×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • চরম সঙ্কটে মশারা, এখন কার রক্ত খাবে!

    রজত কর্মকার | 27-02-2020

    প্রতীকী ছবি

    মশারা চূড়ান্ত ভিভ্রান্ত। যাচ্ছেতাই অবস্থা।

     

    আরে মশাই গণতন্ত্র বলে তো একটা কথা আছে, নাকি? ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণ করা ভীষণ অন্যায়। মশার কাজ যদি মানুষ করতে শুরু করে, তা হলে ঘোর বিপদ। এ ভাবে স্প্লিট পার্সোনালিটির দোহাই দিয়ে যা খুশি তাই করা মেনে নেওয়া যায় না।

     

    একে তো আগুন জ্বালিয়ে ধোঁয়া-টোয়া করে মশাদের জীবন অতিষ্ট করে তুলেছে। তার ওপর দেদার মানুষের রক্ত খেতে শুরু করেছে মানুষই। খাদ্য-খাদক সম্পর্ক না থাকলেও যে এ ভাবে অন্য প্রজাতির খাবার লোপাট করা যায়, তা দিল্লিতে না গেলে বুঝবেন না মশাই।

     

    আকাশে ওড়া অবধি মুশকিল হয়েছে। উর্দিধারী কিছু লোকের উড়ন্ত খেলনা আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে বোঁ বোঁ শব্দ করে। খাবার খুঁজছে। সিস্টেমটা প্রায় একই। যে ভাবে মশারা উড়ে উড়ে সরস রক্তের খোঁজ করে। এর থেকে বাঁচতে সবাই গিয়ে যেখানে পারছে লুকোচ্ছে। ফলে খাবার খুঁজতে গিয়ে হয়রান হচ্ছে মশারা। তার ওপর মাটির কাছাকাছি পৌঁছানো দায়। গাড়ি-বাড়ি-দোকান-টায়ার এমন দেদার জ্বলছে, যে চোখ মেলে তাকানো যাচ্ছে না। মশারা তো আর সুপারম্যান নয়, যে সবকিছু ভেঙেচুড়ে ঘরে ঢুকে নিমেষে হুল ফুটিয়ে হাফ লিটার চুষেই ধাঁ হয়ে যাবে। কাছে গেলেই বেমালুম পুড়ে ছাই।

     

    যে ক’টা মানুষকে ইতিউতি দেখা যাচ্ছে, তাদের অনেকেই মাটিতে পড়ে রয়েছেনএঁদেরই কারও খোঁজে সকাল থেকে হন্যে হয়ে ঘুরেছে তাঁর পরিবার। মশারা যদিও মানুষের মতো ধর্ম বেছে রক্ত খায় না। ওই মাছের কাঁটা বেছে খাওয়ার মতো। অবিশ্যি এখানে যে মানুষরা রক্ত চুষে বেড়াচ্ছে, তাদের বেশিরভাগই ওসব মাছ-মাংসের মতো ‘অশুচি’ খাবার-দাবার ছোঁয় না। বাই চান্স যদি জানা যায় যে পরিবারের কেউ ছুঁয়ে ফেলেছে ব্যস, আর রক্ষে নেই। মানুষের রক্তের বদলে সোজা গোয়ালে পাঠিয়ে সাড়ে তিন লিটার গোমূত্র পান করিয়ে, সাড়ে চারশো গ্রাম গোবর খাইয়ে তবে শুদ্ধ করবে। এরাই কিনা লিটার লিটার মানুষের রক্ত সাবড়ে দিচ্ছে। আর না খেয়ে মরছে মশারা।

     

    অনেকে তো আলোচনাও করছে, এই যে ফি বছর মশাবাহিত রোগ ছড়ায় তাতেও তো কম লোক মরে নাতার বেলায় কিছু না। খালি মানুষের বেলাতেই যত দোষ। এর বিরুদ্ধে ফ্রন্টও গড়ার কথা ভাবছে রক্তখোরেরা। ধর্মীয় যুক্ত রক্তখেকো সমিতি বা রাষ্ট্রীয় রক্তখোর সুরক্ষা সংঘ ইত্যাদি ইত্যাদি নাম-টামও ভাবা হয়েছে। দেখা যাক কোনটায় শেষ পর্যন্ত সিলমোহর পড়ে।

     

    সব মিলিয়ে মশাদের সর্বনাশের সময় খুব কাছে। অনেকে এ-ও বলছে, এ বার বাছাধনরা পালিয়ে পাকিস্তানে যাবে। এতে পাকিস্তানের খারাপই হবে। হুঁ হুঁ, কেমন মজা!

     

    এর আগে বিমনুদ্রাকরণ করে, অর্থনীতির কোমর ভেঙে, যুদ্ধ যুদ্ধ খেলে, বেকারের সংখ্যা বাড়িয়ে, সব্জি-তরকারির দাম আকাশ ছুঁইয়ে, জ্বালানি-রান্নার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে পাকিস্তানকে ল্যাজে গোবরে করে ছেড়েছে এ দেশের সরকার। এ বার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকবে মশা। কেমন প্ল্যান দেখুন! ধন্য সরকার, তুমি ধন্য।

     


    রজত কর্মকার - এর অন্যান্য লেখা


    যে কোনও চলে যাওয়া শূন্যতা তৈরি করে যায়। এস পি-র শূন্যতা ভরাট হওয়ার নয়।

    এই লেখা সেই সব ব্যক্তিদের জন্য যাঁরা এই পেশাকে প্রতিদিন চরম অপমান করে চলেছেন।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে “রামের নামে” ফের চলল গুলি। ৭২ বছর পরেও যে নাথুরাম গডসে জীবিত রয়েছে

    যারা গণধর্ষণে অভিযুক্ত, যারা দু’ জন মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলার উপক্রম করেছিল, তারা জামিন পায় কী ভাবে?

    পোশাক এবং গড়ন দেখে যে কেউ একবাক্যে বলবেন, মধ্য বয়সি এই ভদ্রলোক আফগানিস্তানের বাসিন্দা।

    দেশের মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে, তাদের তো গুলি করেই মারা উচিত, তাই না?

    চরম সঙ্কটে মশারা, এখন কার রক্ত খাবে!-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested