‘রোটি কপড়া অউর মকান, মাঙ্গ রাহা হ্যায় হিন্দুস্তান...’
‘আজাদি... আজাদি...’
৫ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখ ঢাকা গুন্ডাদের আক্রমণের পর এ ভাষায় গর্জে উঠল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। ঘটনাক্রম ১৯৭৫-এর জরুরি অবস্থার সময়কার একটি জনপ্রিয় স্লোগানকে মনে করাবে। ‘পুলিশ তুমি যতই মারো, মাইনে তোমার একশো বারো।’
২০২০-তে এসে পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। পুলিশ তো মারছেই, তার সঙ্গে পুলিশের সামনেই কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে লোহার রড, লাঠি, হকি স্টিক নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পেটাচ্ছে গুন্ডার দল। ঘটনায় সরাসরি কেন্দ্রের শাসকদলের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র নাম উঠছে। কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যস্তরের প্রথম সারির বিজেপি নেতাদের অনেকের মুখেই শোনা গিয়েছে, এ ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। কমিউনিস্টদের মার খাওয়ার সময় হয়েছে।
তবে হুমকি থাকলেও পিছিয়ে যেতে নারাজ ছাত্রসমাজ। জেএনইউ-র পাশে দাঁড়িয়ে যাদবপুরের পাল্টা, মেরে দমানো যাবে না। পড়ে পড়ে শুধু মার খাওয়া নয়, প্রতিরোধও গড়ে তুলতে হবে এই গুন্ডাদের বিরুদ্ধে। স্লোগান, মিছিলে দৃপ্ত ঘোষণা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের।
খবরের কাগজ, টিভির পর্দায় ঘটনা নিয়ে নানা মুনির নানা মত শোনা গিয়েছে। কার্যত দু’ ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে মিডিয়া। একদল ঘটনায় অন্তর্ঘাতের তত্ত্ব তুলে বিষয় চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। একটি চ্যানেল তো জেএনইউ ক্যাম্পাস দিল্লি থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে জনমতও গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। আর একদল নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছে। টলোমলো চতুর্থ স্তম্ভের মাঝে কিছু ব্যতিক্রম এখনও আশার আলো দেখাচ্ছে।
আলোটা ক্ষীণ। তবু আলো তো। অন্ধকার দেশে ওইটুকু রেখাই বা কম কী!
এ বার নিজের দফতরের দায়িত্ব নিচ্ছেন দিয়েগো... এল দিয়েগো... দ্য গ্রেট দিয়েগো...
পোধানমন্তীর ডাকে সাড়া দিয়ে ঘটি-বাটি-খোল-করতাল-কাশি-বাঁশি সব নিয়ে দলবল-সহ বেরিয়ে পড়েছিলেন রাস্তায়।
এ এমন এক অন্ধকার, যা সূর্যের আলোতেও দূর হওয়ার নয়। গ্রহণের সময় তো আবার সেই আলো কমে যায়।
বিগত সাড়ে তিন দশক ধরে চেরনোবিল সারা বিশ্বের বহু মানুষের কাছে কৌতুহলের বিষয়। ঠিক কী হয়েছিল সে রাতে?
2018 সালে সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনায় চতুর্থ গ্রাম হিসাবে দোমারি-কে দত্তক নেন নরেন্দ্র মোদী।
হলফ করে বলা যায়, সিরিজটি পূর্ণ দৈর্ঘ্যের সিনেমার আকারেও তৈরি করা যেত।