প্রতি ১৫ মিনিটে একটি করে ধর্ষণ রিপোর্ট হয় এই দেশে। কত ধর্ষণের খবর যে চাপা পড়ে যায় তার ঠিক নেই! ৮ বছর পরেও সাজা হয়না ধর্ষকদের। ধর্ষিতা মারা যান কিন্তু বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ায় ধর্ষণকারীরা। যতই ঘটা করে আমরা নারীদিবস পালন করি, আদতে গোটা ব্যাপারটাই নাম-কে-ওয়াস্তে। এমন কঠিন সময়ে মেয়েদের পাশে যতটুকু দাঁড়ানো যায়, তাঁদের যতটা সমর্থ করে তোলা যায়, সেই চেষ্টাই প্রতিনিয়ত করে চলেছেন প্রহ্লাদ সর্দার ওরফে কলকাতার ব্রুস লি।
দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা প্রহ্লাদ সর্দার আপাতত ক্যারাটে দিয়েই মাত করছেন সকলকে। বাঘাযতীনের এক বস্তিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বাস প্রহ্লাদের। সিঁড়ির নীচে ছোট্ট ঘরে থরে থরে সাজানো ট্রফি, মেডেল, সার্টিফিকেট। প্রহ্লাদের সম্পদ। ওর অহঙ্কার। এরই মধ্যে সে নিজের ঝুলিতে পুরেছে বেশ কিছু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের পুরস্কার। পাড়ার সকলে তাকে ব্রুস লি নামেই চেনে।
বাবা সুবল সর্দার পেশায় রিক্সা চালক। হঠাৎ দুর্ঘটনায় বন্ধ হয়ে যায় রিক্সা চালানো। সেই থেকে সংসারের হাল ধরেছে প্রহ্লাদ। আখের রস বিক্রি থেকে বাড়ি বাড়ি কাগজ দেওয়া, সব কাজই করেছেন তিনি। তবে ক্যারাটে তাঁর রন্ধ্রে রন্ধ্রে। ওঁর মতে, আত্মরক্ষার অন্যতম সেরা উপায় ক্যারাটে।
মাত্র ১০ বছর বয়সে শুরু হয় তার ক্যারাটে শেখা। এই পেশায় নিজেকে টিকিয়ে রাখা নেহাত সহজ নয়। তেমন উপার্জন নেই। তারপরই সে ব্রুস লির কথা শোনে। তার মতে, "ব্রুস লি পারলে আমি কেন পারব না।' হার না মানা মনোভাব নিয়েই শুরু হয় ক্যারাটে চর্চা। তাঁর প্রথম শিক্ষক, প্রবীর মন্ডল। প্রথম দর্শনেই প্রবীরবাবু কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামের প্রহ্লাদ-কে দৌড়ে কুড়িটা চক্কর দিতে বলেছিলেন। পনেরোর পরই অজ্ঞান হয়ে মাঠে পড়ে যান প্রহ্লাদ। শিক্ষক বোঝেন এই ছেলে "লম্বা রেসের ঘোড়া'! সেই শুরু।
এরই মধ্যে পাড়ার ক্লাবে নিজের উদ্যোগে ক্যারাটে শেখাতে শুরু করেছেন প্রহ্লাদ। বেশ কিছু স্কুলে গিয়ে ক্যারাটে শেখার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের বুঝিয়েছেন। যে স্কুলে অষ্টম শ্রেণীর পর আর পড়াশোনা চালাতে পারেননি প্রহ্লাদ, সেই স্কুলেই এখন ক্যারাটে শেখাযন তিনি। কোথাও বিনামূল্যে, কোথাও বা সামান্য অর্থের বিনিময়ে ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দেন তিনি।
কয়েকদিন আগে সাইকেলে চড়ে নামখানা যান। উদ্দেশ্য ছিল নারী সুরক্ষা নিয়ে সকলের মধ্যে সচেতনতার তৈরি করা। পথে যথেষ্ট বাধা এসেছে, তবে দমেননি প্রহ্লাদ। আত্মরক্ষার জন্য মেয়েদের আরও বেশি করে ক্যারাটে শেখা প্রয়োজন, এ কথাই তিনি জানাতে চান সকলকে। সাফল্যও পেয়েছেন খানিক। আবারও সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে, "অন্য কোথাও, অন্য কোনও খানে...'। এই কাজে তিনি যেমন পরিবারকে পাশে পেয়েছেন, তেমনই পেয়েছেন বন্ধুদেরও। তবে কলকাতার ব্রুস লির কথায় তাঁর যাত্রা সবে শুরু। এখনও অনেক পথ চলা বাকি।
নিজেদের দোষ ঢাকতে বারংবার সমীক্ষার ফলাফল চেপে দিতে চাইছে সরকার
এঁদের জীবনেও যদি একজন অ্যালবাস ডাম্বেলডোর বা একজন হ্যারি পটার বা একজন হ্যাগ্রিড থাকত!
এক সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞের মতে, এই অ্যাপ ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
একটানা এতদিন ঘরে কাটাইনি বহুদিন। তবু বাড়িতে থাকবো, আপনারাও তাই করুন।
অনেকের কাছেই সোশাল মিডিয়া বেদ বাইবেল কোরানের তুল্য
এই মানুষগুলোর খাদ্যের ব্যবস্থাও কিন্তু রাষ্ট্রকেই করতে হবে