রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপিকে এক করে দেখার ভুল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করল দেশের সবথেকে বড় বামপন্থী দল সিপিএম। এই ভুলের জন্য বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে কী মূল্য দিতে হয়েছে বামপন্থীদের? আগামী দিনে রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতেই বা কী অবস্থান হবে তাদের? এই বিষয়ে গত 5 অগস্ট (বৃহস্পতিবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক রজত রায়, গৌতম লাহিড়ী, শিখা মুখার্জি এবং সমাজকর্মী কুশল দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।
1) বামেরা আগেও যে ভুল করেছে আবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে। এর আগে বামেরা কংগ্রেস এবং বিজেপিকে এক আসনে বসাতেন, এখন যেমন তৃণমূল আর বিজেপিকে। এক ভুল একটা দল কী করে বারবার করতে পারে?
2) ‘বিজেমূল’ অর্থাৎ বিজেপি এবং তৃণমূল। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে সিপিএম এই বিজেমূল তত্ত্ব খাড়া করেছিল কিন্তু বাংলার মানুষ সেটা গ্রহণ করেনি, উল্টে তাদের বহু সমর্থন অন্য দলে চলে গিয়েছে।
3) বামেদের গ্রহণযোগ্যতা কমেছে। শুধু তাই নয়, তারা ধীরে ধীরে জনসাধারণের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।
4) বাংলার এই বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করা জরুরি ছিল। বাংলার নির্বাচন জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবে এটা জানাই ছিল। তা ‘নো ভোট টু বিজেপি’ ক্যাম্পেইন-এর লক্ষ্য ছিল বিজেপিকে সার্বিকভাবে পরাস্ত করা।
5) বাহ্যত নো ভোট টু বিজেপি প্রচারের সুফল এই রাজ্যে তৃণমূল পেয়েছে। বাংলার নির্বাচকমণ্ডলী হয়তো মনে করেছেন বিজেপিকে তৃণমূলই পরাস্ত করতে পারবে। কিন্তু এই প্রচারে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলের কেউ নন। এদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূল আমলে জনবিরোধী UAPA আইনে জেলে গেছেন।
6) বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখা যাচ্ছে সিপিএমের লোকাল কমিটি ভোটের ফলাফল নিয়ে যে অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট রাজ্য কমিটিতে জমা দিয়েছে, তার সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই।
7) তৃণমূল আমলে বিজেপির সংগঠন ও আসন সংখ্যা বেড়েছে এটা সত্য। কিন্তু তৃণমূলের ভোট তো মোটের ওপর অক্ষুণ্ণ থাকছে। তাহলে বাম-কংগ্রেসের ভোটটা যাচ্ছে কোথায়?
8) সিপিএম বা মূলস্রোতের বাম দলগুলির ব্যর্থতা এটা প্রমাণ করে না যে, এই রাজ্যে বা দেশে বামপন্থার অস্তিত্বকে মুছে দিয়েছে। অন্য অনেক বাম সংগঠন নিশ্চয়ই আগামীদিনে বামপন্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সিপিএমকে চেষ্টা করতে হবে ঘুরে দাঁড়ানোর। তবে সেটা একদিনে হবে না। রাজ্য সম্পাদক ‘বিজেমূল’ নিয়ে ভুল স্বীকার করলেন, কিন্তু পার্টির তৃণমূল স্তর পর্যন্ত সেই বার্তাকে পৌঁছে দিতে হবে।
কোভিড পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে জনগণের মতামত জানতে চেয়ে নজির গড়ল বাংলা।
উত্তরপ্রদেশ সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আইনের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিভাজন করতে চায়।
সেই কালিদাসের যুগ থেকেই বর্ষা কবিদের প্রেরণা। নিতান্ত অকবি বাঙালিও বর্ষায় যেন কিঞ্চিৎ বিহ্বল হয়।
কংগ্রেসের দৈন্যদশা যত দীর্ঘ হবে, বিজেপির ততই সুখের সময়।
ঘোষিত লক্ষ্য পরিকাঠামোর জন্য অর্থের সংস্থান। অতীতের অভিজ্ঞতা কী বলে?
প্রায় চার বছর পরে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুকুল রায়। এরপর কী?