এবারের ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ঝড় নিয়ে যত না আলোচনা তার চেয়েও বেশি ঝড় কভার করতে যাওয়া সাংবাদিকদের নিয়ে। জলে নেমে রিপোর্টাররা কতটা সমৃদ্ধ করলেন সাংবাদিকতা এবং খবরের দর্শক শ্রোতাদের? এই বিষয়ে গত 27মে(বৃহস্পতিবার) www.4thpillars.com একটি আলোচনার আয়োজন করেছিল। সুদীপ্ত সেনগুপ্তর সঙ্গে আলোচনায় সাংবাদিক গৌতম লাহিড়ী, সুব্রত সেন এবং অশোক মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
*অডিও ভিজ্যুয়াল জার্নালিজমের প্রথম শর্তই হচ্ছে আমি যা বলছি তার সঙ্গে যেন স্থান কাল পাত্র মেলে। কিছু খবর করার নেই বলে নিজেকে খবর হিসেবে প্রেজেন্ট করতে পারি না কখনই।
*বর্তমানে টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলে যাঁরা চাকরি করেন তাঁদের যে কী শর্ত মেনে চলতে হয় সামান্য ভুল করলেও যে অপমানের সম্মুখীন হতে হয় তা ভাবনার বাইরে। ফলে এই নিম্নমানের সাংবাদিকতা, ফেক নিউজের দায় শুধু একা রিপোর্টারদের নয়, এডিটর, প্রডিউসারদেরও বটে।
*একজন পেশাদার সাংবাদিককে জানতে হবে সে কিভাবে কোন কাজ করছে আর কোন কাজটা কিভাবে কখন করা উচিত। সেটাই তো পেশাদারিত্ব।
*ইয়াস ঘূর্নিঝড়ের রিপোর্টিং-এ সাংবাদিকতার নামে টেলিভিশন মিডিয়ায় যা দেখা গেল, তা সাংবাদিকতার জন্য ভাল বিজ্ঞাপন নয়। রাজ্যের বেশিরভাগ দর্শক, এমনকি বাংলাদেশের মানুষজনও এসব অতিনাটকীয়তা দেখে হাসাহাসি করছেন।
*দায় কার, এক কথায় বলা মুশকিল। রিপোর্টার চাইছেন আর পাঁচজনের ভিড়ে নজর কাড়তে, তাতে হয়তো তাঁর চাকরিটা সুরক্ষিত হবে। চ্যানেলের প্রোডিউসার লাইভ ফুটেজ হয়তো কাটতে পারছেন না, কিন্তু তারপরেও সেই ফুটেজ বারবার দেখিয়ে যাচ্ছেন। তার মানে তিনিও এই প্রচারটা চাইছেন। আর টেলিভিশন চ্যানেলের মালিক তো ব্যবসায়িক স্বার্থটাই দেখবেন।
*সংবাদকর্মী সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিপদে পড়তেই পারেন। কিন্তু তাঁর বিপদে পড়ার ইতিবৃত্ত তিনি প্রকাশ্যে তুলে ধরবেন কেন? সাংবাদিকতার প্রাথমিক শিক্ষাই তো হল, খবর করো, কিন্তু নিজে খবর হয়ো না।
*সাংবাদিক হাঁটুজলে রয়েছেন না সমুদ্রের জলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন, সেটা খবর নয়। অকুস্থলে কোনও মানুষ আটকে পড়েছেন কিনা কিংবা কোনও মানুষ মরিয়া হয়ে তাঁর ভেসে যাওয়া ঘর বাঁচাচ্ছেন কিনা, সেটা খবর।
*এমন নয় সাংবাদিকতার প্রথাগত পাঠ থাকলেই কেউ দারুন সাংবাদিক হতে পারবেন না। এই পাঠ না থাকলেও অনেকেই কৃতি সাংবাদিক হয়েছেন। কিন্তু সাংবাদিকদের ধৈর্যের প্রয়োজন হয়, এখনকার ব্রেকিং নিউজের চক্করে এই ধৈর্যটাই সাংবাদিকদের কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।
প্রায় দেড় বছর পর খুলতে চলেছে স্কুল। হাতে আর মাত্র দু'টো সপ্তাহ। স্কুলগুলো কতটা তৈরি?
বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ, ত্রিপুরার থেকে বাংলা কোথায় আলাদা বর্তমানে?
তৃণমূলের দিল্লি দখলের স্বপ্ন সফল হওয়ার সম্ভাবনা কতটা?
শিক্ষার অধিকার থেকে শিশুদের বঞ্চিত না করে স্কুলকে পঠনপাঠন চালুর বিষয়ে স্বাধীনতা দেওয়া হোক।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়া নিয়ে এখনও বিভ্রান্তি ও অনিশ্চয়তা। কীভাবে হবে মূল্যায়ন?
কোভিড পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে জনগণের মতামত জানতে চেয়ে নজির গড়ল বাংলা।