×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • অবশেষে বাঁ পা ফেরত পেলেন ঈশ্বর

    রজত কর্মকার | 25-11-2020

    ১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপ হাতে দিয়েগো মারাদোনা

    ‘যদি আমার ছুটি মঞ্জুর না হয় তবে এখনই ইস্তফা দিচ্ছি...’

     

    খানিকটা রাগের মাথায় বসকে কথাগুলি বলে ফেলেছিলাম। ২০০৮ সাল। একটি বেসরকারি সংস্থায় তখন কর্মরত আমি। ফুটবলের ঈশ্বর কলকাতায় আসছেন, তা নিয়ে বেশ কিছু দিন যাবৎ খবরের কাগজে লেখায় লেখায় ছয়লাপ। সদ্য পঁচিশ পেরনো আমি তখন ভবিষ্যতের ধার ধারি না। চাকরি ছাড়তে হলে ছাড়ব, কিন্তু সামনে থেকে এই চর্ম চক্ষে ঈশ্বর দর্শনের সুযোগ ক’জনের ভাগ্যে থাকে! আমার ভাগ্যে ছিল। বস খানিকটা হকচকিয়ে গেলেও ছুটি নিয়ে আর একটি শব্দও ব্যয় করেননি।

     

    সেই প্রথম আর সেই শেষবারের মতো ভগবানের দর্শন। মহেশতলায় ফুটবল অ্যাকাডেমির উদ্বোধনে এসে নিজের পায়ের ছাপ রেখে গিয়েছিলেন মারাদোনা। সে দিন সেই ছাপের বদলে আমার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ কেউ চাইলে নির্দ্বধায় দিয়ে দিতাম। শুধু কি দেখা? তাঁর কণ্ঠস্বর শোনা, তাঁর পাগলামো, তাঁর জাগলিং, আর তাঁর বাঁ পা...

     


    গোল করার পর তাঁর বিখ্যাত সেলিব্রেশন

     

    সবুজ মাঠে বছরের পর বছর প্রেমের মহাকাব্য লিখে গিয়েছেন। ফুটবল প্রেম। ১৯৮৬ সালে যখন তাঁর হাতে বিশ্বকাপ উঠেছিল তখন নেহাতই কোলের শিশু। কিন্তু নব্বইয়ের বিশ্বকাপ আমার মনে চিরকালের জন্য ছেপে গিয়েছে। ‘হৃদয়ে লেখো নাম সে নাম রয়ে যাবে...’। সে নাম ফিকে হওয়ার নয়। মারাদোনা পরবর্তীকালে যত খেলায়াড় দেখেছি সকলের প্রতি সম্যক শ্রদ্ধা রেখেই বলছি... কেউ তাঁর সমকক্ষ নন। দূর দূর পর্যন্ত নন। পেলের খেলা আমি দেখিনি, ফলে তুলনা প্রিয় বাঙালির মতো সেই তর্কে প্রবেশের বিন্দুমাত্র ইচ্ছে আমার নেই।

     

    তাঁকে দেখেই প্রথম নীল-সাদা জার্সি কেনা। ছোট হয়ে গেলেও সেটা হাতে ধরে কাউকে দিতে পারিনি। পুরনো দেরাজে খুঁজলে আজও মিলবে। আজ হয়তো তা দিয়ে দিতে পারব। এত দিন পর...। এই অভিশপ্ত সময়, অভিশপ্ত বছরের শেষ কোথায়? বারবার ঘুরে ফিরে এই প্রশ্ন মনে আসছে। এমন সর্বগ্রাসী বছর তো জীবনকালে স্মরণ করতে পারি না। ভগবানকেও ছাড়ল না! অসুস্থ ছিলেন এ কথা সকলেই জানতেন। সপ্তাহ কয়েক আগে গুরুতর অস্ত্রোপচারও হয়। তবে মাত্র ষাটেই এ ভাবে চলে যাবেন এ কথা কে জানত?

     

    তবে তাঁর চলে যাওয়া নিয়ে একজন চুপিসাড়ে হাসছেন। যিনি এতদিন শুধুমাত্র ডান পা নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। এতদিন পর বাঁ পা-টা ফেরত পাবেন ঈশ্বর। শাপগ্রস্ত ‘ডেমি গড’ এতদিন পর তাঁর নিজের সম্পত্তি নিয়ে ফিরছেন স্বদেশে। সেই কবে থেকে ফুটবল ডিপার্টমেন্টও খালি পড়ে রয়েছে। একে-তাকে দিয়ে কাজ চালাচ্ছিলেন। এ বার নিজের দফতরের দায়িত্ব নিচ্ছেন দিয়েগো... এল দিয়েগো... দ্য গ্রেট দিয়েগো...

     

     


    রজত কর্মকার - এর অন্যান্য লেখা


    যারা গণধর্ষণে অভিযুক্ত, যারা দু’ জন মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলার উপক্রম করেছিল, তারা জামিন পায় কী ভাবে?

    দরজা খোলার শব্দে ঘোর থেকে বেরিয়ে এলেন ঠাকুর। ‘কে এলি, রিদে নাকি?’ উত্তর এল, ‘মিত্রোঁওওওও, আমি নরেন'

    এ বারের বক্তিমে “ছাত্রোঁ কে লিয়ে”। ওই “মিত্রোঁ”বলতে গিয়ে ছাত্রোঁ বলে ফেলেছেন। তা বলে ফেলেছেন যখন, তখ

    ওহঃ, একজন পুরুষ বটে! না, তিনি পুরুষ নন, মহাপুরুষ। না হলে এমন কথামৃত মুখ থেকে বার হয়?

    আমরা হয়তো দেখতে পাইনি, কিন্তু এই অভুক্ত মানুষগুলো গোলাপি চাঁদকে একটা গোটা রুটিই দেখেছে।

    শুধুমাত্র বিদ্যা বালানের অভিনয়ের জন্যেই সিনেমাটি একাধিকবার দেখে ফেলা যায়, ‘বিদ্যা কসম’।

    অবশেষে বাঁ পা ফেরত পেলেন ঈশ্বর-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested