বাংলার যুদ্ধ শেষ, খেলা এবার দিল্লিতে। করোনা পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হতেই সপ্তাহভর মমতা ব্যানার্জি সেখানে। শুরু হয়েছে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার কাজ। সামনে কী? এই বিষয়ে গত 29 জুলাই (বৃহস্পতিবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় দিল্লি থেকে গৌতম লাহিড়ী, পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা, এবং কলকাতা থেকে শুভাশিস মৈত্র উপস্থিত ছিলেন।
1) 2021 এ ভোটে জেতার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এটা প্রথম দিল্লি সফর। যে পাঁচটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি সফরে এসেছিলেন তাদের মধ্যে বাকি চারটে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অতটা সাড়া জাগাতে পারেনি যতটা মমতা পেরেছেন। জাতীয় রাজনীতিতে মমতার দিল্লি সফর অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় কারণ তিনি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন 2024 এ মোদীর বিরুদ্ধে কোনও নেতা নন, লড়বে গোটা দেশ।
2) মমতার মধ্যে এক দারুন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একটা পরিমিতিবোধ এসেছে তাঁর মধ্যে, তিনি যেমন মোদী বিজেপির বিরোধিতা করছেন তেমনই বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছেন। এটা একটা ভাল দিক।
3) বিরোধী জোটে কোনও মতানৈক্য নেই, এমনটা বলার সময় এখনও আসেনি। তবে সলতে পাকানোর কাজটা শুরু হয়ে গেল মমতার দিল্লি সফরের মধ্য দিয়ে।
4) নেতৃত্বের প্রশ্নটা অবশ্যই গুরুতর। কিন্তু শুধু প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্যই লোকসভা নির্বাচন হয় না। পাঁচ বছরের জন্য যে দল সুশাসন দিতে পারবে বলে মানুষ মনে করে, তারাই মসনদে বসে। বিজেপি প্রধানমন্ত্রী মুখ বিষয়টিকে বড় করে দেখাতে চাইছে। সেই ফাঁদে বিরোধীদের পড়া উচিত নয়।
5) রাজ্যে ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও বিজেপির যে অভিযোগ, তার মোকাবিলা কিন্তু রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ভাবে তৃণমূল করতে পারেনি। বিজেপি আগামীদিনে মমতাকে রাজ্য রাজনীতিতে আরও বেশি ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করবে। মমতাকেও তাই জাতীয় রাজনীতি নিয়ে ভাবার পাশাপাশি রাজ্য রাজনীতিতেও মনোনিবেশ করতে হবে।
6) রাজ্য বিধানসভায় এখন আগের মতো প্রতিটি দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনা হয় না। অধিবেশনের মেয়াদও অনেক কমে গিয়েছে। রাজ্যে তৃণমূল সরকার এমন কোনও দৃষ্টান্তমূলক আচরণ করছে না, যা বিজেপির রাজনীতির বিরুদ্ধে একটা মডেল হতে পারে। মমতাকে এই বিষয়ে যত্নবান হতে হবে।
7) 2011-র মমতা আর 2021-এর মমতার মধ্যে একটা ফারাক দেখা যাচ্ছে। সরকারি স্তরে দুর্নীতির অভিযোগে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে৷ এইগুলো ইতিবাচক ইঙ্গিত।
8) বাংলার শোচনীয় পরাজয়ে বিজেপি বিভ্রান্ত। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও মোদীর বন্ধু রাষ্ট্রনায়করা হয় ক্ষমতাচ্যুত, নয়তো ক্ষমতাহীন অবস্থায় রয়েছে। পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন প্রায় 3 বছর পরে হবে। বিরোধীদের হাতে অনেকটা সময় নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার এবং মোদী সরকারের প্রকৃত বিকল্প হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার।
উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটের আগেই বিজেপির বিরুদ্ধে কৃষক মহাসম্মেলনে এক হওয়ার ডাকে বিপাকে বিজেপি।
আজ বাংলাদেশে যা ভাবছে, কাল কি ভারত তা ভাববে?
এবারের ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে যত না আলোচনা তার চেয়েও বেশি ঝড় কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের নিয়ে
আবার পশ্চিমবঙ্গ ভাগ করে ছোট রাজ্যের দাবি উঠছে। বাংলার মানুষ কী চায়?
বিপুল সাড়া রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার প্রোগ্রামে। অর্থনীতির দিক থেকে কি স্থায়ীভাবে চালানো সম্ভব?
মমতা-মোদীর জেদাজেদিতে কতটা ক্ষতি বাংলার মানুষের?