দেড় বছর পর বন্ধ থাকার পর নবম থেকে দ্বাদ্বশ শ্রেণী পর্যন্ত স্কুল চালু হল। রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক মহলের অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন উপস্থিতির হার নিয়ে-বাস্তব চিত্রটা ঠিক কেমন? সরকারের দিক থেকে বা সংগঠিতভাবে কী কী প্রতিকার করা হচ্ছে তা নিয়েই সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় অর্থনীতিবিদ অচিন চক্রবর্তী, শিক্ষা গবেষক কুমার রানা, শিক্ষিকা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং অলকানন্দা ঘোষ।
1) ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ক্লাস করার পর সাত মাসের বিরতিতে উপস্থিতির হার গ্রামের স্কুলের ক্ষেত্রে কম। বিশেষ প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া অন্যান্য দিনে উপস্থিতির হার মোট সংখ্যার মাত্র এক তৃতীয়াংশ।
2) কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে বিশেষত মেয়েদের স্কুলে স্কুল আসার অনীহা, আগ্রহ ও অভ্যাস হারিয়ে যাওয়া, পরিবারের লোকেদের ঘরের কাজে জুড়ে দেওয়া, পরীক্ষা না দিয়ে উঁচু ক্লাসে ওঠার জন্য পড়ার আগ্রহ কম।
3) মূল সমস্যা অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাশ ফেল না থাকায় যথাযথ মূল্যায়ন হচ্ছে না, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আগ্রহ কমছে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য উপস্থিতির হার বাড়ছে কিন্তু পঠনপাঠনের মূল উদ্দেশ্য গৌণ হয়ে গেছে।
4) গ্রামাঞ্চলের ও শহরের সূক্ষ্ম ব্যবধান এখনও অটুট রয়েছে। অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবার মেধা থাকা সত্ত্বেও তার সন্তানকে উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা দিতে পারছে না। প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষার সঠিক পরিকাঠামো পরিকল্পনা নেই শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী ফলে তাদের বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে।
5) শিক্ষাকে স্কুলনির্ভর করে তুলতে হবে, টিউশন নির্ভর নয়। সেক্ষেত্রে শিক্ষকদের বাড়তি দায়িত্বশীল হতে হবে।
6) শিখন পদ্ধতিকে অনেক আকর্ষণীয় ও হাতে কলমে করার ওপর জোর দিতে হবে। শিক্ষকমহল ও সরকারকে যৌথভাবে এগিয়ে আসত হবে।
7) কমিউনিটি ইনভলভমেন্ট প্রয়োজন। স্থানীয় মানুষকে অন্তর্ভূক্ত করে শিক্ষকরা সবটা পরিচালনা করবেন।
8) মেয়েদের উপস্থিতির হার বেশি, কারণ তারা স্কুলে গিয়ে স্বাধীনতা পায়, স্কুল ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাদের। ছেলেরা হয় কাজের জন্য কিংবা অন্য কোনও নেশার আকর্ষণে স্কুলছুট হয়ে যায়। আগেও এই চিত্র ছিল, কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে এই রূপ সবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ।
9) গ্রামের দিকে মোবাইল ফোন অপারেট করতে না জানার দরুন অনলাইন ক্লাসে অনীহা। তাই স্কুলছুট বেড়েছে।
10) প্রতিটি ক্লাসে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা, যথাযথ পরিমাণে হস্টেলের ব্যবস্থা করা, শিক্ষক ছাত্রের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা, শিক্ষাকে রাজনীতির আঙিনা থেকে সম্পূর্ণভাবে উৎপাটিত করা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা র ত্রুটি নিয়ে পর্যালোচনা করা, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন।
11) লোক দেখানো উন্নয়ন নয়, শিক্ষার যথাযথ মানোন্নয়ন করতে হবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে।
সমবায় গুলির নিয়ন্ত্রণ রাজ্যের হাত থেকে কেড়ে, মন্ত্রী হিসেবে এবার কেরামতি দেখাবেন অমিত শাহ?
কোভিড টিকাকরণ নিয়ে বিভ্রান্তি চরমে।
আগেকার অন্য পরীক্ষার নম্বর দিয়ে মূল্যায়নের ভিত্তিতে কীভাবে উচ্চতর শিক্ষায় ভর্তি হবে?
প্রায় চার বছর পরে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে এলেন দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মুকুল রায়। এরপর কী?
আজ বাংলাদেশে যা ভাবছে, কাল কি ভারত তা ভাববে?
রাজ্যের নির্বাচন সংক্রান্ত সমস্ত মামলা হাইকোর্টের যে বিচারপতির এজলাসে তাঁর প্রতি অনাস্থা শাসকদলের।