×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • ন্যাতার মতো ন্যাতা বটেক!

    রজত কর্মকার | 25-06-2020

    সোনার টুকরো নেতা আমাদের। একেবারে সাচ্চা আদমি। গরুর দুধে সোনা খোঁজার ফাঁকে এ বার "ক্ষত্রিয় ধর্ম’ পালনের ডাক দিলেন ঘোষ কত্তা। ভাল করে বাংলা না বলেও বাংলার মানুষের জন্য প্রাণ কেঁদে ওঠে যাঁর, সেই ঘোষবাবু বলদের সঙ্গে... না না, বদলের সঙ্গে বদলার স্বপ্নও দেখছেন।

     

    এমনিতে কাজের শেষ নেই। সকাল থেকে গরুর দুধ দোয়ানো। সেখান থেকে বকযন্ত্রে সোনা তৈরি করা। তার পর সেই দুধ দোকানে দোকানে সাপ্লাই দেওয়া। আরে মশাই, রেল শহরের মিষ্টি-ফিষ্টি যা পাওয়া যায় সবই তো ঘোষবাবুর স্বর্ণ নাড়ি থেকে পাওয়া দুধেরই তৈরিনা না, ভুল ভাববেন না। ঘোষবাবুর স্বর্ণ নাড়ি নেই। আসলে গরুর ওই নাড়ির কথা ঘোষবাবুরই আবিষ্কার কিনা, তাই ও কথা বলা। তা ওই নাড়ি নিঃসৃত দুধের হলুদ মিষ্টি ক্রমশ গেরুয়া বর্ণ ধারণ করেছে। সেই মিষ্টিই রাজ্যে লেপে দিয়ে রাজ্যকে গেরুয়া লুঙ্গি বানিয়ে পরে ফেলতে চাইছেন ঘোষবাবু। যেমনটা নাথবাবু উত্তরপ্রদেশে করেছেন আর কী!

     

    বিরোধীদের "বিয়াল্লিশে বিয়াল্লিশ’-এর দাবি চুল্লিতে ঢুকিয়ে গত বছরই লোকসভায় কত জায়গায় গেরুয়া মিষ্টি লেপে দিয়েছিলেন। তিনি তো গেরুয়া লুঙ্গি পরার স্বপ্ন দেখতেই পারেন। এ পর্যন্ত সব ঠিকই আছে। তবে দামোদর শেঠ-রা তো অল্পেতে কোনও দিনই খুশি হয়নি। ঘোষবাবুও তার ব্যতিক্রম নন। তিনি বুক ঠুকে বললেন, "বদলাও হবে বদলও হবেপ্রথমে একটু চিন চিন খেলতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সুবিধে হচ্ছে না দেখে বাংলাতেই ফিরে এয়েচেন। শত হোক, বাংলার মানুষের জন্য তাঁর প্রাণ হাপুস নয়নে কেঁদেই চলেছে কিনাসেই প্রাণেই এ বার "আজ বদলা সুখের উল্লাসে, তাঁর টগবগিয়ে খুন হাসে’

     

    ঘোষবাবুর "খুন’ হাসছে ঠিকই। কিন্তু বাংলার মাটি হাসছে না। দীর্ঘ রাজনৈতিক খুনোখুনির ইতিহাসে এই মাটি বহুবার রাঙা হয়েছে। বহু মায়ের চোখের জল রক্ত হয়ে ঝরেছে। তাই মাটি খুশি হতে পারছে না। অবিশ্যি ঘোষবাবুরা ক্ষমতায় এলে পান-গুটখার পিকেও বাংলার মাটি বেশ কয়েক পোচ লাল হবে। এই তো কিছু দিন আগে, ঘোষবাবুরা ক্ষমতায় না থেকেই দিল্লির মাটিও লাল করেছিলেন। আর এখানে তো ক্ষমতার সদর্প "ঘোষ’ণা রয়েছে। অর্থ খুব পরিষ্কার। গেরুয়া লুঙ্গিতে লাল লাল ছিট অবশ্যই থাকবে।

     

    আরে মশাই, একটু ডিজাইন না থাকলে কি আর একরঙা জীবন ভাল লাগে, বলুন!

     

     


    রজত কর্মকার - এর অন্যান্য লেখা


    পোধানমন্তীর ডাকে সাড়া দিয়ে ঘটি-বাটি-খোল-করতাল-কাশি-বাঁশি সব নিয়ে দলবল-সহ বেরিয়ে পড়েছিলেন রাস্তায়।

    আমরা হয়তো দেখতে পাইনি, কিন্তু এই অভুক্ত মানুষগুলো গোলাপি চাঁদকে একটা গোটা রুটিই দেখেছে।

    যে কোনও চলে যাওয়া শূন্যতা তৈরি করে যায়। এস পি-র শূন্যতা ভরাট হওয়ার নয়।

    দরজা খোলার শব্দে ঘোর থেকে বেরিয়ে এলেন ঠাকুর। ‘কে এলি, রিদে নাকি?’ উত্তর এল, ‘মিত্রোঁওওওও, আমি নরেন'

    প্রয়োজন না থাকলেও একটু বেশিই মাছ কিনে ফেললাম। বাবা হিসাবে আর এক সন্তানের জন্য এটুকু তো করা যেতেই পার

    এ বারের বক্তিমে “ছাত্রোঁ কে লিয়ে”। ওই “মিত্রোঁ”বলতে গিয়ে ছাত্রোঁ বলে ফেলেছেন। তা বলে ফেলেছেন যখন, তখ

    ন্যাতার মতো ন্যাতা বটেক!-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested