স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দিনের মধ্যে একবার তাদের নাম না করে শুতে যান না। আর টেলিভিশনের সন্ধেবেলার তরজায় প্রধান খাদ্যই হল ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’। একটি RTI আবেদনের সূত্রে জানা গেল ওই গ্যাংটি আসলে অরণ্যদেব বা টিনটিনের মত। কল্পনায় আছে, বাস্তবে নেই।
সম্প্রতি দায়ের হওয়া দুটি RTI নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে কেন্দ্র। তার একটির নিশানায় বিজেপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তাঁর মন্ত্রক। সেখানে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছে ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ সম্পর্কে। প্রশ্ন খুবই সাধারণ। কারা এই ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’? কোথা থেকে, কীভাবে তাদের উৎপত্তি? তারা যদি সাধারণ মানুষ এবং দেশের জন্য ক্ষতিকরই হয় তাহলে তাদের UAPA ধারায় নিষিদ্ধ করা হল না কেন? মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ বলে কোনও কিছুরই অস্তিত্ব নেই। এমনকী কোনও সরকারি রিপোর্টেও এর উল্লেখ নেই। ২০১৬ সালে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ মিছিলের পর দিল্লি পুলিশ দাবি করে, সেখানকার ছাত্রছাত্রীরা নাকি দেশবিরোধী স্লোগান তোলে। সেই থেকে JNU-এর ছাত্রছাত্রীদের এই ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ নাম দেওয়া হয়। যদিও ইদানিং যে কোনও বিজেপি বিরোধী কণ্ঠকেই ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’-এর সদস্য আখ্যা দেওয়া হচ্ছে! আখ্যা দিচ্ছেন বিজেপি-র তাবড় তাবড় নেতারাই। তাতে সামিল খোদ প্রধানমন্ত্রীও।
আলোচনায় অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদী
অপর একটি RTI-এ এক সাংবাদিক জানতে চান সরকারি বা দলীয় স্তরে প্রধানমন্ত্রীর করা সাংবাদিক বৈঠক এবং সাক্ষাৎকারের সংখ্যা কত? জবাব আসে, এ ব্যাপারে তাদের কাছে কোনও তথ্য নেই। দেশের প্রধানমন্ত্রীর কোনও সাংবাদিক বৈঠকের তথ্যই নেই খোদ তাঁর দফতরের কাছে!
ইন্টারনেটে সার্চ করলেই খুব সহজে পাওয়া যায় https://rtionline.gov.in/ । সাইটে ঢুকে আপনার জিজ্ঞাস্য জানিয়ে জবাব চাওয়া যায় সরকারের কাছে। অনলাইনে গাইডলাইনও পাওয়া যায় এই ব্যাপারে। এছাড়াও অফলাইনে অর্থাৎ অ্যাপ্লিকেশন পাঠিয়েও RTI –এর দাবি জানানো যায়। কিন্তু সেই আইনে তো এখন চাপে পড়ছে কেন্দ্রই। এই আইন অবশ্য পাস হয়েছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বে UPA সরকারের আমলে।
এই মানুষগুলোর খাদ্যের ব্যবস্থাও কিন্তু রাষ্ট্রকেই করতে হবে
জীবন অতিবাহিত করার জন্য পড়াশোনা আবশ্যিক, কিন্তু সেটাই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়
এই বিশ্ব মহামারীর সুযোগ নিয়ে অনেক হ্যাকার ডানা মেলেছে
তুরস্কের প্রাচীন সৌধ আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে পরিণত করার ডিক্রি পাস করলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট।
সোশাল মিডিয়া ব্রেকিং নিউজ দেওয়ার উপযুক্ত স্থান নয়।
'টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং'। কারা এই গ্যাং-এর সদস্য? কোথা থেকে তাদের উৎপত্তি? জবাব মিলল?