ লাখ দুই থেকে পাঁচ টাকা নিয়ে নির্যাতিতার দরজায় হাজির হওয়াই এখন এ রাজ্যের দস্তুর! সব কিছুই এখন অর্থ এবং চাকরি দিয়ে কেনা যায়, আড়াল করা যায়।
ছোটবেলায় দিদিমা, ঠাকুমার মুখে একটি প্রবাদ শুনতাম, "মেয়েরাই মেয়েদের সব থেকে বড় শত্রু'। আর বারবার ঠিক সেই কথাই যেন তাঁর বক্তব্য প্রমাণ করে দিচ্ছে। নইলে ধর্ষণের মতো ঘটনাকে কেউ ছোট্ট ঘটনা বলতে পারে? প্রেম ছিল তাই ধর্ষণ করেছে বলে আড়াল করতে পারে? আচ্ছা, প্রেম করলে বুঝি জোর করে, মেয়েটির অনিচ্ছায় তার সঙ্গে অত্যাচার করা যায়? এটা যদি আজ বিরোধী দলের কেউ করত তখন? নিজের দলের একটা অকালকুষ্মাণ্ডকে বাঁচানোর এত চেষ্টা কেন? রাজ্যের মানুষের বিপুল সমর্থন পেয়েই তো এই সরকার ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এক বছরও হয়নি। মানুষ কি ধর্ষণকে লঘু করার পক্ষে রায় দিয়েছিল?
আরও পড়ুন:দেশ জুড়ে হিন্দুত্ববাদের নতুন ঢেউ
একজন নারী যদি এক কিশোরীর সম্মানের দাম না দেন, কে দেবে? ইচ্ছার বিরুদ্ধে যা করা হয় তাকে কী বলে? নাকি স্রেফ নিজের দলের কেউ করেছে বলে অন্ধ হয়ে থাকতে হবে? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এটা শোভা দেয়? বহু মানুষের বাস বলেই ধর্ষণ ঘটবে রাজ্যে আর তা মানতে হবে? বাহ!
তাহলে তো আর কিছু বলারই নেই। কামদুনি থেকে পিংলা, কিংবা হাঁসখালি ঘটতে থাকুক। আসতে থাকুক এমন উপমা। বাড়তে থাকুক অপরাধীদের স্পর্ধা। গুমরে মরুক বিচারের বাণী। পুড়ে ছাই হয়ে যাক নির্যাতিতারা। প্রতিবাদ করলে কপালে যুটুক "সন্ত্রাসবাদী'র তকমা। আর এর মাঝেই আরও বেশ কয়েকটা "ছোট ঘটনা' ঘটে যাক। আপনার তাতে কী? চৌদ্দতলা অবধি ওদের চিৎকার, আর্তনাদ পৌঁছবে না জানি। তাই ওই গুটিকয় টাকা দিয়েই নাহয় সম্মানের ভর্তুকি চলুক!
নিউ নর্মালে সবই কেমন যেন বদলে যাচ্ছে, বদলে গেছে চেনা আড্ডা, চেনা জায়গাগুলো।
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে গলে যাচ্ছে কুমেরুর বরফ, বাড়ছে জলস্তর। তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর
মহামারীজনিত আইনগত বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করল সরকার, প্রায় দু’বছর পর মুক্ত জীবন ফিরে পেল দেশবাসী।
মহাকাশ গবেষণায় যেন এক নতুন দিগন্ত খুলে দিল নাসার এই নতুন আবিষ্কার।
আর্বানাইজেশন এবং ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের কারণে দিল্লি তপ্ত কড়াইয়ে পরিণত হয়েছে
বারবার আরটিপিসিআর টেস্ট করলেই হতে পারে বিপদ!