করোনা অ্যান্টিবডি পরীক্ষা, তাও আবার 450 টাকায়! বিজ্ঞাপনটা সহজেই সবার নজর কেড়েছিল সোশাল মিডিয়ায়। 2 আগস্ট যাদবপুরের বিদ্যাসাগর পাঠাগারে এই অ্যান্টিবডি পরীক্ষার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হল থাইরোকেয়ার ল্যাবরেটরির সহযোগিতায়। ফল আসার পর সংগঠকরাই বাড়ি বাড়ি রিপোর্ট পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। যাঁরা সক্ষম, তাঁদের প্লাজমা দান করতে অনুরোধ করা হবে। যাদবপুর সিপিআইএম এরিয়া কমিটি এই অ্যান্টিবডি পরীক্ষা এবং প্লাজমা ডোনেশন শিবিরের আয়োজক। তাঁদের এই পরিকল্পনা সেই সব মানুষের কথা ভেবে, যাঁরা ইতিমধ্যেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বা অজান্তেই আক্রান্ত হয়ে সুস্থও হয়ে গেছেন। তাঁদের অ্যান্টিবডি টেস্ট করিয়ে সেই প্লাজমা করোনা রোগীদের দেওয়ার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে যাদবপুরের সিপিআইএম এরিয়া কমিটি। আয়োজকদের পরিচিতরা ছাড়াও বিজ্ঞাপনে আয়োজকদের নম্বর এবং ইমেল আইডি দেখে অনেকেই যোগাযোগ করে এই ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেছেন।
সংগঠকদের একজন, যাদবপুরের সিপিআইএম এরিয়া কমিটির সদস্যা পৃথা তা জানান, "বর্তমান সময়ে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করানো খুব জরুরি। আমরা চাইছি যতটা সম্ভব মানুষের পাশে দাঁড়াতে। লক ডাউনের শুরু থেকেই আমরা কমিউনিটি কিচেন চালাচ্ছি। এখন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে অসুস্থ রোগীদের প্লাজমা দিতে সক্ষম হই। সমস্ত নিয়ম বিধি মেনেই পরীক্ষা করা হয়েছে।' কলকাতা জেলা কমিটির এক সদস্য জানান, "সরকারি নিয়মে পরীক্ষা করাতে গেলে দালাল চক্রের হাতে পড়তে হচ্ছে, নইলে বেসরকারি ভাবে পরীক্ষা করাতে গেলে অতিরিক্ত টাকা দিতে হচ্ছে। তাই কম খরচে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে, এর ফলে অনেকের সুবিধা হবে।' আয়োজকদের অন্যতম সদস্য জিষ্ণু দত্ত জানান, "175 জন নাম লিখিয়েছিলেন, তবে শেষ পর্যন্ত 168 জন আসেন। যাঁদের পজিটিভ রিপোর্ট আসবে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে এবং অন্যান্য যা ফর্মালিটিজ আছে সেগুলো পূরণ করে থাইরোকেয়ারের সহযোগিতাতেই প্লাজমা ডোনেশন হবে।'
মেডিকেল কলেজে COVID ওয়ার্ডে কর্মরত ডক্টর অদ্বিতীয়া দাস জানান, "ভয়ের কিছু তো নেই। বরং আমি বলব দারুণ উদ্যোগ, সমাজের অনেকে উপকৃত হবে। যাঁরা করোনা থেকে সেরে উঠেছেন তাদের প্লাজমা নেওয়া যেতেই পারে। তবে সমস্ত নিয়ম এবং গাইডলাইন মেনে প্লাজমা নিতে হবে।'
প্লাজমা থেরাপি কী? রক্তের বিবর্ণ হলদেটে রঙের তরল অংশকেই প্লাজমা বলে যার মধ্যে আমাদের রক্তের লাল রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং প্লেটলেট ভাসমান অবস্থায় থাকে। মানবদেহের রক্তের পরিমাণের 55 শতাংশই প্লাজমা, যার কাজ হল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রোটিন পৌঁছে দেওয়া এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো। একই সঙ্গে সে মানবদেহের pH ব্যালেন্স সঠিক রাখে। করোনা একটি নতুন ধরনের ভাইরাস, তাই এর আর্টিফিশিয়াল অ্যান্টিবডি এখনও তৈরি হয়নি। অতএব যাঁরা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন একমাত্র তাঁদের শরীরেই অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে করোনার। তাই, তাঁদের থেকে প্লাজমা নিয়ে বর্তমানে যাঁরা করোনার সঙ্গে লড়াই করছেন তাঁদের দেওয়া হবে। এই পদ্ধতিটাই হল "Convalescent Plasma Therapy', যার দ্বারা রোগীকে প্যাসিভ ইমিউনিটি সরবরাহ করা হয় বিশেষ কোনও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। আমেরিকার মেয়ো ক্লিনিক প্রায় 20,000 রোগীকে নিয়ে এই গবেষণা করেছে। তাঁরা দেখেছে এই প্লাজমা থেরাপির ফলে মৃত্যুহার 12 শতাংশ থেকে কমে 8.6 শতাংশ হয়েছে। ইবোলার সময়েও একই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল এবং ফল ছিল আশাপ্রদ। কিন্তু এর মেয়াদ কতদিন বা কীকরে প্লাজমা থেরাপির ফলকে দীর্ঘমেয়াদি করা যায় তা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে।
18-60 বছর বয়সীদের মধ্যে যাঁরা সদ্য করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতে ফিরেছেন, তাঁরা 14 দিন পর প্লাজমা ডোনেট করতে পারেন। এ ছাড়াও যে জিনিসগুলো খেয়াল রাখতে হবে তা হল, যাঁদের ওজন 50 কেজির বেশি এবং অন্য কোনও সংক্রামক রোগ নেই, হিমোগ্লোবিন লেভেল-রক্তচাপ যথাযথ, একই সঙ্গে যাঁরা গত ছয় মাসে ট্যাটু করাননি তাঁরা সকলেই প্লাজমা দিতে পারবেন। এবং এই প্লাজমা সংগ্রহের 8 ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে দিতে হবে অথবা সংগ্রহের সঙ্গে সঙ্গে তা জমিয়ে ফেলতে হবে।
মানুষ যাতে নিজেকে বাঁচাতে পারে, তার জন্য বাতাসে কতটা বিষ মিশছে, প্রতিনিয়ত তার হিসেব দেবে জলবায়ু ঘড
আমাদের আশপাশের প্রতিটা মানুষই যে খারাপ নয়, সেই গল্পই যেন বলল এই শর্ট ফিল্ম।
"ভাই লন্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়বে। কী শিখবে ভাই অর্থনীতি নাকি... হেঁ হেঁ হেঁ।'
2040এর মধ্যে ভয়ানক পরিবেশজনিত বিপদ আছড়ে পড়তে পারে ভারতে এখনই যদি সরকার ও সাধারণ মানুষ সচেতন না হয়
যাবেন নাকি একবার ভারতের বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে? গেলেই কিন্তু হারিয়ে যাওয়া যায়!
আর্বানাইজেশন এবং ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের কারণে দিল্লি তপ্ত কড়াইয়ে পরিণত হয়েছে