সত্যিকে চাপা দেওয়ার ঘৃণ্য চক্রান্ত
রেটিং: 4/5
২৬ এপ্রিল, ১৯৮৬। রাত ১টা ২০ মিনিট। তত্কালীন অবিভক্ত রাশিয়ার প্রিপিয়াত শহর কেঁপে উঠেছিল বিস্ফোরণের শব্দে। প্রিপিয়াত নামের সঙ্গে পরিচয় না থাকলেও চেরনোবিল নামে অনেকেই এই কুখ্যাত অধ্যায়কে মনে রেখেছেন। সেই বিস্ফোরণের ঘটনাক্রম এবং পরবর্তীকালে তার ভয়ংকর প্রভাব নিয়ে ইন্টারনেট দুনিয়ায় আপাতত চর্চার তুঙ্গে ওয়েব সিরিজ চেরনোবিল।
বিগত সাড়ে তিন দশক ধরে চেরনোবিল সারা বিশ্বের বহু মানুষের কাছে কৌতুহলের বিষয়। ঠিক কী হয়েছিল সে রাতে? রেডিয়েশনের সেই প্রভাব কি আজও বয়ে বেড়াচ্ছে বর্তমান ইউক্রেনের প্রিপিয়াত? এ সব প্রশ্ন আশির দশকের শেষ দিকেও যেমন প্রাসঙ্গিক ছিল, আজও তেমনই রয়েছে গিয়েছে। সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে এই সিরিজ। এর আগেও চেরনোবিল নিয়ে বহু তথ্যচিত্র বা সিনেমা হয়েছে। তার সঙ্গে এই সিরিজের মৌলিক পার্থক্য একটাই, এটা অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য।
নিউক্লিয়ার ফিজিক্সের কঠিন কঠিন শব্দ গোটা সিরিজ জুড়ে ব্যবহৃত হলেও, কখনও মনে হবে না নিমের পাচনের মতো তা গলা থেকে নামছে। কখনও মনে হবে না, এ সব বোঝার জন্য পরমাণু বিজ্ঞানী হওয়া খুব প্রয়োজন। অথচ গামা রেডিয়েশনের ভয়াবহতা বা তার প্রভাব কতটা মারাত্মক হতে পারে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবেন দর্শকরা।
মূলত তিন চরিত্রকে ঘিরেই এই সিরিজের বুনন। প্রথম জন আনাতোলি দিয়াতলভ, যিনি সে রাতে চেরনোবিল পরমাণু বিদ্যুত্ কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন। দ্বিতীয় জন ভ্যালে লেগাসভ, যিনি ঘটনার পরবর্তীকালে তদন্ত কমিশনের প্রধান ছিলেন। এবং তৃতীয় চরিত্র KGB। আনাতোলি দিয়াতলভের মতো একজন উচ্চাকাঙ্খী, উন্মাদ, বদমেজাজি বৈজ্ঞানিকের কৃতকর্মের ফল ভোগ করছে কয়েক প্রজন্ম। সেই কাজকে সারা বিশ্ব থেকে আড়াল করতে কতটা সুচারু ভাবে কাজ করেছে রাশিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা KGB, তা সিরিজের ছত্রে ছত্রে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। ভ্যালে লেগাসভকে নজরবন্দি করে রাখা থেকে নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টরের বিরাট ত্রুটি ঢাকতে গিয়ে যা যা করার সবই আড়ালে থেকে করেছে KGB।
আজও প্রিপিয়াত শহরে রেডিয়েশনের কারণে প্রবেশ নিষিদ্ধ। ঘটনার পর আশপাশের প্রায় ৩০ হাজার বর্গ কিলোমিটার অঞ্চলের কয়েক হাজার পশু-পাখিকে নির্বিচারে মেরে ফেলা হয়। তবুও রাশিয়ায় সরকারিভাবে প্রকাশিত হিসেব অনুযায়ী ঘটনার মৃতের সংখ্যা মাত্র ৩১! বিশ্বাসযোগ্য? লোহার পর্দা ভেঙে এ সব তথ্য কী ভাবে বেরিয়ে এল, কী ভাবেই বা লেগাসভের রেকর্ড করা বয়ান সামনে এল তা জানার জন্য জোহান রেনেক পরিচালিত পাঁচ পর্বের সিরিজটি দেখতে হবে।
গরুর পেছনে গ্লাস নিয়ে ঘোরা মহাপুরুষদের মুখে বাণী নেই। কষ্টে প্রাণটা ফেটে যাচ্ছে।
করোনার কালো গ্রাসে এ বছর সবই গিয়েছে। না রয়েছে বিক্রেতাদের পসার, না হয়েছে মেলা, বাতিল হয়েছে বাউল গান
শুধুমাত্র বিদ্যা বালানের অভিনয়ের জন্যেই সিনেমাটি একাধিকবার দেখে ফেলা যায়, ‘বিদ্যা কসম’।
এ বারের বক্তিমে “ছাত্রোঁ কে লিয়ে”। ওই “মিত্রোঁ”বলতে গিয়ে ছাত্রোঁ বলে ফেলেছেন। তা বলে ফেলেছেন যখন, তখ
এ বার নিজের দফতরের দায়িত্ব নিচ্ছেন দিয়েগো... এল দিয়েগো... দ্য গ্রেট দিয়েগো...
বৃহস্পতিবার দুপুরে “রামের নামে” ফের চলল গুলি। ৭২ বছর পরেও যে নাথুরাম গডসে জীবিত রয়েছে