আজ না হোক কাল একদিন স্কুল খুলবেই। তখন কার কী করণীয়? কোনও পরিকল্পনা আছে কি? শিক্ষার আঙিনা থেকে একটা প্রজন্ম হারিয়ে যাবে না তো? এই বিষয়ে গত 8 অগস্ট (রবিবার) 4thpillarwethepeople.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক অনির্বাণ চট্টোপাধ্যায়, প্রতীচী ট্রাস্টের উর্বা চৌধুরী, এবং শিক্ষক মঞ্জীরা সাহা উপস্থিত ছিলেন।
1) সামনে একটা বিশাল অন্ধকার। এই বছর ক্লাস ওয়ানে বহু ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হয়নি। এছাড়াও এমন বহু বাচ্চা আছে, যারা স্কুলে এসে টিচারের মুখে পড়া শুনে মুখস্থ করে। সেখানটায় একটা বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
2) বহু শিক্ষক আছেন যাঁরা এই পরিস্থিতিতেও আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন, কী করে বাচ্চাদের সঠিক শিক্ষা দেওয়া যায়। তাঁরা নানান পরিকল্পনার কথা বলছেন, কিন্তু সরকার তো তা শুনছেন না। তাঁরা সেই চেষ্টাটাই করছেন না, অন্তত সেই লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। আসলে সরকারে নির্বাচনে জয়লাভ করে এলেই হয় না। গণতন্ত্রে সরকারের মানে সমাজের প্রতিটা স্তরের মানুষের কথা শোনা উচিত। কিন্তু এখানে সেটা হচ্ছে না, তাঁদের সেই মানসিকতাই নেই।
3) বাচ্চাদের সব নিয়ম মানানো সম্ভব নয়। তারা না সামাজিক দূরত্ব মানবে, না ঠিক ভাবে মাস্ক পরবে, সে ক্লাসরুমে ক্লাস হোক বা মাঠে।
4) কাজ হোক বা না হোক আলোচনা চালিয়ে যাওয়া উচিত এই বিষয়টা নিয়ে কারণ তাতে অনেকের মনে যে সন্দেহ আছে সেটা দূর হবে, কী করে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে তার একটা ধারণা তৈরি হবে। আসলে এখনও অনেকে জানেনই না যে, এত উপায় আছে স্কুল কলেজ চালু করার।
5) শিক্ষার অধিকার একটি মৌলিক অধিকার। কোনও পরিস্থিতিতেই তা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যায় না।
6) অনলাইন ক্লাসে ডিজিটাল ডিভাইড আছে৷ বহু পড়ুয়াকে যখন অনলাইন ক্লাসে নিয়ে আসার জন্য বাড়িতে ফোন করা হয়েছে, অভিভাবক ফোন ধরে বলেছেন, সে পড়াশোনা ছেড়ে অন্য কাজে চলে গেছে। স্কুল খোলা থাকলে হয়তো তাদের বুঝিয়ে আবার পড়াশোনার মধ্যে আনা যেত।
7) জনমোহিনী রাজনীতিতে অভ্যস্ত রাষ্ট্র, সরকার বারংবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, আমরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত দিচ্ছি। এইরকম একটা প্রচারে নাগরিক তার প্রাপ্য অধিকার চাইতে ভুলে যাচ্ছে।
8) সমাজ তো একটা বড় ধারণা। কিন্তু প্রতিটি স্কুল নিয়ে একটা ছোট সমাজ আছে। সব স্কুলের পড়ুয়াদের আর্থিক ক্ষমতা, মেধা যেমন সমান নয়, কোভিডের সংক্রমণ হারও সমান নয়। তাই আঞ্চলিক বিষয়গুলো মাথায় রেখে স্কুল খোলার ব্যাপারে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
9) পুজোর পরে স্কুল খোলার পর হয়তো দেখা গেল সংক্রমণ বাড়ছে। সেক্ষেত্রে হয়তো আবার স্কুল বন্ধ করতে হবে। কিন্তু শহরাঞ্চলের পার্ক কিংবা গ্রামের ফাঁকা জায়গায় যাতে বিকল্প উপায়ে পড়ুয়াদের ক্লাস করানো যায়, সেই ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে।
10) এমন নয় যে কালই স্কুল খুলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু পড়ুয়াদের স্বার্থেই যে স্কুল খোলা, পঠনপাঠন চালু করার বিষয়ে আলোচনা শুরু করা জরুরি, এটা স্পষ্ট। গত দেড় বছরে সরকারি স্তরে এই নিয়ে খুব বেশি চর্চা বা আলোচনা হয়নি, যা দুর্ভাগ্যজনক।
ভোট ব্যাপারটাকে কি এখন শাসকের সুবিধাজনক একটা বন্দোবস্ত হিসেবে দেখছে নির্বাচন কমিশন?
সিপিএমের দলীয় অফিস আক্রান্ত, আগুন মুখপত্রের দফতরে। হঠাৎ কেন অগ্নিগর্ভ ত্রিপুরা?
রাজ্যের নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত মামলা হাইকোর্টের যে বিচারপতির এজলাসে তাঁর প্রতি অনাস্থা শাসকদলের।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া নিয়ে এখনও বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তা। কীভাবে হবে মূল্যায়ন?
প্রায় চার বছর পরে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুকুল রায়। এরপর কী?
শিক্ষার অধিকার থেকে শিশুদের বঞ্চিত না করে স্কুলকে পঠনপাঠন চালুর বিষয়ে স্বাধীনতা দেওয়া হোক।