×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • ‘মিত্রোঁ আপ নিউমেরোলজি সমঝিয়ে...’

    রজত কর্মকার | 05-04-2020

    নরেন্দ্র মোদী

    এতদিন আটঘাট বেঁধে আটের চক্করে পড়েছিলেন। দেশবাসীও আহ্লাদে আটখানা হয়েছিল। আহা, না জানি কত কী করবেন। কিন্তু তিনি তো মনে মনে মন্ত্র জপ করছিলেন, ‘এই আট দেখে লোকে পায় যেন টের, কত শক্তি ধরে রাজা হীরকের।’

     

    বছর চারেক আগে হঠাৎ রাত ৮টায় আবির্ভূত হয়ে ঘোষণা করলেন, কাল থেকে টাকা বন্ধ। যাও, আর কেনাকাটি নাই। নাহ্, সব টাকা বন্ধ করেননি। ক্ষমতা থাকলেও তার অপব্যবহার তো করা যায় না! মহান নেতা বলে কথা। শুধু বড় অঙ্কের দু'খানি নোট তিনি বাতিল করে দেন। অজুহাত হিসাবে বলেন, দেশে নাকি নকল নোটের ব্যবসা আর সন্ত্রাসবাদ খতম হয়ে যাবে এতে। সন্ত্রাসবাদ বেড়েছে বই কমেনি, মাঝখান থেকে কিছু মানুষ ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে পটল তুলেছেন। পরে শোনা গিয়েছে, স্বর্গে গিয়েও নাকি তাঁদের কৃষক স্টেটাস জুটেছিলএকে ভারতীয়, তায় কৃষক। ফলে লাইনে দাঁড়িয়ে তোলা পটলের দাম না পেয়ে সেখানেও কয়েকজন আত্মহত্যা করেছিল।

     

    যাই হোক প্রসঙ্গে ফেরা যাক। এর পর বহুবার তিনি সামনে এসেছেন। সবই ওই ৮টায়। তবে প্রেসের সামনে একেবারেই না। আরে মশাই, প্রেস নামের পেশাটাকে একেবারে ভোল পাল্টে দিয়েছেন মাননীয়। কয়েকজন সাংবাদিক আছে, যারা সরাসরি দলের কর্মী হিসাবে দলের পতাকা জড়িয়ে বসলেও মানুষজন কিছু মনে করবে না। এমনই তাদের প্রভুভক্তি! নিন্দুকেরা বলেন, শুধু চেটেই তারা নাকি মাননীয় বুট পরিষ্কার করে ফেলে। তাই কষ্ট করে কালি লাগাতে হয় না মাননীয়কে। তা নিন্দুকেরা কী বলে তাতে আর কী এসে যায়!

     

    সেই সমস্ত স্বঘোষিত সাংবাদিকদের এমন চোখা চোখা প্রশ্ন, যে মাননীয়কে উত্তর দিতে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয়েছিল। যেমন, আপনি কী খান? কী রঙ আপনার পছন্দ? আপনি এত কাজ করেন কী ভাবে? আপনি এত ভালো কেন? আপনার মধ্যে সন্ন্যাসী ভাব কবে থেকে ফুটে উঠল? প্রশ্নের বহরগুলো একটু লক্ষ করুন। একটা প্রশ্ন ওদের ঠোঁটের ডগায় থাকলেও কোনও দিন করতে পারেনি, আপনি কোন ভগবানের অবতার!!

     

    তা এই ভগবানসম মাননীয় হঠাৎ আটের আস্ফালন ছেড়ে ৯-এর ঘাড়ে চড়ে বসলেন কেন? কারণ নিশ্চয়ই আছে। ২ এপ্রিল সকাল ৯টায় এসেছেন। ৫ এপ্রিল রাত ৯টায় ৯ মিনিটের জন্য আলো নিভিয়ে দেওয়ালি দেওয়ালি খেলতে বলছেন। সব ৯-এর চক্কর। নিন্দুকেরা বলেন, পয়লা এপ্রিল ঘোষণা করলে লোকে এটাকে ঢপ বলে ধরে নিত। ঢপ দেওয়াতেও তিনি নাকি ডক্টরেট করে ফেলেছেন।

     

    ওই নিন্দুকেরাই ফের বলছেন, কে নাকি হাত দেখে মাননীয়কে বলেছেন, এখন আর ৮ সংখ্যা তার জন্য শুভ নয়। যে ক’বার আটের বাটে পদচিহ্ন রেখে দেশ উদ্ধার করতে গিয়েছেন, সব প্রোজেক্ট মায়ের ভোগে গেছে। তাই আটের আস্ফালন ছেড়ে এবার ৯-এর ন্যাকামো করবেন তিনি। এমনটাই নিদান ওই মহাজ্ঞানীর! ভাবা যায়, সংখ্যাতত্ত্ব, জ্যোতিষ এ বার দেশ চালাবে।

     

    আরে ভাই অত কিছু দেখার দরকার নেই আপনাদের, আপ বস্ নিউমেরোলজি সমঝিয়ে...।

     


    রজত কর্মকার - এর অন্যান্য লেখা


    যারা আমায় মনের মধ্যে রাখতে পারে না, তারাই চিৎকার করে আমার ভক্ত বলে পরিচয় দেয়।

    আন্দোলনও হল, আবার চিনকে রামচিমটিও দেওয়া হল। বেশি কথা বলতে এলে পরিষ্কার বলে দাও, আমরা তোদের পকেটে নিয়

    পোধানমন্তীর ডাকে সাড়া দিয়ে ঘটি-বাটি-খোল-করতাল-কাশি-বাঁশি সব নিয়ে দলবল-সহ বেরিয়ে পড়েছিলেন রাস্তায়।

    খাদ্য-খাদক সম্পর্ক না থাকলেও যে এ ভাবে অন্য প্রজাতির খাবার লোপাট করা যায়, তা দিল্লি গেলে বুঝবেন।

    গরুর পেছনে গ্লাস নিয়ে ঘোরা মহাপুরুষদের মুখে বাণী নেই। কষ্টে প্রাণটা ফেটে যাচ্ছে।

    2018 সালে সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনায় চতুর্থ গ্রাম হিসাবে দোমারি-কে দত্তক নেন নরেন্দ্র মোদী।

    ‘মিত্রোঁ আপ নিউমেরোলজি সমঝিয়ে...’-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested