“বাপু লড়ে থে গোরো সে, হম লড়েঙ্গে চোরো সে...”
মহাত্মা গান্ধী-র হত্যার দিনে কলকাতায় গান্ধী মূর্তির সামনে তখনও এই স্লোগান উঠছে। যাঁরা স্লোগান দিচ্ছিলেন, তাঁরা ঘটনাটি তখনও জানতেন না। তা হলে হয়তো স্লোগান খানিকটা পাল্টে যেতে পারত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে “রামের নামে” ফের চলল গুলি। ৭২ বছর পরেও যে নাথুরাম গডসে জীবিত রয়েছে সেটা তাঁরা জানতেন না। শুধু ‘চোর’ না, গুলি-বন্দুকের সামনেও যে লড়াই করতে হবে এই ঘটনায় তা স্পষ্ট হয়ে গেল। দিল্লি পুলিশের সামনে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বন্দুক উঁচিয়ে ক্রমাগত অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলতে বলতে গুলি চালাল গোপাল। ঘটনায় একজন আহত হন।
রামভক্ত গোপাল। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এই নামই সে লিখে রেখেছে। শুধু তাই নয়, ঘটনার আগে ফেসবুকে স্টেটাসে আক্রমণের কথা রীতিমতো ঘোষণা করে সে। কিছু ক্ষণ অন্তর অন্তর লেখা স্টেটাসেও আন্দোলনকারীদের মা-বোন উল্লেখ করে গালাগাল! ভারতের শাসকদল নাথুরাম গডসের নাম অত্যন্ত গর্বের সঙ্গে স্মরণ করে। সেই দলের অনুসরণকারীদের কাছ থেকে এমনটাই তো প্রত্যাশিত।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর স্লোগান তুলেছিলেন, ‘গোলি মারো সালো কো’। হয়তো সেই স্লোগানকেই বাস্তব রূপ দিল গোপাল। গুলি চালানোর পর গোপালকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু অনুরাগ ঠাকুর, তার বিরুদ্ধে কি আদৌ ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশের? প্রকাশ্যে হিংসা ছড়ানোর ইন্ধন, গুলি চালানোর স্লোগান তুলেও নিশ্চিন্তে জেড প্লাস সিকিউরিটি নিয়ে গটমটিয়ে ঘুরবেন অনুরাগ! যে অনুরাগ-রা রামভক্ত গোপালদের অনুপ্রেরণা।
গণতন্ত্র!
খাদ্য-খাদক সম্পর্ক না থাকলেও যে এ ভাবে অন্য প্রজাতির খাবার লোপাট করা যায়, তা দিল্লি গেলে বুঝবেন।
পোশাক এবং গড়ন দেখে যে কেউ একবাক্যে বলবেন, মধ্য বয়সি এই ভদ্রলোক আফগানিস্তানের বাসিন্দা।
শুধুমাত্র বিদ্যা বালানের অভিনয়ের জন্যেই সিনেমাটি একাধিকবার দেখে ফেলা যায়, ‘বিদ্যা কসম’।
এ বার নিজের দফতরের দায়িত্ব নিচ্ছেন দিয়েগো... এল দিয়েগো... দ্য গ্রেট দিয়েগো...
এ বারের বক্তিমে “ছাত্রোঁ কে লিয়ে”। ওই “মিত্রোঁ”বলতে গিয়ে ছাত্রোঁ বলে ফেলেছেন। তা বলে ফেলেছেন যখন, তখ
এমনিতেই মোদীবাবুর গুণের শেষ নেই। এত গুণের সঙ্গে তিনি কি ভবিষ্যৎদ্রষ্টাও?