২০১৭-১৮ সালের জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের (NSO) সমীক্ষা খারিজ করল মোদী সরকার। প্রথমবার। সমীক্ষায় নাকি অনেক খামতি আছে। সংবাদমাধ্যমে সমীক্ষার ফলাফল ফাঁস হয়ে গেলে এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এমনকি পরিসংখ্যান মন্ত্রক জানিয়েছেন যে আগামী সমীক্ষা ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২-এ করা হতে পারে। ত্রুটিগুলো সম্পূর্ণ নির্মূল করে সমীক্ষা করতে অন্তত বছর দুই লাগবে।
অন্যদিকে সরকারি সমীক্ষা অনুযায়ী ২০১৬-তে নোটবন্দির পর বেড়েছে বেকারত্বের পরিমাণ। বিগত ৪৫ বছরে সর্বোচ্চ। লোকসভা ভোটের আগের এই সমীক্ষাও ত্রুটির অজুহাতে চেপে দেয় কেন্দ্র। ভোটের পর তা প্রকাশ করলেও তার সঙ্গে অতীতের বেকারত্বের তুলনা করা চলে না বলেই জানিয়েছিল কেন্দ্র।
এবার সাধারণ মানুষ কাঁচি চালিয়েছে মাসিক খরচেও, অর্থাত্ বাড়ছে দারিদ্রের পরিমাণ। ২০১১-১২ সালের থেকে এইবারে মাথাপিছু মাসিক খরচ কমেছে ৫৫ টাকা। এর মধ্যে ধনীদের থেকে নিম্ন আয়ের মানুষজনেদের সংখ্যাই বেশি। প্রায় চার দশক পরে আবার এমন দেখা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ রোজকার তেল-নুন-মশলা ইত্যাদিতে খরচ কমাচ্ছে। কমাচ্ছে শিক্ষার ক্ষেত্রে খরচও। সামগ্রিকভাবে খরচ কমেচে ৩.৭%, গ্রামাঞ্চলে যা প্রায় ৮.৮%। দেশের অর্থনীতির এই নুইয়ে পড়া অবস্থাই ধামাচাপা দিতে চাইছে কেন্দ্র।
স্পষ্টতই দেশের অর্থনীতির এমন দুরবস্থার দায়ভার নিতে পিছপা হচ্ছে কেন্দ্র। নিজেদের দোষ ঢাকতে বারংবার সমীক্ষার ফলাফল চেপে দিতে চাইছে সরকার। আর সেই ফলাফল যখনই সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হচ্ছে তখনই উঠে আসছে নানান অজুহাত।
স্বভাবতই এই সুযোগ ছাড়ছে না বিরোধী দলগুলো। কখনও কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রাহুল গান্ধী তো কখনও সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। উভয়ের কথায়ই স্পষ্ট যে নিজের কাজের দুর্গন্ধ ঢাকতে মরিয়া মোদী। তাছাড়াও নোটবন্দিতে যে কালো টাকায় ভাটা পড়েনি, উল্টে টান পড়েছে গরীবদের পকেটে সে কথাও পরিষ্কার। আর সরকারি পরিসংখ্যানও সেই কথাই বলছে।
পরিসংখ্যান মন্ত্রক অবশ্য বলছে এই বছরটাই সমীক্ষার জন্য ধরা ঠিক হয়নি। বিরোধীদের পাল্টা প্রশ্ন তবে কি তারা মেনে নিচ্ছেন নোটবন্দি এবং জিএসটি লাগু করার ফলস্বরূপ এমন দূরবস্থা?
তবে সরকারকে খানিক স্বস্তি দিয়েছে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন। চেয়ারম্যান এন কে সিং-এর মতে এই দুরবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তবে আপাতত যে নিজেদের দোষ ঢাকতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে কেন্দ্র সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
পড়ন্ত বেলায় ইতিউতি চাউনি। যদি কেউ ভুল করেও ডাবের জলের খোঁজে আসেন।
১৯৮৬ সালে গিরিডিতে দেশের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসেন কলকাতায়। এরপরেই অটোর মাথায় বাগান বানানোর সিদ্ধান্ত।
তুরস্কের প্রাচীন সৌধ আয়া সোফিয়াকে পুনরায় মসজিদে পরিণত করার ডিক্রি পাস করলেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট।
'দঙ্গল'-এর মত হিট ছবির পর পরিচালক নীতেশ তিওয়ারির 'ছিঁছোড়ে' দ্বিতীয় পরিচালনা। কেমন হল সিনেমা?
বাড়ি থেকে কাজে অন্তত চাকরি আছে, মাসের শেষে স্যালারি মিলছে। আপাতত অভিযোগ না করে এতেই সকলে খুশি।
ক্যারাটের মাধ্যমে নারীসুরক্ষার বার্তা কলকাতার