বিগত কিছুদিন ধরে সোশাল মিডিয়া তোলপাড়, অনেকেই ব্যস্ত চাইনিজ অ্যাপ ডিলিট করতে। চিনা কোনও কিছুর সঙ্গেই তারা সম্পর্ক রাখতে নারাজ। চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার নেওয়ার ফল এটা।
আমাদের দেশে ব্যবহৃত চিনা অ্যাপগুলির মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন ‘টিক-টক’। একদল মানুষ আছেন, যারা এই অ্যাপ ছাড়া চলতেই পারেন না। স্বাভাবিকভাবেই তাঁরা এই চিনা দ্রব্য ত্যাগের ট্রেন্ডে গা-ভাসাতে গিয়ে পড়েছিলেন মহাফাঁপড়ে। ঠিক সেই সুযোগে মাথা তুলে দাঁড়ায় স্বদেশি অ্যাপ ‘মিত্রোঁ’। কার্যকারিতা একেবারে ‘টিক-টক’-এর মতো, তায় আবার স্বদেশি। নামটাও জম্পেশ। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর মুখে বিখ্যাত হওয়া দু’অক্ষরের একটা ছোট্ট শব্দ। ব্যাস! কেল্লাফতে।
এপ্রিল মাসে লঞ্চ হয়েই প্রায় 50 লক্ষ ডাউনলোড নিয়ে ফুলেফেঁপে ওঠে ‘মিত্রোঁ’ অ্যাপটি। এই অ্যাপটির হঠাৎ জনপ্রিয় হওয়ার নমুনা, গুগল প্লে-স্টোরে এর ক্লোন অ্যাপের সংখ্যা দেখলেই বোঝা যাবে। কিন্তু সম্প্রতি গুগল প্লে-স্টোর থেকে সরিয়ে নেওয়া হল অ্যাপটি। কেন? গুগল প্লে-স্টোরের ‘স্প্যাম অ্যান্ড মিনিমাম ফাংশানালিটি পলিসি’-র প্রভাবে কোনও অ্যাপ যদি কন্টেন্ট নকল করে এবং অ্যাপে নিজস্ব কোনও উপাদান না থাকে, তাহলে তা সরিয়ে নিতে পারে গুগল।
প্রথমে জানা গিয়েছিল আইআইটি রুরকির প্রাক্তনী শিবাঙ্ক আগরওয়াল তৈরি করেন এই অ্যাপ। তবে সম্প্রতি জানা যাচ্ছে অ্যাপটি আসলে তৈরি করেছে পাকিস্তানি অ্যাপ ডেভেলপিং সংস্থা Qboxus। তাদের থেকে এই অ্যাপের সোর্স কোড কেনে শিবাঙ্কের টিম ShopKiller। অর্থাৎ, অ্যাপটি আদৌ স্বদেশি নয়।
‘টিক-টক’ অ্যাপের বেশ কিছু কন্টেন্ট বা বিষয়বস্তু নিয়ে বহুদিন ধরেই আপত্তি জানাচ্ছিলেন অনেক ভারতীয়। নারী-নির্যাতন থেকে শুরু করে অনেক অসামাজিক কাজকর্মকে উস্কানি দিতে পারে ‘টিক-টক’-এর বেশ কিছু ভাইরাল ভিডিও, দাবি করেছিলেন অনেকেই। সঙ্গে চিনকে অপছন্দ করার দোসর এল, করোনা সংক্রমণ। এই সুযোগে রাতারাতি কয়েক লক্ষ লোকের স্মার্টফোনে জায়গা করে নেয় ‘মিত্রোঁ’ অ্যাপ।
বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে সাধারণ মানুষ। সেখানেই আসল সমস্যা। এই অ্যাপ এত জনপ্রিয় হলেও এর তথ্য বা ডেটা সুরক্ষা ক্ষমতা অত্যন্ত দুর্বল। এক সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞের মতে, এই অ্যাপ ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই অ্যাপের সোর্স কোডে কোনও অতিরিক্ত ফায়ারওয়াল বা সফ্টওয়্যার সিকিউরিটির ব্যবস্থা নেই। এদের প্রাইভেসি পলিসি এতটাই দুর্বল যে এই অ্যাপের কোনও গ্রাহকের তথ্যই খুব একটা সুরক্ষিত থাকে না। যদিও এই ব্যাপারে এখনও কিছু বলেননি শিবাঙ্ক।
তবে আপনি যদি ইতিমধ্যে অ্যাপটি ডাউনলোড করে থাকেন তাহলে প্লে-স্টোর থেকে সরিয়ে নেওয়া সত্ত্বেও আপনি অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের উপদেশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অ্যাপটি থেকে নিজের ফোনকে মুক্তি দিন- আনইনস্টল করে ফেলুন।
Isaac Asimov-এর লেখা একটা গল্প পড়েছিলাম, ‘The Fun They Had’
শপিং মলে প্রতিদিন আসা হাজার হাজার মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মানা কতটা সম্ভব?
১৯৮৬ সালে গিরিডিতে দেশের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসেন কলকাতায়। এরপরেই অটোর মাথায় বাগান বানানোর সিদ্ধান্ত।
একটানা এতদিন ঘরে কাটাইনি বহুদিন। তবু বাড়িতে থাকবো, আপনারাও তাই করুন।
জীবন অতিবাহিত করার জন্য পড়াশোনা আবশ্যিক, কিন্তু সেটাই জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য নয়
সরকারের কথায় অনেকেই ভরসা পেয়ে ভেবেছিলেন না খেয়ে মরতে হবে না। তবে সরকার আদৌ কথা রাখছে কি?