×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • স্নেহের আঁচল স্থান পাচ্ছে গলার ফাঁসে, আবারও বিপন্ন শৈশব

    অয়ন্তিকা দত্ত মজুমদার | 29-11-2019

    ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে আত্মহত্যার ঘটনা, প্রতীকী ছবি

    ফুটবলে পা লাগলে তাকে টেক্কা দেওয়া দায়। আর পড়াশোনায়? লবডঙ্কা! কিন্ত সেখানেই এক নম্বর হতে হবে যে! ইস্টবেঙ্গল সাব জুনিয়র টিমে ডাক পেয়েও মন পায়নি মা-বাবার। রাগে-ক্ষোভে তাই নিজেই নিজের জীবনের চাকায় দাঁড়ি টানল বছর বারোর রোহন রায়। যে মায়ের শাড়ির আঁচল দিতে পারত সাহস-স্বস্তি-শান্তি, সেই শাড়িই গলায় জড়িয়ে আত্মহত্যা করে ছোট্ট ছেলেটি।

     

    দক্ষিণ কলকাতার এই ঘটনা আবারও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাচ্ছে শৈশবকে। কয়েকমাস আ্রগে শহরের এক বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনাও একই প্রশ্ন তুলেছিল। মা-বাবার অহেতুক চাপ, ছেলেমেয়েদের একপ্রকার রোবট ভাবা, একশোয় একশো না পাওয়ায় গঞ্জনা কোনওটাই স্বাভাবিক নয়। সঙ্গে সহপাঠী বা সহোদরের সঙ্গে তুলনা তো আছেই। অনেক ক্ষেত্রেই অভিভাবকেরা এটাই বুঝতে চান না যে প্রত্যেকে আলাদা মানুষ, সকলের একই জিনিসের প্রতি ঝোঁক-আকর্ষণ-ভালবাসা নাই থাকতে পারে। সকলেই পড়াশোনায় বিদ্যাসাগর নাও হতে পারে। খেলাধূলা-নাচগান-নাটক-আবৃত্তি-পেন্টিং এসবেও কেউ কেউ তুখোড় হয়।

     

    জীবন অতিবাহিত করার জন্য পড়াশোনা আবশ্যিক, কিন্তু সেটাই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। রোহনের ক্লাসে ফার্স্ট হওয়া ছেলেটাও যেমন ইস্টবেঙ্গল সাব জুনিয়র টিমে ডাক পায় না। কারুর জীবনে খেলাধূলাটাই প্রধান হওয়া দোষের নয়।

     

    শুধু অভিভাবকেরাই নন, এই বিষয়ে হাত থাকে স্কুলেরও। পক্ষপাতিত্ব। যে পড়াশোনায় ভাল তার প্রতি বেশি স্নেহশীল বা যে অতটা ভাল পড়াশোনাটাকে আয়ত্ত্ব করতে পারেনি তাকে সব ব্যাপারে পিছিয়ে পড়া ভাবা, এসব প্রায়ই দেখা যায়। কিন্তু বিদ্যালয় তো পড়ুয়াদের দ্বিতীয় বাড়ি হওয়া উচিত। সেখানে পক্ষপাতিত্বের অবকাশটাই বা কেন থাকবে? এতে যে পড়ুয়াদের নৈতিকতা তলানিতে গিয়ে ঠেকে তা তো শিক্ষকদেরও বোঝা উচিত।
     

    অভিভাবক বা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে সচেতনতা যতদিন না গড়ে উঠছে ততদিন এইরকম অঘটনের নজির পেতেই থাকব আমরা। কারণ মানুষের হুঁশ ফেরানো আইন দিয়ে সম্ভব নয়। বরং এইসব আইন শিক্ষক-ছাত্রের স্বাভাবিক সাবলীল সম্পর্ককেও কঠিন করে তুলেছে। আধুনিকতার ঠেলায় মা-বাবার থেকে তো বটেই শিক্ষকদের থেকেও দূরে সরে যাচ্ছে শৈশব। তৈরি হচ্ছে দূরত্বের দেওয়াল। 

     


    অয়ন্তিকা দত্ত মজুমদার - এর অন্যান্য লেখা


    বিজেপি সরকার প্রথম থেকেই ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র তৈরি করতে উদ্যত। সেখানে জম্মু ও কাশ্মীর মুসলিম রাজ্য

    তাস নিয়েই জব্বর কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন আলিপুরদুয়ার জংশনের শুভ্রনীল মিত্র।

    বাড়ি থেকে কাজে অন্তত চাকরি আছে, মাসের শেষে স্যালারি মিলছে। আপাতত অভিযোগ না করে এতেই সকলে খুশি।

    তুরস্কের প্রাচীন সৌধ আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে পরিণত করার ডিক্রি পাস করলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট।

    Isaac Asimov-এর লেখা একটা গল্প পড়েছিলাম, ‘The Fun They Had’

    'দঙ্গল'-এর মত হিট ছবির পর পরিচালক নীতেশ তিওয়ারির 'ছিঁছোড়ে' দ্বিতীয় পরিচালনা। কেমন হল সিনেমা?

    স্নেহের আঁচল স্থান পাচ্ছে গলার ফাঁসে, আবারও বিপন্ন শৈশব-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested