×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • আড়ি পাতার রাজনীতি

    4thPillar WeThePeople | 24-07-2021

    সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা, নির্মাল্য মুখোপাধ্যায় এবং রজত রায়।

    বিরোধী রাজনৈতিক নেতা, সাংবিধানিক পদাধিকারী, সাংবাদিক - আড়ি পাতা হয়েছিল সকলের ফোনে। মোদী সরকার নাকি কিছুই জানত না! কারা যেন ভালবেসে আড়ি পেতে, সরকারের খুব সুবিধা করে দিয়েছে! এই বিষয়ে গত 23 জুলাই (শুক্রবার) www.4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা, নির্মাল্য মুখোপাধ্যায় এবং রজত রায় উপস্থিত ছিলেন।

     

     

    আমাদের দেশে গনতন্ত্র কোথায় দাঁড়িয়ে আছে এই ঘটনাটা যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। সুপ্রিম কোর্টের উচিত এই বিষয়টা আরও গুরুত্ব দিয়ে দেখার। শুধু রাজনৈতিক নেতা বা সাংবাদিকরা বললে হবে না, জনসাধারণকেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হতে হবে। এভাবে সকলের উপর ঘৃণ্য নজরদারি চালানো যেতে পারে না।


    ইজরায়েল জানিয়ে দিয়েছে তারা এই ধরনের সফটওয়ার রাষ্ট্রকে দেয়, কোনও ব্যক্তি বা বেসরকারি সংস্থাকে দেয় না। ফলে এখান থেকেই প্রমাণিত, অমিত শাহের আন্তর্জাতিক চক্রান্ত তথ্যটি ভুল। তাই এখন প্রশ্ন উঠবেই কে কখন এই সফটওয়ারের অর্ডার দিল?


    এই নজরদারির মধ্য দিয়ে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। এই বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই হবে।


    সরকারের হাবভাব দেখে এখন মনে হচ্ছে তার সমালোচনা করতে হলেও তার অনুমতি নিয়ে করতে হবে!


    সরকার যে নির্দিষ্ট কিছু মানুষের ওপর এমন নজরদারি চালাচ্ছে, তার আভাস বহু আগেই পাওয়া গিয়েছিল। পূর্বের সমস্ত ফোন ট্যাপিং-এর ঘটনার তুলনায় পেগাসাস কাণ্ড অনেক বেশি জটিল এবং ভয়ঙ্কর।

     

    পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা: জনৈক বন্ধু বলল, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং ফ্রান্সের অলাভজনক সংবাদসংস্থা ফরবিডেন স্টোরিজ-এর করা তদন্ত রিপোর্টে আমার নাম আছে। 40টি দেশ এবং 15টি সংস্থা এর সঙ্গে যুক্ত। ভারতে বহু সাংবাদিক, সিবিআই-এর প্রাক্তন অধিকর্তা, প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার— এরমক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ফোনেই আড়ি পাতা হয়েছিল।


    প্রশ্ন উঠতে এই আড়ি পাতায় লাভটা কার হবে। নিঃসন্দেহে বলা যায় লাভটা মূলত হবে সরকারের, সঙ্গে অন্য কোনও সংস্থাও লাভের অংশীদার হতে পারে। সেক্ষেত্রে সরকার ব্যক্তির মতামতকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, জনগণ কী ভাববে সে সম্পর্কে অবহিত হতে পারবে।


    সরকার এই ব্যাপারে দীর্ঘমেয়াদি এবং স্বল্পমেয়াদি দু'রকম লক্ষ্য নিয়েই ময়দানে নামতে পারে। এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট সরকার স্বস্তিতে নেই। তারা জানে দেশের প্রায় 70 শতাংশ জনগণ তাদের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। তাই মানুষ তাদের সম্পর্কে কী ভাবছে, তা জানতে সরকার উদগ্রীব। আগেও অনেক সরকার এমন করেছে। কিন্তু এত বড় মাত্রায় এরকম কিছু আগে হয়নি।


    সরকার জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বৈধ উপায়ে কিছু মানুষের উপর নজরদারি চালাতে পারে। কিন্তু এলগার পরিষদের ঘটনায় দেখা গেছে অভিযুক্তের কম্পিউটার হ্যাক করে ফাইল ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই সরকারের হাতে এত ক্ষমতা তুলে দেওয়া উচিত নয়। সরকার এর অপব্যবহার করতে পারে। এমনিতেই এ দেশে গোপনীয়তার অধিকার এবং ব্যক্তিস্বাধীনতা নিয়ে মানুষের চেতনা কম। সরকার এর সুযোগ নেয়।


    4thPillar WeThePeople - এর অন্যান্য লেখা


    এবারের ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে যত না আলোচনা তার চেয়েও বেশি ঝড় কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের নিয়ে

    বাংলার যুদ্ধ শেষ, খেলা এবার দিল্লিতে। বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার কাজে সপ্তাহভর রাজধানীতে মমতা।

    রাজ্যের শিক্ষক মহলের অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন উপস্থিতির হার নিয়ে-বাস্তব চিত্রটা ঠিক কেমন?

    রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপিকে এক করে দেখার ভুলের কী মাসুল দেবে বামেরা?

    কংগ্রেসের দৈন্যদশা যত দীর্ঘ হবে, বিজেপির তত‌ই সুখের সময়।

    আড়ি পাতার রাজনীতি-4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested