×
  • নজরে
  • ছবি
  • ভিডিও
  • আমরা

  • শিক্ষকের অভাবে কোর্স ছাঁটাই

    শুভস্মিতা কাঞ্জী | 08-04-2021

    কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাস।

    শিক্ষক নেই। কোপ পড়ল ছাত্র ছাত্রীদের পছন্দের উপর, ভবিষ্যতের উপরেও। কোথায়? কয়েকদিন আগেই সরকারি সমীক্ষা অনুযায়ী দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা পাওয়া কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে

     

     

    এতদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা স্নাতকোত্তরে শেষ বর্ষের স্পেশাল পেপারে 7টি বিষয় ছিল, ছাত্র ছাত্রীরা সেখান থেকে যে কোনও একটি বিষয় বেছে নিতে পারত। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় যে, তিনটি বিষয়, যথা- লোকসংস্কৃতি, নাট্যচর্চা এবং তুলনামূলক সাহিত্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। কারণ অধ্যাপক নেই। এই তিনটি বিষয় মূলত অতিথি অধ্যাপকদের দিয়েই পড়ানো হত, কিন্তু ইউজিসি অতিথি অধ্যাপক নিয়োগে বদল আনায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। কারণ নতুন নিয়ম অনুযায়ী অতিথি অধ্যাপকের প্রতি বছর নতুন করে বায়োডাটা জমা দিতে হবে এবং তারপর ইন্টারভিউয়ের পর নিয়োগ করা হবে। ফলে এখন শুধুমাত্র অতিথি অধ্যাপকদের ভরসায় এই তিনটি স্পেশাল পেপার চালাতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে যখন তা উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়, তিনিও তাতে সিলমোহর দেন। ফলে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে ছাত্র ছাত্রীরা এই তিনটি পেপার আর নিতে পারবেন না। 

     

     

    অনুপমা দত্ত, বাংলা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী জানান, ‘অধ্যাপক নেই তার জন্য ছাত্র ছাত্রীদের কেন পছন্দের বিষয় বেছে নেওয়া থেকে আটকানো হবে? বিশেষত যখন এই বিষয়গুলোকে উচ্চশিক্ষায় যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়।' তিনি আরও জানান, ‘অন্যান্য পাঠ্য বিষয়গুলো আমরা স্নাতক স্তরে পড়লেও তুলনামূলক সাহিত্য এবং নাট্যচর্চা একমাত্র স্নাতকোত্তরেই পড়ানো হয়। সেটা এভাবে থামিয়ে দেওয়া বোধহয় ঠিক হল না।'

     

     

    1976 থেকে এই বিষয়গুলো পড়ানো হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, নেট পরীক্ষাতেও এই বিষয়গুলোর উপর যথেষ্ট জোর দেওয়া হয় বিশেষ করে নাট্যচর্চা এবং তুলনামূলক সাহিত্য। তাই এভাবেই পেপার বন্ধ করে দেওয়ায় আখেরে শিক্ষার্থীদেরই ক্ষতি হল। বর্তমান স্থায়ী অধ্যাপকদের দাবি, শেষ 12 বছর কোনও নতুন স্থায়ী অধ্যাপক বাংলা বিভাগে নিয়োগ হয়নি, এই বিভাগে প্রায় 9জন অধ্যাপক কম। ফলে বাকিদের কাঁধেই স্নাতকোত্তর স্তরের ছাত্র ছাত্রী ছাড়াও, এমফিল, পিএইচডি ছাত্র ছাত্রীদেরও ভার রয়েছে। তাই শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। পরবর্তীকালে অধ্যাপক নিয়োগ হলে আবার বিষয়গুলো চালু করা হবে। যদিও তা নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে আপাতত বাংলা বিভাগে এই তিনটি বিষয়ের বিয়োগ ঘটল।


    শুভস্মিতা কাঞ্জী - এর অন্যান্য লেখা


    সমাজে নানান ভ্রান্ত ধারণা থাকে, তাদেরই একটা হল মোটা মানেই অসুন্দর।

    বিজেপির এই গানে বোধহয় শুধুই অনির্বাণদের উত্তরই দেওয়া হল, কিন্তু মানুষের মন ছুঁতে পারল কই?

    শিশু মনেই পাকাপাকিভাবে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের বীজ বপন করছে সরকারি NCERT পাঠ্য বইয়ের মাধ্যমে?

    সংসার, ভালবাসা, সঙ্গে থাকা বা থাকার ইচ্ছে, সবটা নিয়ে একটা অত্যন্ত বাস্তববাদী সিনেমা।

    রাজ্যটা এখন চিড়িয়াখানা নাকি সার্কাসে পরিণত হয়েছে তা নিয়ে অনেকের মনেই ধন্দ।

    সচেতনতা এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনা দিয়ে সিকদামাখাই গ্রামের মানুষ রুখে দিল করোনাকে।

    শিক্ষকের অভাবে কোর্স ছাঁটাই -4thpillars

    Subscribe to our notification

    Click to Send Notification button to get the latest news, updates (No email required).

    Not Interested